অতিথি আপ্যায়নে বা পোলাওয়ের সাথে পরিবেশনের জন্য আমাদের দেশের সবচেয়ে কমন এবং জনপ্রিয় কাবাব হলো বিফ টিকিয়া বা বিফ শামি কাবাব। কোরবানি ঈদের পরে মোটামুটি সবার ফ্রিজেই মাংস থাকে। এই সময় বেশি করে শামি কাবাব বানিয়ে ডিপ করে রেখে দিলে বিকেলের নাস্তা সহ বাচ্চার টিফিন বা মেহমানদারিতে দারুণভাবে কাজে লাগবে ।

বাসায় অতিথি এলে বা ছোটখাট দাওয়াতে পোলাও বা বিরিয়ানির সাথে আমরা মাঝে মধ্যে দুয়েক প্রকার কাবাব ও রাখি। এসময়ে খুব সহজে আর ঝামেলাহীন ভাবে বানানো যায় এরকম কাবাব হলে রাঁধুনির কষ্ট অনেকটাই লাঘব হয়। চাপলী কাবাব হচ্ছে তেমনি একটা কাবাব। অল্প উপকরণে ঝটপট বানানো মজার এই কাবাবের রেসিপি আসুন আজ জেনে নেই।

কাবাব শব্দটা শুনলে সবার আগে মনে আসে বিহারী কাবাবের নাম। এটার আসল নাম বিহারী কাবাব হলেও বাংলাদেশে এটা শিক কাবাব নামেই বেশি পরিচিত। যদিও ইন্ডিয়া পাকিস্তানে শিক কাবাব মাংসের কিমা দিয়ে তৈরী করা হয়, কিন্তু বাংলাদেশে শিক কাবাব বলতে পাতলা পাতলা করে কাটা মাংস শিকে গেঁথে বানানো কাবাব টাকেই বোঝায়, যেটা আসলে বিহারী কাবাব। চলুন দেখে নেই এই বিহারি কাবাব ওরফে বাংলাদেশী শিক কাবাব বানাতে কি কি লাগবে।

পোলাওয়ের সাথে সার্ভ করার জন্য আমার সবথেকে পছন্দের কাবাব হচ্ছে শামি বা টিকিয়া কাবাব। এগুলো খেতে যে কি মজা হয় সেটা তো আপনারা সবাই জানেন। তবে আজ মাংসের বদলে মাছ দিয়ে এই শামি কাবাব বানিয়ে দেখাবো। খুব কম সময়ে ঝামেলাহীন ভাবে বানানো যায়। আর সবথেকে বড় সুবিধা হলো, একদিন সময় করে বেশি করে বানিয়ে রাখলে ৩/৪ মাস ডিপ ফ্রিজে রেখে প্রয়োজনমত ব্যবহার করা যায়। বাচ্চার টিফিন থেকে শুরু করে ঝটপট মেহমানদারিতেও ভীষণ কাজে দেয়।

এটি একটি জনপ্রিয় ইন্ডিয়ান কাবাব। এটি মূলত চিকেন লেগ বা রান দিয়ে করা হয়। টাংরি মানে ঠ্যাং বা পা এটা জানেন নিশ্চয় সবাই। আর সেই জন্যই এটার নাম এমন। দই আর নানারকম সুগন্ধি মশলার মিশ্রণে তৈরি একটি মজার একটা কাবাব। ছুটির দিনের জন্য একেবারে পারফেক্ট রেসিপি। সাধারণত , রান্না হতে কম সময় লাগার কারণে কাবাব বানানোর ক্ষেত্রে কিন্তু বুকের মাংসটাকেই সবাই প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। কিন্তু মজার ব্যাপারটা হচ্ছে, মুরগীর এই রানের অংশই কিন্তু সবথেকে মজার আর রসালো। এবং এই রসালো হবার কারণেই চমৎকার কাবাব হয় মুরগীর রান দিয়ে। আসুন জেনে নেই চিকেন টাংরি কাবাব এর দারুন সেই রেসিপি টি । হাতের কাছে থাকা সাধারণ উপকরণে তৈরি হয় বলে ঘরে চুলাতেই বানাতে পারবেন। টাকা খরচ করে আর হোটেলে গিয়ে খেতে হবে না।