ছুটির দিনগুলোতে পরিবারের সবার যেমন আবদার থাকে স্পেশাল কিছু খাওয়ার তেমনি গিন্নিমায়ের ও ইচ্ছে করে রান্না করার। কিন্তু আমরা যারা চাকরিজীবী আছি তাদের’ও তো এটা ছুটির দিন। তাই স্পেশাল খাবারের চক্করে সারাদিন রান্নাঘরে কাটাতেও মন চায় না। তাদের জন্য এই মোরগ পোলাও টাই মনে হয় এক ঢিলে দুই পাখি মারার মতো….স্পেশাল খাবার হলো….খাটনিও কম তাই আজ আপনাদের জন্য থাকছে ঝটপট তৈরি করা যায় এমন একটি মোরগ পোলাও এর রেসিপি । ঘরে পোলাও এর চাল আর মুরগি থাকলেই যথেষ্ট। বাকি উপকরন সবসময় সবার ঘরেই থাকে। চলুন দেখে নেই……।

ছুটির দিন বলেন আর অতিথি আপ্যায়নে বা যে কোনো অনুষ্ঠানে মোটামুটি আমরা সবাই চিকেনের একটা না একটা পদ করেই থাকি। আর বেশির ভাগ সময় ই সেটা হয় রোস্ট। অনেক যত্ন নিয়ে রান্নার পরেও কেন যেন রোস্টে বিয়ে বাড়ির রোস্টের মত সেই আমেজ টা থাকে না। আর তাছাড়া দেশের বাইরে আমরা তো দেশী মুরগি ও পাই না ..তাই রোস্ট আর রোস্ট হয় না। তবে আবার এই রেসিপিতে একবার করেই দেখুন ফার্মের মুরগীতেও আপনি আপনার কাঙ্খিত সেই স্বাদ-গন্ধ-বর্ণ খুঁজে পাবেন। আমি আমাদের তিনজনের জন্য অল্প করে করেছিলাম সেভাবেই রেসিপিটি লিখেছি তবে আপনারা মাংস বেশি হলে অনান্য উপাদান ও সেভাবে বাড়িয়ে নিবেন। চলুন দেরী না করে একবার দেখে নেই।

মুরগির মাংস পৃথিবীজুড়েই জনপ্রিয়। এ মাংস দিয়ে যে কত রকমের সুস্বাদু খাবার তৈরী করা যায় সেটা হাতে গুনে শেষ করা যাবে না। আমাদের দেশে ও আজকাল মুরগির ঝোল-কোর্মা-রোস্টের জায়গায় মুরগির মাংস দিয়ে তৈরি অন্যান্য খাবার জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। এ ধরনের পদ শুধু রেস্তোরাঁ নয়, ঘরেও করা যেতে পারে। তাই আজকে আমি আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি ভীষণ মজার চিকেন কোফতা কারীর রেসিপি। খুব সহজ ও সাধারনভাবে রান্না যাবে এই কোফতার রেসিপিটি তবে এর স্বাদ হবে একদম শাহী খাবারগুলোর মত। ইনশাআল্লাহ আপনাদের ভালো লাগবে ও কাজে আসবে।

ভর্তার কথা উঠলে সবার আগে বাঙালির মনে পড়ে আলুভর্তার নাম। এই খাবারটি বলতে গেলে সবার ঘরেই অহরহ হয়ে থাকে। ভর্তা সাধারণত একেকজন একেক ভাবে খেতে ভালোবাসেন এবং ভর্তা বানানোর পদ্ধতিও আলাদা আলাদা হয়ে থাকে। কিন্তু আলুভর্তা মোটামুটি সবাই একইভাবে বানান। তবু আজকে ৭ টি ভিন্ন স্বাদে ৭ রকম পদ্ধতিতে এই আলুভর্তার রেসিপি নিয়ে এলাম আপনাদের জন্য।

নাম শুনে হয়ত মনে হতে পারে এর নাম জালি কাবাব কেন? এটা আসলে পুরান ঢাকার স্পেশাল কাবাব যার বাইরের আবরণটা জাল বা নেটের মত হয়ে থাকে। এখন কথা হচ্ছে এই জালি ভাব টা আসবে কিভাবে? আমরা সাধারনত কাবাব বানতে ডিমে চুবিয়ে তারপর ব্রেডক্রাম এ গড়িয়ে নেই….এটার ক্ষেত্রে করতে হবে উল্টো.. বাকিটা দেখে নিন রেসিপি তে…

