ঈদ বা বিভিন্ন দাওয়াত মানেই টেবিল ভর্তি বাহারি মাংসের আইটেম। তাই এসময়ে দুএকটা সবজি আইটেম হলে মন্দ হয় না। সব থেকে ভালো হয় যদি সেটা পোলাউ এর সাথেও সার্ভ করা যায়। তাহলে মেহনদারিতেও দারুন জমে যাবে। তাই এবারের রেসিপি দই বেগুন বা বেগুন বাহার যা শুধু পোলাও নয়, ভাত , রুটি, পরোটা, লুচি সবকিছুতেই বাজিমাত করে দিবে।

অতিথি আপ্যায়নে বা পোলাওয়ের সাথে পরিবেশনের জন্য আমাদের দেশের সবচেয়ে কমন এবং জনপ্রিয় কাবাব হলো বিফ টিকিয়া বা বিফ শামি কাবাব। কোরবানি ঈদের পরে মোটামুটি সবার ফ্রিজেই মাংস থাকে। এই সময় বেশি করে শামি কাবাব বানিয়ে ডিপ করে রেখে দিলে বিকেলের নাস্তা সহ বাচ্চার টিফিন বা মেহমানদারিতে দারুণভাবে কাজে লাগবে ।

বাসায় অতিথি এলে বা ছোটখাট দাওয়াতে পোলাও বা বিরিয়ানির সাথে আমরা মাঝে মধ্যে দুয়েক প্রকার কাবাব ও রাখি। এসময়ে খুব সহজে আর ঝামেলাহীন ভাবে বানানো যায় এরকম কাবাব হলে রাঁধুনির কষ্ট অনেকটাই লাঘব হয়। চাপলী কাবাব হচ্ছে তেমনি একটা কাবাব। অল্প উপকরণে ঝটপট বানানো মজার এই কাবাবের রেসিপি আসুন আজ জেনে নেই।

কাবাব শব্দটা শুনলে সবার আগে মনে আসে বিহারী কাবাবের নাম। এটার আসল নাম বিহারী কাবাব হলেও বাংলাদেশে এটা শিক কাবাব নামেই বেশি পরিচিত। যদিও ইন্ডিয়া পাকিস্তানে শিক কাবাব মাংসের কিমা দিয়ে তৈরী করা হয়, কিন্তু বাংলাদেশে শিক কাবাব বলতে পাতলা পাতলা করে কাটা মাংস শিকে গেঁথে বানানো কাবাব টাকেই বোঝায়, যেটা আসলে বিহারী কাবাব। চলুন দেখে নেই এই বিহারি কাবাব ওরফে বাংলাদেশী শিক কাবাব বানাতে কি কি লাগবে।

পোলাওয়ের সাথে সার্ভ করার জন্য আমার সবথেকে পছন্দের কাবাব হচ্ছে শামি বা টিকিয়া কাবাব। এগুলো খেতে যে কি মজা হয় সেটা তো আপনারা সবাই জানেন। তবে আজ মাংসের বদলে মাছ দিয়ে এই শামি কাবাব বানিয়ে দেখাবো। খুব কম সময়ে ঝামেলাহীন ভাবে বানানো যায়। আর সবথেকে বড় সুবিধা হলো, একদিন সময় করে বেশি করে বানিয়ে রাখলে ৩/৪ মাস ডিপ ফ্রিজে রেখে প্রয়োজনমত ব্যবহার করা যায়। বাচ্চার টিফিন থেকে শুরু করে ঝটপট মেহমানদারিতেও ভীষণ কাজে দেয়।

ইফতারে গতানুগতিক ছোলা ভুনা খেতে খেতে যখন একটু অন্যরকম ছোলার রেসিপি খেতে মন চাইবে তখন কিন্তু এই রেসিপিটি বানিয়ে দেখতে পারেন। খুবই সিম্পল কিন্তু দারুন মজার এই ছোলার চাট। ঢাকার রাস্তার পাশে অথবা স্কুল কলেজের গেটের বাইরে একজন ফুসকা ওয়ালা মামার সাথে একজন ছোলার চাট ওয়ালা মামাকেও কিন্তু দেখা যায়। এই রেসিপি আমি সেই মামাদের ছোলা মাখা থেকে আগ্রহী হয়ে বানিয়েছিলাম। বানিয়ে খাওয়ার পর আপনাদের সাথে শেয়ার না করে পারলাম না। রেসিপিটি অবশ্যই বানিয়ে দেখবেন আর আমাকে জানাতে ভুলবেন যে কেমন লেগেছে...☺️

