বাংলাদেশী বিয়েবাড়িতে কাচ্চি বিরিয়ানির সাথে টক-ঝাল-মিষ্টি আলুবোখারার একটা চাটনী/আচার পরিবেশন করা হয়। চলুন তাহলে আজ দেখে নেয়া যাক সেই স্পেশাল চাটনীর রেসিপি।

খুব সহজে ঘরের সাধারন উপকরণ দিয়ে বানানো মোঘলাই ডেসার্ট শাহী টুকরার রেসিপি এবারে আপনাদের জন্য। ডেজার্টটির আসল স্বাদ পেতে চেষ্টা করবেন অবশ্যই ঘি এবং ঘন দুধ ব্যবহার করতে। মালাই বানানোর জন্য সময় বাঁচাতে চাইলে দোকানের কেনা হেভিক্রিম ও এভাপোরেটেড মিল্ক ব্যবহার করতে পারেন। আর মিষ্টি করার জন্য চিনির বদলে দিতে পারেন কনডেন্সড মিল্ক। তবে সবসময় যেহেতু এগুলো হাতের কাছে পাওয়া যায় না তাই ঘরে থাকা সাধারণ উপকরণেই আমি শাহী টুকরার রেসিপি দিচ্ছি।

ভুনা খিচুড়ি আমরা কম বেশি সবাই পছন্দ করি। আর সেই খিচুড়ির সাথে যদি আচার আর মাংস যোগ হয় তাহলে স্বাদটা আরো বেড়ে যায়। ঝুমঝুম বৃষ্টি’র দিন উদযাপন করতে বা ছোটখাট গেট টুগেদারের পার্টিতে দারুন জমে যাবে এই আচারি চিকেন ভুনা খিচুড়ি। আপনারা চাইলে চিকেনের পরিবর্তে বেঁচে যাওয়া বিফ বা মাটন ভুনা ও ব্যবহার করতে পারেন।

বাসায় একটু মুঘলদের খাবার-দাবার মানে পোলাও, বিরিয়ানী, কোর্মা, কালিয়া জাতীয় খাবার বানালে আমরা সাধারণত কোক বা 7up নিয়ে আসি। কিন্তু এই পঁচা ড্রিঙ্কস গুলোর বদলে খুব সহজে ঘরেই কিন্তু আমরা বোরহানি বানাতে পারি। সেটা খেতেও যেমন মজা তেমনি উপকারীও। আর স্বাদের কথা..? ঠিক যেভাবে আমি রেসিপিটি দিয়েছি সেভাবে একবার করেই দেখুন…… বিয়ে বাড়ি বা পুরান ঢাকার রেস্টুরেন্ট এর বোরহানির থেকে কোনো অংশে কম হবে না, গ্যরান্টি দিলাম। আপনার নিজের তৈরী করা বোরহানি খেয়ে আপনি নিজেই ফিদা হয়ে যাবেন।

আমার আজকের রেসিপি চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী ”কালাভুনা বা গরুর মাংসের কালোভুনা” । চেষ্টা করেছি ঐতিহ্য এবং মূল বৈশিষ্ট বজায় রেখে সহজ ভাবে রান্নাটি দেখাতে। সবসময় ঘরে থাকে এমন কিছু মশলা দিয়েই রান্নাটা করবো যাতে ব্যাচেলর ও নতুন রাঁধুনিরা সহজেই রেসিপিটা অনুসরণ করতে পারেন। ওরে বাবা, এইটা রান্না করতে বহুত ফ্যাচাল। … অতডি মশলা কই পামু?” …বলে হাত গুটিয়ে না থাকেন। তবে হ্যাঁ, স্বাদের কোনো কম্প্রোমাইজ হবে সে আগে থেকেই বলে রাখছি। চলুন তাহলে দেখে নেই বানাতে কি কি লাগবে ….

মাছে ভাতে বাঙালীর নতুন করে মাছের সাথে পরিচয় করিয়ে দেবার কিছু নেই। মাছ ভাজা থেকে শুরু করে ঝোল , চচ্চড়ি, ভুনা , কালিয়া , কোর্মা দেদারসে খাওয়া হয়। তবে আজ একটু ভিন্নরকম মাছের আইটেম নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। আর সেটা হলো ফিস ফ্রাই বা ফিশ পাকোড়া। তবে একটু অন্যভাবে বানানো। ভারতের পাঞ্জাবের আমৃতসরে খুবই পপুলার এই খাবারটি। সাধারণত স্নাক্স হিসেবে খাওয়া হয় তবে চাইলে পোলাওয়ের সাথে সাইড ডিশ হিসেবেও দেয়া যেতে পারে…! শর্ত শুধু একটাই যেকোনো ধরণের সাদা মাংশল মাছ নিতে হবে যেটাতে কোনো ছোট কাঁটা নেই। আর চামড়া টাও ফেলে দিতে হবে। ভেটকি, শোল, পাঙ্গাস, কর্ড, সিলাক্স, পোয়া, কিং ফিশ যে কোনো ধরণের মাছ দিয়েই হবে।

আজকাল বিয়ে বাড়িতে পোলাও এর সাথে একটা বিশেষ সবজি সার্ভ করে যেটা দেখতে অনেকটা চায়নীজ মিক্সড ভেজিটেবলের মতো হলেও খেতে গেলে বোঝা যায় এর মধ্যে একটা শাহী আমেজ আছে। চলুন তাহলে দেখে নেই বিয়ে বাড়ির সেই শাহী সবজির রেসিপি।

ঈদ বা বিভিন্ন দাওয়াত মানেই টেবিল ভর্তি বাহারি মাংসের আইটেম। তাই এসময়ে দুএকটা সবজি আইটেম হলে মন্দ হয় না। সব থেকে ভালো হয় যদি সেটা পোলাউ এর সাথেও সার্ভ করা যায়। তাহলে মেহনদারিতেও দারুন জমে যাবে। তাই এবারের রেসিপি দই বেগুন বা বেগুন বাহার যা শুধু পোলাও নয়, ভাত , রুটি, পরোটা, লুচি সবকিছুতেই বাজিমাত করে দিবে।

অতিথি আপ্যায়নে বা পোলাওয়ের সাথে পরিবেশনের জন্য আমাদের দেশের সবচেয়ে কমন এবং জনপ্রিয় কাবাব হলো বিফ টিকিয়া বা বিফ শামি কাবাব। কোরবানি ঈদের পরে মোটামুটি সবার ফ্রিজেই মাংস থাকে। এই সময় বেশি করে শামি কাবাব বানিয়ে ডিপ করে রেখে দিলে বিকেলের নাস্তা সহ বাচ্চার টিফিন বা মেহমানদারিতে দারুণভাবে কাজে লাগবে ।

বাসায় অতিথি এলে বা ছোটখাট দাওয়াতে পোলাও বা বিরিয়ানির সাথে আমরা মাঝে মধ্যে দুয়েক প্রকার কাবাব ও রাখি। এসময়ে খুব সহজে আর ঝামেলাহীন ভাবে বানানো যায় এরকম কাবাব হলে রাঁধুনির কষ্ট অনেকটাই লাঘব হয়। চাপলী কাবাব হচ্ছে তেমনি একটা কাবাব। অল্প উপকরণে ঝটপট বানানো মজার এই কাবাবের রেসিপি আসুন আজ জেনে নেই।