এই ঈদে তৈরি করুন একটু ভিন্নধর্মী নাস্তা চিকেন পাই। খুবই সহজ রেসিপি এবং খেতেও ভীষণ মজা। আতিথি আপনার তারিফ করবেই । আশা করি ভালো লাগবে।

ঢাকার বেশিরভাগ ছোট ছোট ফাস্ট ফুডের দোকান বা ক্যান্টিন গুলোতে বেশিকরে পেঁয়াজ আর চিকেনের পুর ভরা একরকম রোল পাওয়া যায়। সেই রোলের কাভারের বাইরের অংশ কুড়মুড়ে হলেও ভেতরটা একদম নরম থাকে ... সাধারণ স্প্রিং রোল থেকে একদম আলাদা স্বাদ। আজ অনেকদিন পর সেই স্বাদ ফিরে পেলাম , আর বানানো তো একদমই সহজ। আমি মূল পদ্ধতি ঠিক রেখে বাকিটা নিজের মতো করে করেছি। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে :)

আমাদের বিকেলের নাস্তায় একটু মুখোরোচক কিছু না হলে যেন চলেই না। আর চায়ের সাথে যদি চপ, পুরি অথবা কচুরি জাতীয় কিছু থাকে তাহলে তো কথায় নেই। আজকের রেসিপি খাস্তা মটর কাচরি অথবা কচুরি তেমনই মুখোরোচক জাতীয় একটি খাবার। এটাকে অবশ্য মটর পুরিও বলা হয়। কোনো রকম বেকিং সোডা/পাউডার ছাড়াই ফুলে একেকটা ঢোল আর বাইরের অংশ টা একদম পারফেক্ট খাস্তা হয়েছে। চলুন দেখে নেই step by step instructions ও ছবি সহ রেসিপিটি :)

চিকেন স্ট্রিপ্স/ ফিঙ্গার /টেন্ডার বা চিকেন ফিলেট যে নামেই ডাকেন না কেন খেতে কিন্তু সেইইইই মজা। বাচ্চা-বুড়ো সবার অনেক পছন্দের এই স্নাক্সটি নিয়ে আমার আজকের রেসিপি । চিকেন স্ট্রিপ্স ( Crispy Chicken Strips ) বিকেলের নাস্তায় বা বাচ্চার টিফিনে দেয়া যাবে। যারা একটু স্বাস্থ্য সচেতন তারা চাইলে তেলে না ভেজে ওভেনে বেক করেও খেতে পারবেন। আর খেতে খুবই সুস্বাদু :)

আমরা সবাই কমবেশি মোগলাই পরোটা বা কিমা খেতে পছন্দ করি আর সেজন্য ছুটি হোটেল-রেস্তোরার পানে। কিন্তু সেগুলো কতটা স্বাস্থ্যকর কখনো ভেবে দেখেছেন কি? রাস্তার পাশের এসব হোটেলের খাবার যারা খেতে চান না, তারা বাড়িতে চাইলেই বানিয়ে নিতে পারেন মজাদার কিমা পরোটা বা মোগলাই কিমা পরোটা। আর এই পরোটাটি বানাতে বেশ সহজ ও খেতেও মজার।

ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় বা গ্রামের মেলাতে ছোট ছোট একধরণের সিঙ্গাড়া পাওয়া যায় যেগুলো একসাথে ২/৩ টা করেও মুখে পোরা যায়। অনেকে এটাকে কুঁচো বা গুঁড়ো সিঙ্গাড়াও ডেকে থাকেন। আমার অতি প্রিয় সাহিত্যিক প্রায়াত হুমায়ুন আহমেদ স্যারের লেখা “রোদন ভরা এ বসন্ত” উপন্যাসেও এই সিঙ্গাড়ার বর্ণনা আছে। উপন্যাস টা যতবার পড়েছি.. ততবার এই পিচ্চি সিঙাড়ার জন্য মনটা উথাল পাতাল করেছে। মনে হয়েছে, ইশ যদি এক প্লেট পেতাম এখন। তাই এবারের রেসিপি মার্বেল সিঙ্গাড়া বা মিনি সিঙাড়া।

শীত মানেই কব্জি ডুবিয়ে সবজি খাবার দিন। কিন্তু বাচ্চাদেরকে বোঝাবে কে? কি শীত কি বর্ষা আর কি গরম……সবজির নামেই সব ভেংচি কাটে। কিন্তু আলু মোটামুটি সব বাচ্চারাই খায় বা খেতে পছন্দ করে। আবার মুচমুচে খাবার বা স্নাক্স টাইপ খাবার বেশ আগ্রহ করেই খায়। তাই বাচ্চাকে যখন সবজি খাওয়াতে হুতু তু তু তু বলে দৌড়াতে হয় তখন চাইলে যে কোনো সবজি (বাচ্চাদের পছন্দের/অপছন্দের) দিয়ে এভাবে বানিয়ে খাওয়াতে পারেন। সাথে একটু চিজ বা পনির দিলে স্বাদ আরো বাড়বে। আশা করছি অতিরিক্ত বুদ্ধিমান বাচ্চা না হলে হাম হাম করে খেয়ে নিবে। এছাড়া বিকেলের নাস্তায় স্বাস্থ্যকর কিছু খেতে চাইলেও এই নাগেটসগুলো ওভেনে বেক করে পরিবেশন করা যাবে।

চটপটি...চটপটি...চটপটি...যার নামটাই চটপটি তাকে চটপট করে খেয়ে ফেলতে হবে !!! তাই তো…? ফুসকা অথবা চটপটি খেতে পছন্দ করি না এমন মানুষ খুজে পাওয়া কষ্টকর। তবে আমরা বাইরের থেকে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বানানো চটপটি অথবা ফুসকা কিনে খেতে ভয় পাই...কিন্তু কোনো চটপটি ওয়ালার দোকানের পাশ দিয়ে হেটে যাওয়ার সময় তার চটপটির ঘ্রানকে অগ্রাহ করার কোনো পথও তো খোলা নেই...কি !!!!.সত্যি বলছি তো।।???

এবারের রেসিপি আমাদের ট্রাডিশনাল ঢাকাই ভেলপুরি। ইন্ডিয়াতে এই নামে আরো একটি স্ট্রিট ফুড আছে যেটা আসলে চানাচুরের তৈরী একটা বিশেষ চাট। আর আমাদের ভেলপুরি দেখতে অনেকটা ফুচকার মতো হলেও খেতে একদম আলাদা। একবার খেলে কেউ ভুলতে পারবেন না। আমি প্রথম খেয়েছিলাম জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে। আজ সেই স্বাদ মুখে লেগে আছে।

বিকালের নাস্তায় চায়ের সাথে ধোঁয়া ওঠা গরমা গরম সিঙ্গারা কার না পছন্দের! খুব সাধারণ কিছু উপকরণ দিয়ে সহজেই তৈরি করা যায় দারুণ মজার এই স্নাকস টি। অনেকে বাড়িতে এটা করেও থাকেন। এত যত্ন করে বানানোর পরেও কেন যেন কিছুতেই দোকানের সিঙ্গারার মত হয় না। ভাজার সময় মুচমুচা দেখালেও নামানোর পরেই কেন যেন নরম হয়ে যায়। আর দোকানের সিঙ্গারার মত গা টা মসৃণ হয় না।