খাস্তা মটর কাচরী / কচুরি রেসিপি

খাস্তা মটর কাচরী / কচুরি
খাস্তা মটর কাচরী / কচুরি

খাস্তা মটর কাচরী / কচুরি রেসিপি


আমাদের বিকেলের নাস্তায় একটু মুখোরোচক কিছু না হলে যেন চলেই না। আর চায়ের সাথে যদি চপ, পুরি অথবা কচুরি জাতীয় কিছু থাকে তাহলে তো কথায় নেই। আজকের রেসিপি খাস্তা মটর কাচরি অথবা কচুরি তেমনই মুখোরোচক একটি খাবার। এটাকে অবশ্য মটর পুরিও বলা হয়।
কোনো রকম বেকিং সোডা/পাউডার ছাড়াই ফুলে একেকটা ঢোল আর বাইরের অংশ টা একদম পারফেক্ট খাস্তা হয়েছে। চলুন দেখে নেই step by step instructions ও ছবি সহ রেসিপিটি 🙂

উপকরণ

  • ২ কাপ ময়দা
  • ২ টেবিলচামচ ঘি/তেল
  • ১/২ কাপ বা পরিমাণমতো পানি
  • ১ চা চামচ চিনি
  • ১/২ চা চামচ (অথবা স্বাদ অনুযায়ী) লবন

পেস্ট বানাতে লাগবে :

  • ১/২ কাপ ময়দা
  • ১/৪ কাপ ঘি/তেল (আমি তেল দিয়েই করেছি )

পুরের জন্য লাগবে :

  • ১ কাপ মটর দানা ফ্রোজেন বা ফ্রেশ
  • ১ টি পেঁয়াজকুচি ছোট
  • ১ টি আলু সেদ্ধ

    (ছোট )

  • ১/২ চা চামচ জিরা আধাভাঙ্গা
  • ১/২ চা চামচ মৌরি আধাভাঙ্গা
  • ২/৩ টি কাঁচা মরিচ কুচি
  • ১/২ চা চামচ আমচুর পাউডার
  • ১/২ চা চামচ আদা বাটা
  • ১/২ চা চামচ মরিচ গুঁড়া
  • ১ টেবিল চামচ তেল
  • প্রয়োজনমতো লবন
  • দেড় কাপ তেল ডুবোতেলে ভাজার জন্য

প্রস্তুত প্রণালী

  • প্রথমেই ২ কাপ ময়দাতে লবন ও চিনি মিশিয়ে পরিমাণমতো পানি দিয়ে পরোটার খামিরের থেকে একটু টাইট খামির বানিয়ে ঢেকে আধাঘন্টার জন্য দেখে দিন। একটা ছোট বাটিতে বাকি ময়দা ও তেল মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে রাখুন। এই পেস্টটা পরে আমরা রুটির উপর ব্রাশ করবো।
  • এবার একটা প্যানে তেল গরম করে আধভাঙা জিরা ও মৌরি ফোঁড়ন দিন। তারপর এতে পেঁয়াজ দিয়ে হালকা করে ভেজে নিয়ে একে একে বাকি মশলা দিয়ে কষিয়ে নিন। কষানো হলে এতে মটরশুঁটি ও আলু দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে দিন। মেশানোর সময় চামচ দিয়ে চেপে চেপে মটরশুঁটি গুলো একটু থেঁতো করে দিন। তারপর আঁচ কমিয়ে ৩ মিনিটের জন্য ঢেকে দিন। মটরশুঁটি সেদ্ধ হয়ে গেলে নামিয়ে ঠান্ডা করে নিন।
  • ময়দা দিয়ে আমরা যে খামির বানিয়েছিলাম সেটাকে সমান ৬ থেকে ৮ ভাগ করে নিতে হবে। প্রতিটি ভাগকে রুটিরমতো করে বেলে তারওপর ময়দা ও তেল দিয়ে বানানো পেস্টটা সমান ভাবে ব্রাশ করে দিন। তারপর নিচের ছবির মতো দুইপাশ থেকে মুড়ে দিন। আবার এর উপর ওই পেস্টটা ব্রাশ করে চারকোনা পরোটার মতো করে ভাঁজ দিন। নিচের ছবিগুলো দেখুন বুঝতে পারবেন। এভাবে সবগুলো ভাগ্যেকে ভাঁজ করে নিয়ে ১০ মিনিট ঢেকে রেখে দিন।
  • চারকোনা করে ভাঁজকরা খামিরগুলোকে কিছুটা মোটা করে ছোট ছোট পরোটার মতো করে বেলে নিন। এবার এর মাঝখানে কিছুটা মটরের পুর দিয়ে নিচের ছবিতে দেখানো উপায়ে চারকোনা করে মুখ বন্ধ করে দিন। তারপর ওই চারটা মাথা একসাথে ধরে একটু পেঁচিয়ে একসাথে লাগিয়ে দিন। হাত দিয়ে হালকা করে চেপে চেপে গোল পুরিরমতো শেপ দিন। লেখা পরে না বুঝতে পারলে নিচের ছবিগুলো ভালো করে দেখুন…বুঝতে পারবেন।
  • একটা ছোট কড়াইতে নিম্ন মাঝারি আঁচে তেল গরম করে নিয়ে কচুরি গুলো ডুবোতেলে সময় নিয়ে সোনালী করে ভেজে তুলুন। হয়ে গেলে পেঁয়াজ কুঁচিতে লেবু ও লবন মাখিয়ে কচুরির সাথে পরিবেশন করুন। আমি সাথে তেতুলের চাটনিও দিয়েছিলাম।

টিপস :

  • কচুরি বানানোর সময় মুখগুলো অবশ্যই ভালোমতো আটকে নিবেন। তা না হলে ভাজার সময় সব পুর তেলের মধ্যে বের হয়ে যাবে বা কচুরির ভেতরে তেল ঢুকে যাবে।
  • তেল ও ময়দার মিশ্রণটা এড়িয়ে যাবেন না। কচুরি মুচমুচে ও ভেতরে লেয়ার আনতে এটা খুবই জরুরি।
  • ভাজার সময় খেয়াল রাখবেন কোনোভাবেই যেন তেল বেশি গরম না হয় । আর আঁচ বাড়াবেন না ভুলেও। আমি আবারো বলছি মুচমুচে খাস্তা কচুরি পেতে অল্প আঁচে সময় নিয়ে উল্টে পাল্টে কচুরির কালার সোনালী হওয়া পর্যন্ত ভাজুন। প্রতি ব্যাচ ভাজতে ১০ টি ১২ মিনিট সময় লাগবে।
  • আপনি যদি আমি যেভাবে শেপ দিয়েছি সেটা না দিতে চান বা ঝামেলা লাগে তাহলে নরমাল আলুপুরি বা ডালপুরীর মতো মুড়েও বানাতে পারবেন।
Exit mobile version