আমরা সাধারণত বৈশাখে পান্তার সাথে ইলিশ ভাজাটাই বেশি খেয়ে থাকি। কিন্তু এর সঙ্গে কিছু একটা ভর্তা না থাকলে আবার চলে না। আজকে আমি আপনাদের পান্তার সাথে পরিবেশন করার জন্য একটা সহজ রেসিপি দিচ্ছি, আর সেটা হলো ''মাখা ইলিশের পাতলা ঝোল '' .....এক হাত ঝোল আর একটুকরো মাছ হলে কাঁচা পেঁয়াজ দিয়ে নিমেষেই এক খানটি ভাত গায়েব করে দেয়া সম্ভব। ছোটবেলায় আম্মু এটা বানাতো , সকালের বাসি ভাতের সাথে খেতে সেই মজা। আজ সকালে আম্মুকে ফোন করে রেসিপি জেনে আমিও বানিয়ে নিলাম। আশা করি এই বৈশাখে আপনাদের কাজে আসবে :)
পহেলা বৈশাখের দিন কয়েকটি ভর্তার আয়োজন না করলে বাঙালির আয়োজনটা যেন ঠিক পরিপূর্ণ হয় না। ইলিশ মাছের আয়োজনের সাথে ভর্তার আয়োজনটাও কিন্তু বেশ মানাসই। তাই আজ রয়েছে ইলিশ মাছের সাথে বেগুন ভাজা দিয়ে একটা মজার ভর্তার রেসিপি। একটু স্পেশাল কিন্তু বাঙালি ঢঙয়ের মজার এই ভর্তার রেসিপিটি চলুন দেখে নিই…
একদা মাছে ভাতে বাঙ্গালির অতিথি আপ্যায়নের জন্য বড় মাছের কালিয়া ছিল অপরিহার্য উপাদান। বিশেষ করে কোন বাড়ির জামাইয়ের পাতের কালিয়া কত বড় ছিল তা নিয়ে ছোটখাটো প্রতিযোগীতা চলতো গ্রামাঞ্চলে। আজকাল এইসব মশলাদার খাবারের চল যেন অনেকটাই কমে গিয়েছে, তবু পালে-পার্বণে দেশীয় এসব খাবার খাওয়া যেতেই পারে। কি বলেন?….. তাই আজকে আপনাদের জন্য পুরোনো কিন্তু খুবই মজাদার একটা মাছের রেসিপি শেয়ার করছি। আর সেটা হলো “মাছের কালিয়া”। পাকা রুই বা কাতলা হলে বেশি ভালো হয় তবে আপনি অন্যান্য বড় মাছ দিয়েও এটা করতে পারবেন।
আহা!!!...ইলিশ খাবো আর সর্ষে দিয়ে রান্না করবো না এমন কি হয়…? বাঙালির ইলিশ খাওয়ার আসল মজা যে সর্ষে ইলিশে । বাঙালির ইলিশ বন্দনায় এই পদের নাম প্রথমেই চলে আসে। আর সেজন্যই আজ " ইলিশ পার্বন" আয়োজনে আমার পরিবেশনায় "সর্ষে ইলিশ"।