ছুটির দিনগুলোতে পরিবারের সবার যেমন আবদার থাকে স্পেশাল কিছু খাওয়ার তেমনি গিন্নিমায়ের ও ইচ্ছে করে রান্না করার । কিন্তু আমরা যারা চাকরিজীবী আছি তাদের’ও তো এটা ছুটির দিন। তাই স্পেশাল খাবারের চক্করে সারাদিন রান্নাঘরে কাটাতেও মন চায় না। তাদের জন্য এই মোরগ পোলাউ টাই মনে হয় এক ঢিলে দুই পাখি মারার মতো….স্পেশাল খাবার হলো….খাটনিও কম 😉 তাই আজ আপনাদের জন্য থাকছে ঝটপট তৈরি করা যায় এমন একটি মোরগ পোলাউ এর রেসিপি । ঘরে পোলাও এর চাল আর মুরগি থাকলেই যথেষ্ট। বাকি উপকরন সবসময় সবার ঘরেই থাকে। চলুন দেখে নেই……।।
উপকরনঃ
[tie_list type=”plus”]
- পোলাওচাল ৩ কাপ
- পানি ৬ কাপ
- গুড়া দুধ ১/২ কাপ ( গুঁড়া দুধ না দিলে ৫ কাপ পানি র ১ কাপ তরল দুধ দিবেন )
- কাঁচামরিচ ১০-১২ টি
- তেজপাতা ১ টি
- দারচিনি ছোট ২ টুকরা
- এলাচ ২ টি টি
- আস্ত জিরা ১/৪ চামচ
- চিনি ১ টে চামচ
- লেবুর রস ১ চা চামচ
- পেঁয়াজ বেরেস্তা ১ মুঠো
- লবন স্বাদমত
- কেওড়া জল সামান্য- ঐচ্ছিক
[/tie_list]
মাংসের জন্য লাগবে :
[tie_list type=”plus”]
- মুরগীর মাংস ৮-১০ পিস (আমি ৩টা থাইসহ চিকেন লেগ নিয়েছি)
- মিষ্টি দই ১ কাপ
- পেঁয়াজ কুচি মাঝারি ১ টি
- আদাবাটা ৩ টে চামচ
- পেয়াজ বাটা ৫ টে চামচ
- রসুন বাটা ২ টে চামচ
- কাঁচামরিচ বাটা ২ চা চামচ
- গরম মশলা গুড়া ১/২ চা চামচ (গরম মশলার রেসিপি )
- ঘি ১/৩ কাপ
- তেল ১/৩ কাপ
[tie_list type=”plus”]
( আমি সাথে ২ টা সেদ্ধ ডিম দিয়েছিলাম। আপনারা চাইলে দিতে পারেন )
প্রনালিঃ
১। আপনি আপনার পছন্দ মতো মাংস কেটে নিতে পারেন। চাইলে ছোট করে কেটে বা বড় বড় পিস্ ও রাখতে পারেন। প্রথমে মাংস টাকে ১ চামচ করে আদা, রসুন, পেঁয়াজ ও কাঁচামরিচ বাটা এবং দই,পরিমান মত লবন দিয়ে কমপক্ষে ১০-১৫ মিনিত মেখে রাখুন। বাকিটা আমরা পরে দিবো। সাথে একটা বাটিতে চাল ও ৪ কাপ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন মোটামুটি ২৫ থেকে ৩০ মিনিটের জন্য। পরে পানি ঝরিয়ে রাখবেন। চাল যদি ভিজিয়ে রাখেন তাতে সুবিধা হলো রান্নার পর ভাত গুলা লম্বা ও ঝরঝরা হয়। ঘি ও তেল একসাথে গুলিয়ে রাখুন।
২। কড়াইতে তেল ও ঘিয়ের মিশ্রণ অর্ধেকটা গরম করে তাতে পেঁয়াজকুচি দিয়ে সোনালী করে ভেজে নিন তারপর এতে বাকি যে বাটা ও গুড়া মশলা ছিল তা দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিন। মশলা থেকে তেল বের হয়ে গেলে এতে মাংস দিয়ে আবার কষান ৪-৫ মিনিট । এই সময়েই মাংস থেকে বের হওয়া পানিতেই মাংস অর্ধেক সেদ্ধ হয়ে যাবে। তারপর এক কাপ পানি দিয়ে আঁচ মাঝারি করে ঢেকে দিন। পানি শুকিয়ে ঝোল গাঢ় ও তেল উপরে উঠলে নামিয়ে নিতে হবে। যদি ডিম দিতে চান তো মাংস নামানোর মিনিট দুয়েক আগে দিলেই চলবে।
৩। মাংস হতে থাক এই ফাঁকে চাল টা ভুনে নিন। হাড়িতে ঘি+তেলের বাকি মিশ্রন দিয়ে তাতে জিরা, তেজপাতা ও বাকি গোটা গরম মশলা ফোঁড়ন দিয়ে চাল যোগ করুন। তারপর মিনিট ২-৩ ধরে ভুনে পানি, গুড়া দুধ ও লবন দিন। পানিটা আগে থেকে গরম করা থাকলে ভালো হয়। বলোক আসার আগে পর্যন্ত চাল চামচ দিয়ে ধীরে ধীরে নাড়তে থাকুন তাহলে তেল ও ঘি চালের সাথে মিশে যাবে। চাল আধফোটা হলে লবন চেক করে নিন। যদি এই পর্যায়ে লবন ঠিক থাকে তাহলে রান্নার পর আলুনি লাগবে। তাই এই পর্যায়ে লবণতা চড়া হলে রান্নার পর দেখবেন পারফেক্ট লবন হয়েছে।
৪। চাল যখন ৮০ % সেদ্ধ হয়ে যাবে ও পানি টেনে আসবে তখন এর উপর দিয়ে কাঁচামরিচ, বেরেস্তা, ও ঝোলসহ মাংস ঢেলে সমান করে বিছিয়ে দিন। চাইলে কয়েকটা কাজু বাদাম ও কেওড়া জল দিতে পারেন। তারপর আঁচ একদম ঢিমে করে দিয়ে ভালকরে ঢেকে দমে দিয়ে দিন দিন। ২০ মিনিট পর ঢাকনা খুলে লেবুর রস ছড়িয়ে সবকিছু হাল্কা করে মিশিয়ে নামিয়ে নিন। সালাদ দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন। আমি সাথে ঘরে পাতা দই ও রুই মাছের কাবাব দিয়ে পরিবেশন করেছিলাম।
Leave a Reply
View Comments