বাসায় ছোট-বড় দাওয়াতে বা নতুন কোনো অতিথি কে নিমন্ত্রণ করে খাওয়াতে চাইলে আমরা ভেবে পাই না কি কি আইটেম রান্না করা যায়। মাছ মাংসের বাইরে সাধারণত সেদ্ধ ডিমের কোরমা আমরা সবাই করে থাকি…আজ একটু ভিন্ন ভাবে মানে ডিমটাকে সেদ্ধ না করে পুডিং এর মত ভাপিয়ে নিয়ে তারপর কোরমা বানানোর রেসিপি শেয়ার করছি। গতানুগতিক মাছ মাংসের বাইরে যত্ন করে রান্না করা এই ভাপা ডিমের কোরমা ইনশাআল্লাহ আপনার অতিথির মন জয় করতে সাহায্য করবে। আমি দেখেছি দাওয়াতে সেদ্ধ ডিম রান্না করলে বাচ্চারা ছাড়া তেমন কেউ নেয় না। আর এভাবে রান্না করে দেখেছি সবাই অনেক আগ্রহ নিয়ে খায় সাথে খুব প্রশংসা ও করে…

শীত মানেই কব্জি ডুবিয়ে সবজি খাবার দিন। কিন্তু বাচ্চাদেরকে বোঝাবে কে? কি শীত কি বর্ষা আর কি গরম……সবজির নামেই সব ভেংচি কাটে। কিন্তু আলু মোটামুটি সব বাচ্চারাই খায় বা খেতে পছন্দ করে। আবার মুচমুচে খাবার বা স্নাক্স টাইপ খাবার বেশ আগ্রহ করেই খায়। তাই বাচ্চাকে যখন সবজি খাওয়াতে হুতু তু তু তু বলে দৌড়াতে হয় তখন চাইলে যে কোনো সবজি (বাচ্চাদের পছন্দের/অপছন্দের) দিয়ে এভাবে বানিয়ে খাওয়াতে পারেন। সাথে একটু চিজ বা পনির দিলে স্বাদ আরো বাড়বে। আশা করছি অতিরিক্ত বুদ্ধিমান বাচ্চা না হলে হাম হাম করে খেয়ে নিবে। এছাড়া বিকেলের নাস্তায় স্বাস্থ্যকর কিছু খেতে চাইলেও এই নাগেটসগুলো ওভেনে বেক করে পরিবেশন করা যাবে।

উত্তর কলকাতার শ্যামবাজার এর পাঁচ মাথার মোড়ের গোলবাড়ির বিখ্যাত কষা মাংসের কথা কমবেশি সবার জানা। তেলে ভাসা, মশলায় মাখা নরম-তুলতুলে গাঢ় খয়েরি রংএর মাংস সাথে গরম মশলার মনমাতানো সৌরভ -সবমিলিয়ে দারুন ব্যাপার। গোলবাড়ির সেই আদি আর অকৃত্রিম কষা মাংসের রেসিপি কিছুটা রহস্যময়। তবে আমার কাছে এটা অনেকটাই আমাদের দেশি কালাভুনার মতো মনে হয়। তাই এবারের রেসিপি ঘরোয়া পদ্ধতিতে কোলকাতা স্টাইলে “মটন কষা/গোলবাড়ির কষা মাংস”। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।

একদা মাছে ভাতে বাঙ্গালির অতিথি আপ্যায়নের জন্য বড় মাছের কালিয়া ছিল অপরিহার্য উপাদান। বিশেষ করে কোন বাড়ির জামাইয়ের পাতের কালিয়া কত বড় ছিল তা নিয়ে ছোটখাটো প্রতিযোগীতা চলতো গ্রামাঞ্চলে। আজকাল এইসব মশলাদার খাবারের চল যেন অনেকটাই কমে গিয়েছে, তবু পালে-পার্বণে দেশীয় এসব খাবার খাওয়া যেতেই পারে। কি বলেন?….. তাই আজকে আপনাদের জন্য পুরোনো কিন্তু খুবই মজাদার একটা মাছের রেসিপি শেয়ার করছি। আর সেটা হলো “মাছের কালিয়া”। পাকা রুই বা কাতলা হলে বেশি ভালো হয় তবে আপনি অন্যান্য বড় মাছ দিয়েও এটা করতে পারবেন।

