পিঠাটা এতটাই মজা যে আপনি একবার না বানানো পর্যন্ত বুঝতে পারবেন না। আর বানানোর নিয়মটাও খুবই সহজ। তারপরও ছোট্ট একটা ''কিন্তু '' আছে। আর সেটা হলো অল্প আঁচে না ভাজলে আর অতিরিক্ত গরম সিরাতে পিঠা ফেললে পিঠার গায়ে ঠোস খেয়ে যাবে সাথে ভেতরে শক্ত রয়ে যাবে। এই যে ছবি গুলো দেখছেন এটা আমার দ্বিতীয় চেষ্টার ফল। প্রথমবারের ভুল গুলো শুধরে নেয়ার পরই, এরকম পারফেক্ট রসে টুপটুপে পিঠা পেয়েছি। টিপসসহ রেসিপি থাকলো , ইনশাআল্লাহ আপনাদের ভালো লাগবে।

বৈশাখ স্পেশাল ''পাতা গজা'' ??☘এবারের বৈশাখে নতুন কি বানাবো তাই ভাবছিলাম। অনেক ধন্যবাদ Ilora Awal আপুকে , দারুন এই আইডিয়া শেয়ার করার জন্য। আমি ওনার রেসিপি দেখেই করেছি আর সেটাই আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। আপনাদের সুবিধার জন্য স্টেপ বাই স্টেপ ছবিও থাকলো :)

আমাদের দেশে শীতকালে প্রতিটি অঞ্চলেই বিভিন্ন উপলক্ষে পিঠা বানানো ও খাওয়ার উৎসব চলে। এটা আমাদের ঐতিহ্যেরই একটা অংশ। শীতকালিন পিঠার একটি বড় অংশই গুড়ের দখলে। তাই এবারের শীতে আপনাদের জন্য থাকলো গুড়ের জিলাপির রেসিপি। যারা এই জিলাপি খেয়েছেন তারা নিশ্চয় জানেন এটা কতটা মজার ! আর যারা খাননি.... তারা ঝটপট বানিয়ে খেয়ে নিন :)

এবারের ভ্যালেন্টাইন্স ডে + কর্তার জন্মদিন উপলক্ষে বানানো আমার এই কেক। এতটাই মজা আর পারফেক্ট হয়েছিল যে আমি নিজের ঢাক নিজে না পিটিয়ে থাকতে পারছি না। তবে কাটার পরের ছবি তুলতে না পারার দুঃখটা রয়ে যাবে। তখন আসলে বাসায় মেহমান ছিল আর সবাই মিলে কেক খেতেই ব্যাস্ত। ছবির কথা মাথাতেই আসেনি। ইশ ! যদি কেকের ভেতরের ইয়াম্মি সেই ছবি গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পারতাম। .... :P

ঈদের দিন বা বিশেষ কোনো অনুষ্ঠান আয়োজনে আমরা বাঙালিরা সেমায়টাকে সবার প্রথম ডেসার্ট অথবা মিষ্টি হিসেবে রাখতে চাই। আর সেই সেমাইয়ের রেসিপিটাকেই আমি কিছুটা পরিবর্তন করে বানিয়েছি এই মজার পুডিংটি। ভীষণ মজার এই সেমাইয়ের পুডিং তৈরী করা যায় সহজ ৩ টি উপায়ে। আমি সবগুলো উপায়েই করে দেখেছি , আপনাদের জন্য আমি তিনটি নিয়মই শেয়ার করছি যার কাছে যেটা ভালো লাগে সে সেভাবে করে নিবেন :)

কেক খেতে পছন্দ করে না এমন খুব কম মানুষই আছে। আর বিশেষ দিনগুলোতে যেমন জন্মদিন, বিবাহ বার্ষিকীতে কেক ছাড়া তো আমাদের চলেই না। তবে আজ একটু ভিন্ন ধরনের কেক রেসিপি জানবো। সুজির কেক বাসবুসা বা সেমোলিনা কেক মধ্যপ্রাচ্যের ভীষণ জনপ্রিয় একটি ডেজার্ট। এই কেকটির প্রধান বৈশিষ্ট্য এটি আটার বদলে সুজির দিয়ে তৈরি। খুবই কম সময়ে আর খুব সহজেই তৈরী করা যায় এই অসাধারণ ডেসার্ট। চলুন দেখে নেই সেই দারুন রেসিপিটি :)

আধুনিক ও সনাতন পদ্ধতি দুইভাবেই বানিয়েছি। অনেক সুন্দর জমেছে দুটোই আর সেইইই মজা : মাটির পাত্রের দই দুইটা বানিয়েছি সনাতন পদ্ধতিতে। আর সিরামিকের সাদা বাটির দইটা আধুনিক পদ্ধতিতে। আমার কাছে জানতে চাইলে আমি বলবো একটু লম্বা প্রসেস হলেও সনাতন পদ্ধিতেই টেস্টি বেশি হয়। কথায় আছে না ''Old is Gold ''

আমার কাছে এটা অনেকটা কর্নফ্লাওয়ার হালুয়া বা বোম্বে করাচি হালুয়ার মতো লাগে। আমি জার্মানিতে থাকি, এখানকার টার্কিশ শপগুলো নানা রঙের ও ঢঙের টার্কিশ ডিলাইট পাওয়া যায়। তবে সেগুলো এত বেশি মিষ্টি যে এক টুকরো ও পুরোটা খেতে পারিনা আমি। তবে এটা মোটামুটি কম মিষ্টি হয়েছে। আসলে রেসিপিটি এমন যে চাইলেও একেবারে কম মিষ্টি দেয়া সম্ভব হয় না। চলুন আমরা দেখে নেই কিভাবে বানাতে হবে এটা তার পুরো প্রস্তুত প্রণালী।

গ্রামের দিকে এখনো মনে হয় কেউ কোথাও বেড়াতে গেলে হাতে মিষ্টির প্যাকেট নিয়ে যায়। আমার এক কাজিনের নানা আসতো সবসময় পেড়া সন্দেশ নিয়ে। কি যে মজার ছিল সেই সন্দেশ গুলো। আজ আমিও বানিয়েছি সেই মজার সন্দেশ। পেড়া সন্দেশ অনেক ভাবে বানানো যায়, তবে আমি যে পদ্ধতিতে বানিয়েছি আপনাদের জন্য রেসিপি টাই থাকছে।

আমার কাছে মনে হয়, যত রকম হালুয়া আছে পৃথিবীতে সবথেকে সুস্বাদু হলো বুটের ডাল বা ছোলার ডালের হালুয়া। আমার খুবই প্রিয় এই হালুয়া’টা…, আর বানানোও অনেক সহজ। তবে রেসিপির উপকরণের অনুপাতটা খুবই জরুরি। যতখানি ডাল… ঠিক ততখানি চিনি আর ঘি হবে তার অর্ধেক। এই মাপে বানালে আপনার হালুয়া মজা হবেই হবে। চলুন দেখি বানাতে আর কি কি লাগবে।