আমার আজকের রেসিপি চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী ”কালাভুনা বা গরুর মাংসের কালোভুনা” । চেষ্টা করেছি ঐতিহ্য এবং মূল বৈশিষ্ট বজায় রেখে সহজ ভাবে রান্নাটি দেখাতে। সবসময় ঘরে থাকে এমন কিছু মশলা দিয়েই রান্নাটা করবো যাতে ব্যাচেলর ও নতুন রাঁধুনিরা সহজেই রেসিপিটা অনুসরণ করতে পারেন। ওরে বাবা, এইটা রান্না করতে বহুত ফ্যাচাল। … অতডি মশলা কই পামু?” …বলে হাত গুটিয়ে না থাকেন। তবে হ্যাঁ, স্বাদের কোনো কম্প্রোমাইজ হবে সে আগে থেকেই বলে রাখছি। চলুন তাহলে দেখে নেই বানাতে কি কি লাগবে ….

ছুটির দিনে স্পেশাল খাবার বলতে পোলাও , মাংস বা বিরিয়ানী টাইপের খাবারই বেশি খাওয়া হয় সবার। মাছ থাকলেও ভুনা বা ফ্রাই করা হয়। এবার শুধু মাছ দিয়েই করে দেখুন মজাদার এই ডিশটি যা আপনাকে স্পেশাল খাবার এর আমেজ ও দিবে সাথে ভরপুর প্রোটিন। সহজে তৈরী করা যায় বলে যারা মাছ পছন্দ করেন তাদের আশা করি রেসিপি টি অনেক ভালো লাগবে …!

মাছে ভাতে বাঙালীর নতুন করে মাছের সাথে পরিচয় করিয়ে দেবার কিছু নেই। মাছ ভাজা থেকে শুরু করে ঝোল , চচ্চড়ি, ভুনা , কালিয়া , কোর্মা দেদারসে খাওয়া হয়। তবে আজ একটু ভিন্নরকম মাছের আইটেম নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। আর সেটা হলো ফিস ফ্রাই বা ফিশ পাকোড়া। তবে একটু অন্যভাবে বানানো। ভারতের পাঞ্জাবের আমৃতসরে খুবই পপুলার এই খাবারটি। সাধারণত স্নাক্স হিসেবে খাওয়া হয় তবে চাইলে পোলাওয়ের সাথে সাইড ডিশ হিসেবেও দেয়া যেতে পারে…! শর্ত শুধু একটাই যেকোনো ধরণের সাদা মাংশল মাছ নিতে হবে যেটাতে কোনো ছোট কাঁটা নেই। আর চামড়া টাও ফেলে দিতে হবে। ভেটকি, শোল, পাঙ্গাস, কর্ড, সিলাক্স, পোয়া, কিং ফিশ যে কোনো ধরণের মাছ দিয়েই হবে।

ডিম দিয়ে বানানো সবচাইতে সহজ একটা স্নাক্সের নাম হলো এই ডিমের পাকোড়া বা এগ পাকোড়া। যেটা আপনি ইফতার, বিকেলের নাস্তা বা বাচ্চার টিফিনে দিতে পারবেন। খুব সহজ আর মজাদার একটা খাবার।

বিকেলের নাস্তায় ঝটপট কিছু বানানোর কথা ভাবছেন..? বা হঠাৎ আসা কোনো অতিথির সামনে গরম গরম কিছু রাখতে চাইছেন? তাহলে এই ঝাল পোয়া পিঠা হতে পারে একটা অন্যতম সমাধান। তাছাড়া যারা মিষ্টি কম পছন্দ করেন বা খেতে চান না তারা এই পিঠা টা বানিয়ে দেখতে পারেন….খুব ভালো লাগবে।

আজকাল বিয়ে বাড়িতে পোলাও এর সাথে একটা বিশেষ সবজি সার্ভ করে যেটা দেখতে অনেকটা চায়নীজ মিক্সড ভেজিটেবলের মতো হলেও খেতে গেলে বোঝা যায় এর মধ্যে একটা শাহী আমেজ আছে। চলুন তাহলে দেখে নেই বিয়ে বাড়ির সেই শাহী সবজির রেসিপি।

ঈদ বা বিভিন্ন দাওয়াত মানেই টেবিল ভর্তি বাহারি মাংসের আইটেম। তাই এসময়ে দুএকটা সবজি আইটেম হলে মন্দ হয় না। সব থেকে ভালো হয় যদি সেটা পোলাউ এর সাথেও সার্ভ করা যায়। তাহলে মেহনদারিতেও দারুন জমে যাবে। তাই এবারের রেসিপি দই বেগুন বা বেগুন বাহার যা শুধু পোলাও নয়, ভাত , রুটি, পরোটা, লুচি সবকিছুতেই বাজিমাত করে দিবে।

অতিথি আপ্যায়নে বা পোলাওয়ের সাথে পরিবেশনের জন্য আমাদের দেশের সবচেয়ে কমন এবং জনপ্রিয় কাবাব হলো বিফ টিকিয়া বা বিফ শামি কাবাব। কোরবানি ঈদের পরে মোটামুটি সবার ফ্রিজেই মাংস থাকে। এই সময় বেশি করে শামি কাবাব বানিয়ে ডিপ করে রেখে দিলে বিকেলের নাস্তা সহ বাচ্চার টিফিন বা মেহমানদারিতে দারুণভাবে কাজে লাগবে ।

বাসায় অতিথি এলে বা ছোটখাট দাওয়াতে পোলাও বা বিরিয়ানির সাথে আমরা মাঝে মধ্যে দুয়েক প্রকার কাবাব ও রাখি। এসময়ে খুব সহজে আর ঝামেলাহীন ভাবে বানানো যায় এরকম কাবাব হলে রাঁধুনির কষ্ট অনেকটাই লাঘব হয়। চাপলী কাবাব হচ্ছে তেমনি একটা কাবাব। অল্প উপকরণে ঝটপট বানানো মজার এই কাবাবের রেসিপি আসুন আজ জেনে নেই।

কাবাব শব্দটা শুনলে সবার আগে মনে আসে বিহারী কাবাবের নাম। এটার আসল নাম বিহারী কাবাব হলেও বাংলাদেশে এটা শিক কাবাব নামেই বেশি পরিচিত। যদিও ইন্ডিয়া পাকিস্তানে শিক কাবাব মাংসের কিমা দিয়ে তৈরী করা হয়, কিন্তু বাংলাদেশে শিক কাবাব বলতে পাতলা পাতলা করে কাটা মাংস শিকে গেঁথে বানানো কাবাব টাকেই বোঝায়, যেটা আসলে বিহারী কাবাব। চলুন দেখে নেই এই বিহারি কাবাব ওরফে বাংলাদেশী শিক কাবাব বানাতে কি কি লাগবে।