কাচ্চি বিরিয়ানী খেতে পছন্দ করে না এমন মানুষ খুব কমই আছে। অনেকেই ভাবে এটা রান্না করা খুবই কঠিন। একটু কঠিন বটে তবে অসম্ভব নয়। কাচ্চি বিরিয়ানী আর সাধারণ বিরিয়ানির মধ্যে কিন্তু একটা পার্থক্য আছে। সাধারণত বিরিয়ানী রান্না করতে আমরা পোলাও আর মাংসটাকে আলাদা ভাবে রান্না করে তারপর একসাথে দমে রাখি। আর তেহারির বেলায় মাংস আগেথেকে রান্নাকরে তারপর পোলাও এর সাথে আবারো রান্না করা হয়। কিন্তু কাচ্চির বেলায় কাঁচা মাংসের সাথেই পোলাওটাকে দমে রেখে রান্না করা হয়।

অসংখ্য লেয়ারে সুদৃশ্য লাচ্ছা পরোটা বা ফেনী পরোটা’র রেসিপি নিয়ে এলাম আপনাদের জন্য। আমার ছেলে এটার নাম দিয়েছে “ছেঁড়া পরোটা”,… নামটাও যেমন মজার খেতেও তেমন সুস্বাদু। দেখে হয়তো মনে হতে পারে বানানো বুঝি খুব কঠিন…আসলে কিন্তু খুবই সহজ। লাচ্ছ পরোটা একবার যে খাবে সে বার বার খেতে চাইবে। তাহলে চলুন দেখে নেয়া যাক…!

চটপটি...চটপটি...চটপটি...যার নামটাই চটপটি তাকে চটপট করে খেয়ে ফেলতে হবে !!! তাই তো…? ফুসকা অথবা চটপটি খেতে পছন্দ করি না এমন মানুষ খুজে পাওয়া কষ্টকর। তবে আমরা বাইরের থেকে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বানানো চটপটি অথবা ফুসকা কিনে খেতে ভয় পাই...কিন্তু কোনো চটপটি ওয়ালার দোকানের পাশ দিয়ে হেটে যাওয়ার সময় তার চটপটির ঘ্রানকে অগ্রাহ করার কোনো পথও তো খোলা নেই...কি !!!!.সত্যি বলছি তো।।???

এবারের রেসিপি আমাদের ট্রাডিশনাল ঢাকাই ভেলপুরি। ইন্ডিয়াতে এই নামে আরো একটি স্ট্রিট ফুড আছে যেটা আসলে চানাচুরের তৈরী একটা বিশেষ চাট। আর আমাদের ভেলপুরি দেখতে অনেকটা ফুচকার মতো হলেও খেতে একদম আলাদা। একবার খেলে কেউ ভুলতে পারবেন না। আমি প্রথম খেয়েছিলাম জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে। আজ সেই স্বাদ মুখে লেগে আছে।

আহা!!!...ইলিশ খাবো আর সর্ষে দিয়ে রান্না করবো না এমন কি হয়…? বাঙালির ইলিশ খাওয়ার আসল মজা যে সর্ষে ইলিশে । বাঙালির ইলিশ বন্দনায় এই পদের নাম প্রথমেই চলে আসে। আর সেজন্যই আজ " ইলিশ পার্বন" আয়োজনে আমার পরিবেশনায় "সর্ষে ইলিশ"।

শীতের দিনের স্পেশাল খাবারের মধ্যে নারকেল দুধে হাঁসের মাংস অন্যতম একটি আইটেম। আর এই হাঁস ভুনা’র সাথে গরম গরম চিতই পিঠা/ ছিটরুটি অথবা চালের রুটি যদি হয় তাহলে তো কথায় নেই, জমে এক্কেবারে ক্ষীর! তাই এবারে নিয়ে এলাম ভীষণ মজার নারকেল দুধে হাঁস ভুনার রেসিপি। বাটা মশলায় রান্না করলে বেশি মজা হয়, তবে চাইলে গুঁড়া মশলা দিয়েও রান্না করা যাবে এই নারকেল দুধে হাঁস ভুনার রেসিপি।