অন্যান্য মাংস রান্নায় সাধারণ বা শাহী যেকোনো একটা গরম মশলা দিলেই চলে। কিন্তু বিয়ে বাড়ির স্টাইলে বা অরিজিনাল স্বাদে রোস্ট রান্না করতে চাইলে যেকোনো একটা গরম মশলা দিলেই হবে না। কারণ রোস্ট এর সাথে সবধরণের মশলা মানায় না। তাই বিয়ে বাড়ির মত সুস্বাদু করে রোস্ট রান্না করতে চাইলে অবশ্যই রোস্ট মশলা ব্যবহার করা উচিত। চলুন দেখে নেই বাবুর্চি স্টাইলে রোস্ট মশলার রেসিপি।

তেহারি আর বিরিয়ানির মধ্যে কিন্তু একটা সুক্ষ পার্থক্য আছে। রান্নার পদ্ধতিতে পার্থক্য তো আছেই সে সাথে তেহারি বিরিয়ানির তুলনায় অনেক হালকা মশলাদার হয় এবং রংটাও অনেক লাইট থাকে বিরিয়ানির মতো কালারফুল হয় না। আমরা অনেকেই তেহারি রান্নাতে প্রয়োজনের অতিরিক্ত মশলা দিয়ে বিরিয়ানী বানিয়ে ফেলেন …দোকানের তেহারির মতো কালারটাও আসে না। তাছাড়া সব ধরণের মশলা তেহারীতে যায় ও না। তাই এবারে আপনাদের জন্য রইলো আসল তেহারি মশলার রেসিপি।

কাবাবের সাথে নানরুটি ঠিক যেন মানিক জোড়। তাছাড়া হোটেল স্টাইলে সবজি বা মাংসের অন্যান্য পদের সাথেও দারুণভাবে মানিয়ে যায়। কাবাবের হোটেল গুলোতে নান রুটি সাধারনত তৈরি করা হয় তন্দুর চুলা বা ওভেনে। বাসায় তো আর তন্দুর বানানো সম্ভব না। আর সবার বাসায় ওভেন ও থাকে না, তাহলে উপায়? তাই এবারের রেসিপি থেকে শিখে নিতে পারবেন গ্যাসের চুলাতেই কিভাবে নান রুটি বানানো যায়। একবার একটু চেষ্টা করেই দেখুন না মজাদার নান রুটি বাসায় হয় কিনা।

বাংলাদেশী বিয়েবাড়িতে কাচ্চি বিরিয়ানির সাথে টক-ঝাল-মিষ্টি আলুবোখারার একটা চাটনী/আচার পরিবেশন করা হয়। চলুন তাহলে আজ দেখে নেয়া যাক সেই স্পেশাল চাটনীর রেসিপি।

আচার কমবেশি সবাই পছন্দ করে কিন্তু সেটাই যদি হয় একটু সাস্থ্যকর, তাহলে কেমন হবে? আপনারা সবাই জানেন রসুন আমাদের সাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারী। সেই রসুন দিয়েই আপনাদের জন্য আজ থাকছে অনেক মজার একটা আচার। আমার ঘরে মোটামুটি সবসময় এই আচার টা থাকে … কখনো শুধু রসুনের , কখনো সাথে আম /তেঁতুল/ চালতা / জলপাই বা আপেল দিয়ে। তবে আমি আজ আমের রেসিপি দিচ্ছি …চাইলে আপনারা আম বাদে শুধু রসুন বা আপনার পছন্দমত যেকোনো টকফল দিয়েও বানাতে পারেন জিভে জল আনা এই টক-ঝাল-মিষ্টি রসুনের আচার।

আমরা সবাই কমবেশি মোগলাই পরোটা খেতে পছন্দ করি আর সেজন্য ছুটি হোটেল-রেস্তোরার পানে। কিন্তু সেগুলো কতটা স্বাস্থ্যকর কখনো ভেবে দেখেছেন কি? রাস্তার পাশের এসব হোটেলের খাবার যারা খেতে চান না, তারা বাড়িতে চাইলেই বানিয়ে নিতে পারেন মজাদার মোগলাই পরোটা।

বাসায় একটু মুঘলদের খাবার-দাবার মানে পোলাও, বিরিয়ানী, কোর্মা, কালিয়া জাতীয় খাবার বানালে আমরা সাধারণত কোক বা 7up নিয়ে আসি। কিন্তু এই পঁচা ড্রিঙ্কস গুলোর বদলে খুব সহজে ঘরেই কিন্তু আমরা বোরহানি বানাতে পারি। সেটা খেতেও যেমন মজা তেমনি উপকারীও। আর স্বাদের কথা..? ঠিক যেভাবে আমি রেসিপিটি দিয়েছি সেভাবে একবার করেই দেখুন…… বিয়ে বাড়ি বা পুরান ঢাকার রেস্টুরেন্ট এর বোরহানির থেকে কোনো অংশে কম হবে না, গ্যরান্টি দিলাম। আপনার নিজের তৈরী করা বোরহানি খেয়ে আপনি নিজেই ফিদা হয়ে যাবেন।

মাছে ভাতে বাঙালীর নতুন করে মাছের সাথে পরিচয় করিয়ে দেবার কিছু নেই। মাছ ভাজা থেকে শুরু করে ঝোল , চচ্চড়ি, ভুনা , কালিয়া , কোর্মা দেদারসে খাওয়া হয়। তবে আজ একটু ভিন্নরকম মাছের আইটেম নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। আর সেটা হলো ফিস ফ্রাই বা ফিশ পাকোড়া। তবে একটু অন্যভাবে বানানো। ভারতের পাঞ্জাবের আমৃতসরে খুবই পপুলার এই খাবারটি। সাধারণত স্নাক্স হিসেবে খাওয়া হয় তবে চাইলে পোলাওয়ের সাথে সাইড ডিশ হিসেবেও দেয়া যেতে পারে…! শর্ত শুধু একটাই যেকোনো ধরণের সাদা মাংশল মাছ নিতে হবে যেটাতে কোনো ছোট কাঁটা নেই। আর চামড়া টাও ফেলে দিতে হবে। ভেটকি, শোল, পাঙ্গাস, কর্ড, সিলাক্স, পোয়া, কিং ফিশ যে কোনো ধরণের মাছ দিয়েই হবে।

শীতের সময় গরম খাবার খেতে একটু বেশিই আরাম লাগে। শীতের বিকেলের নাস্তায় ভাজাপোড়ার বদলে এক পেয়ালা ধোয়া ওঠা স্যুপ কিন্তু চমৎকার মানিয়ে যায়। পেটটাও যেমন ভরে তেমনি স্বাস্থ্যকর ও বটে। তাছাড়া রোগীর পথ্য হিসেবেও এই স্যুপ দারুন মানানসই। এই স্যুপটা আসলে অনেকভাবেই বানানো যায়… আমি সবথেকে সহজ পদ্ধতি টা দেখাচ্ছি!

ডিম দিয়ে বানানো সবচাইতে সহজ একটা স্নাক্সের নাম হলো এই ডিমের পাকোড়া বা এগ পাকোড়া। যেটা আপনি ইফতার, বিকেলের নাস্তা বা বাচ্চার টিফিনে দিতে পারবেন। খুব সহজ আর মজাদার একটা খাবার।