আমাদের বিকেলের নাস্তায় একটু মুখোরোচক কিছু না হলে যেন চলেই না। আর চায়ের সাথে যদি চপ, পুরি অথবা কচুরি জাতীয় কিছু থাকে তাহলে তো কথায় নেই। আজকের রেসিপি খাস্তা মটর কাচরি অথবা কচুরি তেমনই মুখোরোচক জাতীয় একটি খাবার। এটাকে অবশ্য মটর পুরিও বলা হয়। কোনো রকম বেকিং সোডা/পাউডার ছাড়াই ফুলে একেকটা ঢোল আর বাইরের অংশ টা একদম পারফেক্ট খাস্তা হয়েছে। চলুন দেখে নেই step by step instructions ও ছবি সহ রেসিপিটি :)

চিকেন স্ট্রিপ্স/ ফিঙ্গার /টেন্ডার বা চিকেন ফিলেট যে নামেই ডাকেন না কেন খেতে কিন্তু সেইইইই মজা। বাচ্চা-বুড়ো সবার অনেক পছন্দের এই স্নাক্সটি নিয়ে আমার আজকের রেসিপি । চিকেন স্ট্রিপ্স ( Crispy Chicken Strips ) বিকেলের নাস্তায় বা বাচ্চার টিফিনে দেয়া যাবে। যারা একটু স্বাস্থ্য সচেতন তারা চাইলে তেলে না ভেজে ওভেনে বেক করেও খেতে পারবেন। আর খেতে খুবই সুস্বাদু :)

আমরা সবাই কমবেশি মোগলাই পরোটা বা কিমা খেতে পছন্দ করি আর সেজন্য ছুটি হোটেল-রেস্তোরার পানে। কিন্তু সেগুলো কতটা স্বাস্থ্যকর কখনো ভেবে দেখেছেন কি? রাস্তার পাশের এসব হোটেলের খাবার যারা খেতে চান না, তারা বাড়িতে চাইলেই বানিয়ে নিতে পারেন মজাদার কিমা পরোটা বা মোগলাই কিমা পরোটা। আর এই পরোটাটি বানাতে বেশ সহজ ও খেতেও মজার।

বিকেলের নাস্তায় চায়ের সাথে হালকা কিছু নাস্তা যেন আমাদের নিত্যদিনের জীবনের সাথে মিশে আছে। গরম গরম চায়ের সাথে চিড়া ভাজা, ডাল ভাজা, ঝুড়ি ভাজা, চানাচুর এগুলো খেতে কিন্তু দারুন লাগে। আজ আপনার সাথে শেয়ার করবো আলু ঝুড়ি ভাজা রেসিপি। ছোটবেলায় স্কুল শেষে প্রায়ই কিনে খেতাম। স্কুলের সামনে দাঁড়ানো মামাদের কাছ থেকে একটুকরো পেপারে ১ অথবা ২ টাকায় কিনে নিতাম আর খুড়মুড় করে খেতে খেতে চলে আসতাম বাড়ি। ছোটবেলার এ দিনগুলো সত্যিই অনেক সুন্দর ছিল। আজ চলুন দেখে নেই মজাদার এ আলু ঝুড়ি ভাজা রেসিপিটি।

আজকাল নানারকম ফাস্টফুডের ভিড়ে এই খাবার গুলো কেমন যেন হারিয়ে যাচ্ছে। তবে বরাবরই এগুলো আমার খুব পছন্দের। তাই এবার একবারে বেশি করে বানিয়ে কৌটা ভর্তি করে রেখে দিয়েছি। যেদিন কিছু বানাতে ইচ্ছে করবে না সেদিন বিকেলে চায়ের টেবিলে পরিবেশন করা যাবে।

ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় বা গ্রামের মেলাতে ছোট ছোট একধরণের সিঙ্গাড়া পাওয়া যায় যেগুলো একসাথে ২/৩ টা করেও মুখে পোরা যায়। অনেকে এটাকে কুঁচো বা গুঁড়ো সিঙ্গাড়াও ডেকে থাকেন। আমার অতি প্রিয় সাহিত্যিক প্রায়াত হুমায়ুন আহমেদ স্যারের লেখা “রোদন ভরা এ বসন্ত” উপন্যাসেও এই সিঙ্গাড়ার বর্ণনা আছে। উপন্যাস টা যতবার পড়েছি.. ততবার এই পিচ্চি সিঙাড়ার জন্য মনটা উথাল পাতাল করেছে। মনে হয়েছে, ইশ যদি এক প্লেট পেতাম এখন। তাই এবারের রেসিপি মার্বেল সিঙ্গাড়া বা মিনি সিঙাড়া।

শীত মানেই বাহারি পিঠাপুলির আগমন। তবে এই চিতই পিঠা খাওয়া যায় বছরের যে কোনো সময়। অনেকের ধারণা মাটির চুলা আর টাটকা চালের গুঁড়ো ছাড়া এইপিঠা বানানো সম্ভব। এই ভয়ে আর পিঠাই বানানো হয় না। তাই আজকে চালের গুঁড়ো করার ঝামেলা ছাড়া সহজ পদ্ধতিতে কিভাবে গ্যাসের চুলাতে চিতই পিঠা বানানো যায় সেটাই জানাবো আপনাদের।

ভর্তার কথা উঠলে সবার আগে বাঙালির মনে পড়ে আলুভর্তার নাম। এই খাবারটি বলতে গেলে সবার ঘরেই অহরহ হয়ে থাকে। ভর্তা সাধারণত একেকজন একেক ভাবে খেতে ভালোবাসেন এবং ভর্তা বানানোর পদ্ধতিও আলাদা আলাদা হয়ে থাকে। কিন্তু আলুভর্তা মোটামুটি সবাই একইভাবে বানান। তবু আজকে ৭ টি ভিন্ন স্বাদে ৭ রকম পদ্ধতিতে এই আলুভর্তার রেসিপি নিয়ে এলাম আপনাদের জন্য।

নাম শুনে হয়ত মনে হতে পারে এর নাম জালি কাবাব কেন? এটা আসলে পুরান ঢাকার স্পেশাল কাবাব যার বাইরের আবরণটা জাল বা নেটের মত হয়ে থাকে। এখন কথা হচ্ছে এই জালি ভাব টা আসবে কিভাবে? আমরা সাধারনত কাবাব বানতে ডিমে চুবিয়ে তারপর ব্রেডক্রাম এ গড়িয়ে নেই….এটার ক্ষেত্রে করতে হবে উল্টো.. বাকিটা দেখে নিন রেসিপি তে…

একটা সময় ছিল যখন মুড়ি, মুড়কি আর নানা স্বাদের মোয়া দিয়ে অতিথি আপ্যায়ন ছিল বাঙালির রীতি। তবে আজকালকার শহুরে যান্ত্রিক জীবনে এই খাবার গুলোর খুব একটা দেখা মেলে না।আমার মনে পড়ে ছোটবেলাতে নতুন গুঁড় তৈরি করা হলে আর নতুন মুড়ি ভাজা হলে এই মুড়ির মোয়াটা অবশ্যই বানানো হতো। বৈশাখী রেসিপিতে চলুন জেনে নেই বাঙালীর ঐতিহ্যবাহী নাস্তা মজাদার মুড়ির মোয়া বানানোর পদ্ধতি।