আমাদের দেশের অধিকাংশ ছোট ছোট হোটেলে সকালের নাস্তার জন্য একপ্রকার বিশেষ সবজি রান্না হয় যেটাকে সাধারণত সবজি ভাজি বা ডাল ভাজি বলে ডাকা হয়। ডালভাজি বলার কারণ এই সবজি রান্নাতে ছোলারডাল ব্যবহার করা হয়। খেতে যে কি মজার তা যে না খেয়েছে সে কিছুতেই বুঝবে না। তাই এবারে আপনাদের জন্য আমার আয়োজন বাংলা হোটেল স্টাইলে সকালের নাস্তার সবজি ভাজি/ডাল ভাজি…হুবুহু হোটেলের স্বাদে।সকালের নাস্তায় পরোটা/রুটি/লুচির সাথে জাস্ট জমে যাবে।

আজকাল বিয়ে বাড়িতে পোলাও এর সাথে একটা বিশেষ সবজি সার্ভ করে যেটা দেখতে অনেকটা চায়নীজ মিক্সড ভেজিটেবলের মতো হলেও খেতে গেলে বোঝা যায় এর মধ্যে একটা শাহী আমেজ আছে। চলুন তাহলে দেখে নেই বিয়ে বাড়ির সেই শাহী সবজির রেসিপি।

ঈদ বা বিভিন্ন দাওয়াত মানেই টেবিল ভর্তি বাহারি মাংসের আইটেম। তাই এসময়ে দুএকটা সবজি আইটেম হলে মন্দ হয় না। সব থেকে ভালো হয় যদি সেটা পোলাউ এর সাথেও সার্ভ করা যায়। তাহলে মেহনদারিতেও দারুন জমে যাবে। তাই এবারের রেসিপি দই বেগুন বা বেগুন বাহার যা শুধু পোলাও নয়, ভাত , রুটি, পরোটা, লুচি সবকিছুতেই বাজিমাত করে দিবে।

আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো ব্যাংককের জনপ্রিয় একটি স্ট্রিট ফুড পটেটো টর্নেডো এর রেসিপি। একে স্পাইরাল পটেটো চিপস বা চিপস ও স্টিক্স ও বলে। স্প্রিং এর মতো দেখতে সুন্দর এই স্নাক্স টি এখন শুধু ব্যাংকক নয় , আরো অন্যানো দেশেও অনেক জনপ্রিয়। খাবারটির আসল বিশেষত্ব হলো এর স্পাইরাল কাটিং যা রেসিপির পাশাপাশি একটি ভিডিওতে দেখিয়ে দিয়েছি। মূলত আলুটাকে কাটা হয় পটেটো স্পাইরাল কাটার দিয়ে যার জন্য এটা দেখতে পেঁচানো স্প্রিং এর মতো লাগে। তবে ভিডিওতে আমি কোনো রকম কাটার ছাড়া কিভাবে ঘরেই এই ভাবে আলু কাটা যাবে সেটা দেখানোর চেষ্টা করেছি। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে... ;)

বিকেলের নাস্তায় চায়ের সাথে হালকা কিছু নাস্তা যেন আমাদের নিত্যদিনের জীবনের সাথে মিশে আছে। গরম গরম চায়ের সাথে চিড়া ভাজা, ডাল ভাজা, ঝুড়ি ভাজা, চানাচুর এগুলো খেতে কিন্তু দারুন লাগে। আজ আপনার সাথে শেয়ার করবো আলু ঝুড়ি ভাজা রেসিপি। ছোটবেলায় স্কুল শেষে প্রায়ই কিনে খেতাম। স্কুলের সামনে দাঁড়ানো মামাদের কাছ থেকে একটুকরো পেপারে ১ অথবা ২ টাকায় কিনে নিতাম আর খুড়মুড় করে খেতে খেতে চলে আসতাম বাড়ি। ছোটবেলার এ দিনগুলো সত্যিই অনেক সুন্দর ছিল। আজ চলুন দেখে নেই মজাদার এ আলু ঝুড়ি ভাজা রেসিপিটি।

শীত মানেই কব্জি ডুবিয়ে সবজি খাবার দিন। কিন্তু বাচ্চাদেরকে বোঝাবে কে? কি শীত কি বর্ষা আর কি গরম……সবজির নামেই সব ভেংচি কাটে। কিন্তু আলু মোটামুটি সব বাচ্চারাই খায় বা খেতে পছন্দ করে। আবার মুচমুচে খাবার বা স্নাক্স টাইপ খাবার বেশ আগ্রহ করেই খায়। তাই বাচ্চাকে যখন সবজি খাওয়াতে হুতু তু তু তু বলে দৌড়াতে হয় তখন চাইলে যে কোনো সবজি (বাচ্চাদের পছন্দের/অপছন্দের) দিয়ে এভাবে বানিয়ে খাওয়াতে পারেন। সাথে একটু চিজ বা পনির দিলে স্বাদ আরো বাড়বে। আশা করছি অতিরিক্ত বুদ্ধিমান বাচ্চা না হলে হাম হাম করে খেয়ে নিবে। এছাড়া বিকেলের নাস্তায় স্বাস্থ্যকর কিছু খেতে চাইলেও এই নাগেটসগুলো ওভেনে বেক করে পরিবেশন করা যাবে।

আস্সালামুআলাইকুম। সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি আমার আজকের এপিসোডে। আপনাদের জন্য খুবই হেলদি এবং টেস্টি একটা রাস্তা তৈরি করে দেখাবো যেটা আপনারা সকাল বিকেলের নাস্তা অথবা বাচ্চার টিফিনের জন্য বানাতে পারেন। আপনারা সবাই জানেন ডিম আমাদের জন্য খুবই স্বাস্থকর এবং উপকারী একটা খাবার। বিশেষ করে সকালের নাস্তায় যদি ডিম খাওয়া যায় তাহলে অনেক্ষন যাবৎ পেট ভরা থাকে আর ক্ষুধাও কম লাগে এবং এটা আপনার অল্পতেই পেটটাকে ভরিয়ে দেয়।