ম্যাংগো ফ্রুটিকা – ম্যাংগো ফ্রুটি রেসিপি

ম্যাংগো ফ্রুটিকা জুস বাড়ির ছোট্ট বাবুদের অনেক প্রিয় তো বটেই, তবে খুব গরমে তৃষা মিটানো থেকে শুরু করে রোজার মাসে ইফতার আয়োজনে আমরা বড়রাও এই জুস খেতে কিন্তু খুবই পছন্দ করি ।

ম্যাংগো ফ্রুটি_ফ্রুটিকা __ পাকা আমের জুস্ __ Frutika_ Fruto last pic
ম্যাংগো ফ্রুটি_ফ্রুটিকা __ পাকা আমের জুস্ __ Frutika_ Fruto last pic

ম্যাংগো ফ্রুটিকা


আমাদের দেশে নানা ব্রান্ডের আমের যে মজাদার একটা জুস পাওয়া যায় সেটাকে আমরা ফ্রুটি অথবা ফ্রুটিকা অথবা আমের জুস নাম চিনি …তাই না…? ম্যাংগো ফ্রুটিকা জুস বাড়ির ছোট্ট বাবুদের অনেক প্রিয় তো বটেই, তবে খুব গরমে তৃষা মিটানো থেকে শুরু করে রোজার মাসে ইফতার আয়োজনে আমরা বড়রাও এই জুস খেতে কিন্তু খুবই পছন্দ করি । আর আজকে আমি সেই মজার ম্যাংগো ফ্রুটিকা জুসের রেসিপিটাই আপনাদের সাথে শেয়ার করছি । কথা দিচ্ছি… স্বাদটা হুবুহু ম্যাংগো ফ্রুটিকা গুলোর মতোই হবে।
দোকানের ঐসব ম্যাংগো জুস খেতে মজা হলেও স্বাস্থ্যকর কতটা সে বিষয়ে তো একটা প্রশ্ন থেকেই যায়। তাই গরমের সিজনাল ফল আম দিয়ে আপনি নিজেই ঘরে তৈরী করে নিতে পারেন মজাদার পানীয়টি। আশা করছি আমের এই রেসিপি আপনাদের ভালো লাগবে।

উপকরণ

  • ২ টি পাকা আম
  • ১ টি কাঁচা আম
  • ১ কাপ পানি সেদ্ধ করার জন্য
  • ৩/৪ কাপ বা স্বাদ মতো চিনি
  • ১ লিটার পানি জুসের জন্য

প্রস্তুত প্রণালী

  • এই রেসিপিতে পাকা আর কাঁচা আমের অনুপাত টা ২:১ হবে। যদি একই সাইজের হয় তাহলে দুটি পাকা আমের জন্য একটা কাঁচা আম নিবেন। আর ছোট হলে ২ টি কাঁচা আম নিতে পারেন। তবে এখানে কাঁচা আমের টকের ব্যাপারটাও লক্ষ্য রাখতে হবে….খুব বেশি টক যেন না হয়।
  • আমের খোসা ছড়িয়ে টুকরো করে কেটে অল্প পানিতে একদম নরম করে সেদ্ধ করে নিন।তারপর ব্লেন্ডারে একদম মিহি করে পেস্ট করে নিন। খুব ভালো হয় একবার চালনিতে চেলে নিলে তাহলে আমের আঁশ ও দানাগুলো আলাদা হয়ে যাবে।
  • এবার চিনি ও পানি একসাথে চুলায় বসিয়ে নিন। ঘন করতে হবে না….চিনি গলে পানিতে একবার বলোক উঠে এলেই নামিয়ে ভালো করে ঠান্ডা করে নিন।
  • এখন একসাথে আমের পিউরি ও চিনির সিরা ভালো করে মিশিয়ে নিলেই জুস তৈরী হয়ে যাবে। যদি মনে হয় জুস বেশি ঘন, আরেকটু পাতলা করতে চান তাহলে কিছুটা পানি মিলিয়ে নিতে পারেন। তবে সরাসরি কাঁচাপানি না দিয়ে ফুটানো ঠাণ্ডা পানি ব্যবহার করবেন তাতে জুস বেশিদিন ভালো থাকবে।
  • বরফ দিয়ে ঠান্ডা ঠান্ডা পরিবেশন করুন। আর ফ্রিজের নরমাল চেম্বারে ৪/৫ দিন ভালো থাকবে।
Exit mobile version