বাসায় ছোট-বড় দাওয়াতে বা নতুন কোনো অতিথি কে নিমন্ত্রণ করে খাওয়াতে চাইলে আমরা ভেবে পাই না কি কি আইটেম রান্না করা যায়। মাছ মাংসের বাইরে সাধারণত সেদ্ধ ডিমের কোরমা আমরা সবাই করে থাকি…আজ একটু ভিন্ন ভাবে মানে ডিমটাকে সেদ্ধ না করে পুডিং এর মত ভাপিয়ে নিয়ে তারপর কোরমা বানানোর রেসিপি শেয়ার করছি। গতানুগতিক মাছ মাংসের বাইরে যত্ন করে রান্না করা এই ভাপা ডিমের কোরমা ইনশাআল্লাহ আপনার অতিথির মন জয় করতে সাহায্য করবে। আমি দেখেছি দাওয়াতে সেদ্ধ ডিম রান্না করলে বাচ্চারা ছাড়া তেমন কেউ নেয় না। আর এভাবে রান্না করে দেখেছি সবাই অনেক আগ্রহ নিয়ে খায় সাথে খুব প্রশংসা ও করে…

উত্তর কলকাতার শ্যামবাজার এর পাঁচ মাথার মোড়ের গোলবাড়ির বিখ্যাত কষা মাংসের কথা কমবেশি সবার জানা। তেলে ভাসা, মশলায় মাখা নরম-তুলতুলে গাঢ় খয়েরি রংএর মাংস সাথে গরম মশলার মনমাতানো সৌরভ -সবমিলিয়ে দারুন ব্যাপার। গোলবাড়ির সেই আদি আর অকৃত্রিম কষা মাংসের রেসিপি কিছুটা রহস্যময়। তবে আমার কাছে এটা অনেকটাই আমাদের দেশি কালাভুনার মতো মনে হয়। তাই এবারের রেসিপি ঘরোয়া পদ্ধতিতে কোলকাতা স্টাইলে “মটন কষা/গোলবাড়ির কষা মাংস”। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।

একদা মাছে ভাতে বাঙ্গালির অতিথি আপ্যায়নের জন্য বড় মাছের কালিয়া ছিল অপরিহার্য উপাদান। বিশেষ করে কোন বাড়ির জামাইয়ের পাতের কালিয়া কত বড় ছিল তা নিয়ে ছোটখাটো প্রতিযোগীতা চলতো গ্রামাঞ্চলে। আজকাল এইসব মশলাদার খাবারের চল যেন অনেকটাই কমে গিয়েছে, তবু পালে-পার্বণে দেশীয় এসব খাবার খাওয়া যেতেই পারে। কি বলেন?….. তাই আজকে আপনাদের জন্য পুরোনো কিন্তু খুবই মজাদার একটা মাছের রেসিপি শেয়ার করছি। আর সেটা হলো “মাছের কালিয়া”। পাকা রুই বা কাতলা হলে বেশি ভালো হয় তবে আপনি অন্যান্য বড় মাছ দিয়েও এটা করতে পারবেন।

কাচ্চি বিরিয়ানী খেতে পছন্দ করে না এমন মানুষ খুব কমই আছে। অনেকেই ভাবে এটা রান্না করা খুবই কঠিন। একটু কঠিন বটে তবে অসম্ভব নয়। কাচ্চি বিরিয়ানী আর সাধারণ বিরিয়ানির মধ্যে কিন্তু একটা পার্থক্য আছে। সাধারণত বিরিয়ানী রান্না করতে আমরা পোলাও আর মাংসটাকে আলাদা ভাবে রান্না করে তারপর একসাথে দমে রাখি। আর তেহারির বেলায় মাংস আগেথেকে রান্নাকরে তারপর পোলাও এর সাথে আবারো রান্না করা হয়। কিন্তু কাচ্চির বেলায় কাঁচা মাংসের সাথেই পোলাওটাকে দমে রেখে রান্না করা হয়।

আহা!!!...ইলিশ খাবো আর সর্ষে দিয়ে রান্না করবো না এমন কি হয়…? বাঙালির ইলিশ খাওয়ার আসল মজা যে সর্ষে ইলিশে । বাঙালির ইলিশ বন্দনায় এই পদের নাম প্রথমেই চলে আসে। আর সেজন্যই আজ " ইলিশ পার্বন" আয়োজনে আমার পরিবেশনায় "সর্ষে ইলিশ"।