ইন্ডিয়ান রেস্তোরায় গেলে সব থেকে বেশি যে খাবারটা অর্ডার করা হয় সেটা হলো বাটার চিকেন। কিন্তু চাইলে খুব সহজে ঘরেও এই বাটার চিকেন বানিয়ে নেয়া যায়। তাই এবারে আপনাদের জন্য রয়েছে রেস্টুরেন্ট স্টাইলে দারুন স্বাদের বাটার চিকেন বা মুর্গ মাখানি রেসিপি। সহজ তিনটি ধাপে দেখানোর চেষ্টা করেছি। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে। বাসায় অবশ্যই একবার ট্রাই করবেন। ভাত, পোলাও, লুচি, রুটি, পরোটা বা নান যে কোনো কিছুর সাথেই পরিবেশন করা যাবে!

রোস্ট-রেজালা-কোরমা যত কিছুই রান্না করা হোক না কেন পোলাও ছাড়া কি কোনো উৎসব জমে? আবার এই পোলাও ঠিকমতো রান্না না হলে অন্যান্য মজার খাবারের সেই মজাটা কিছুতেই আসবে না। অথচ ঐসব খাবারের থেকে পোলাও রান্না সবথেকে সহজ আর সময়টাও কম লাগে। তবু মাঝে মধ্যে পোলাও হয় চাল চাল থেকে যাবে, নাহলে বেশি নরম আবার কখনওবা একদমই ঝরঝরা হয় না। তাই আমি আপনাদের কে পারফেক্ট বিয়ে বাড়ির স্টাইলে পোলাও রান্না’র রেসিপি দিচ্ছি গুরুত্বপূর্ণ অনেক টিপসসহ …..চলুন দেখে নেই কি কি লাগবে।

তেহারি আর বিরিয়ানির মধ্যে কিন্তু একটা সুক্ষ পার্থক্য আছে। রান্নার পদ্ধতিতে পার্থক্য তো আছেই সে সাথে তেহারি বিরিয়ানির তুলনায় অনেক হালকা মশলাদার হয় এবং রংটাও অনেক লাইট থাকে বিরিয়ানির মতো কালারফুল হয় না। আমরা অনেকেই তেহারি রান্নাতে প্রয়োজনের অতিরিক্ত মশলা দিয়ে বিরিয়ানী বানিয়ে ফেলেন …দোকানের তেহারির মতো কালারটাও আসে না। তাছাড়া সবধরণের মশলা তেহারীতে যায় ও না। পুরান ঢাকার অধিকাংশ তেহারি হাউজে যে রেসিপিতে রান্না করা হয় তার মূল বৈশিষ্ট হচ্ছে ”সাদামাটা মশলা” …..আমি চেষ্টা করেছি সেভাবেই রান্না করতে আর ফলাফল অতুলনীয়। দেখে নিন সেই রাজকীয় স্বাদের তেহারির সাদামাটা রেসিপি।

ছুটির দিন স্পেশাল কিছু খেতে ইচ্ছে করছে বা হঠাৎ অতিথি এসেছে ঘরে কয়েক রকম রান্না করার সময় বা উপকরণ কোনটাই হাতে নেই …সেক্ষেত্রে বিরিয়ানি হতে পারে মোক্ষম রেসিপি। কিন্তু ঘরে মাংস আর পোলাউ এর চাল থাকলেও নেই যে বিরিয়ানি মশলা… এখন? কোনো ব্যাপার না….এই ঘরোয়া রেসিপি তে রান্না করে দেখুন আপনার বিরিয়ানি একটু ও খারাপ হবে না…..ট্রাই করে দেখবেন নাকি…???

বিশেষ দিনগুলোতে অথবা বাড়িতে অনুষ্ঠান আয়োজনে বিভিন্ন রেসিপি রান্না করতে চাইলে আগে মশলার কথা ভাবতে হয়...প্রত্যেকটি আলাদা রেসিপির জন্য আলাদা মশলা ব্যবহার কয়রা হয়। তাই আজ নিয়ে এসেছি শাহী গরম মশলা গুঁড়া....বিরিয়ানী , কাবাব, রোস্ট , রেজালা বা যে কোনো ধরণের মাংস রান্না করতে চোখ বন্ধ করে ব্যবহার করা যায়। আমি সবসময় এক কৌটা এভাবে গুঁড়া করে ঘরে রেখে দেই, সময়ে-অসময়ে দারুন কাজে দেয় :)

যে কোনো ধরণের উৎসব বা অনুষ্ঠানে মোঘলাই খাবার একটা আলাদা মাত্রা যোগ করে। ঈদ, বিয়ে বা জামাই আপ্যায়নে মোঘলাই খানার জুড়ি মেলা ভার। আস্ত মুরগীর রোস্ট বা মোরগ মোসাল্লাম তেমনি একটা নাম। আজ আমি আপনাদের সাথে খুবই টেস্টি কিন্তু সহজ উপায়ে তৈরী করা যাবে এমন একটা মুর্গ বা মোরগ মোসাল্লামের রেসিপি শেয়ার করবো। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।

আমি বিফ কিমা দিয়ে করেছি আপনারা চাইলে মাটন, চিকেন বা টুনা ফিস দিয়েও করতে পারেন।

যেকোনো ধরণের ছোট/বড় মাছ দিয়ে এই ভর্তাটা করা যাবে। যেমন, টাকি, পাঙ্গাস, রুই, কাতলা, ইলিশ, তেলাপিয়া ইত্যাদি।

মাছের রাজা ইলিশের সব রান্নাই অনেক মজাদার। এবারে আপনাদের জন্য মাওয়া ঘাটের মতো করে ঝাল ঝাল ইলিশের লেজের ভর্তা নিয়ে এলাম । আশা করি ভালো লাগবে।

বৈশাখে ভর্তা পরিবেশন না করলে যেন বৈশাখ পরিপূর্ণ মনে হয় না । নানান পদের ভর্তা ও গরম ধোয়া ওঠা ভাত দিয়ে দুপুরে খাবারের আয়োজনটা যেন জমপেশ হয়ে যায় । অথবা ইদ আয়োজনে প্রচুর মাংসের আয়োজন শেষ করে যেন একটু সাদামাটা খাবার খেতে মন চায়। সেই সাদামাটা খাবারটা কিন্তু হতে পারে এই কুচো চিংড়ি ভর্তা। চিংড়ি মাছটা বেশ সবাই খেতে পছন্দ করে। সবাই কম বেশি এই ভর্তাটি খেতে পছন্দ করি আর আমার তো বেশ প্রিয় এই ভর্তাটি। তাহলে চলুন কথা না বাড়িয়ে দেখে নেই এই মজার ভর্তা রেসিপিটি।