বাঙালি'র হেঁশেলে যে কত পদের পিঠার রেসিপি থাকে তা সবাই নিশ্চয় জানেন। আর এর বেশিরভাগ'ই মিষ্টি জাতীয়। তবে বাঙালিয়ানা স্বভাব অনুযায়ী আমরা মিষ্টির থেকে ঝাল-মশলাদার খাবার টাই বেশি পছন্দ করি। তো পিঠাটাই বা বাদ যাবে কেন ? তাই ঘরেই তৈরি করে ফেলুন সুস্বাদু একটি ঝাল পিঠা। খুব অল্প সময়ে তৈরি করতে পারবেন। মুরগির মাংস, গরুর মাংস বা চিংড়ী, এমনকি শুধু মাত্র সবজি দিয়ে তৈরি করতে পারবেন এই পিঠা টি। রোজার অথবা কোরবানি ঈদের পর সবার ফ্রিজ মোটামুটি মাংস দিয়ে ভর্তি থাকে। এসময়ে সেই ফ্রেশ মাংস কিমা করে রাখলে করে সময় করে এভাবে বানিয়ে ফেলতে পারেন মুখরোচক এই পিঠা। অথবা কোরবানির পর রান্না ঝুরা মাংস দিয়েও বানাতে পারেন। চলুন দেখি কিভাবে বানাতে হয়।

ইফতারিতে আমাদের বাঙালিদের কাছে আলুর চপ একটা অপরিহার্য আইটেম। প্রতিদিনের ইফতারিতে তো বানানো হয়েই থাকে ,অনেক সময় একটু ভিন্ন ধাঁচের ইফতারি বানালেও দেখা যায় তার মধ্যেও ইনি থাকেন। বিশেষ করে আমার বাসায় এরকমই ঘটনা ঘটে থাকে। সাধারণ আলুর চপ এর পাশাপাশি আমি মাঝে মাঝে এতে একটু ভিন্নতা আনি। এই যেমন কখনো একটু বেশি স্পাইসি, কখনো ধনেপাতা বা পুদিনাপাতার টাচ , কখনো মাংস , কখনো পেঁয়াজ এর পুর ভরে , কখনো সেদ্ধ ডিম চটকে , কখনো সেদ্ধ ডিম কুচিয়ে দিয়ে। সব গুলোই খুবই মজার হয় এবং স্বাদেও ভিন্নতা আনে। তবে সবথেকে সহজ আর পরিবারের সদস্যদের চাহিদা যেটাতে বেশি সেই রেসিপিটাই আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। দেখুন ভালো লাগে কিনা... :)

আমার খুবই পছন্দের একটা পিঠা এটা। আমরা এই পিঠাকে বলি ভাজা পিঠা। আপনারা কি নামে চিনেন?? অনেকেই পাকান পিঠা ,তেলেভাজা পিঠা, পুয়া পিঠা, মালপোয়া পিঠা , তেলের পিঠা ইত্যাদি নাম ডাকেন। নাম যাই হোক বেশিরভাগ মানুষের পছন্দের তালিকায় এই পিঠা টা থাকে। বানানো অন্যান্য সব পিঠার থেকে সহজ। কিন্তু সমস্যা হলো মাঝে মাঝে কেন যেন কিছুতেই এই পিঠা ফুলে না আর গপাগপ তেল শুষে নেয়.....মোটামুটি তেলের শ্রাদ্ধ হয়ে যায়। তারপরও মনখারাপ তো থাকেই। এই রেসিপি মতো করে বানিয়ে দেখুন ইনশাআল্লাহ আপনার পিঠা ফুলবে এবং নরম হবে। :)

আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো ব্যাংককের জনপ্রিয় একটি স্ট্রিট ফুড পটেটো টর্নেডো এর রেসিপি। একে স্পাইরাল পটেটো চিপস বা চিপস ও স্টিক্স ও বলে। স্প্রিং এর মতো দেখতে সুন্দর এই স্নাক্স টি এখন শুধু ব্যাংকক নয় , আরো অন্যানো দেশেও অনেক জনপ্রিয়। খাবারটির আসল বিশেষত্ব হলো এর স্পাইরাল কাটিং যা রেসিপির পাশাপাশি একটি ভিডিওতে দেখিয়ে দিয়েছি। মূলত আলুটাকে কাটা হয় পটেটো স্পাইরাল কাটার দিয়ে যার জন্য এটা দেখতে পেঁচানো স্প্রিং এর মতো লাগে। তবে ভিডিওতে আমি কোনো রকম কাটার ছাড়া কিভাবে ঘরেই এই ভাবে আলু কাটা যাবে সেটা দেখানোর চেষ্টা করেছি। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে... ;)