কেক তো নানা রকমের আছে…বাহারি নামে, বাহারি স্বাদে ! তবু সব কেকের মধ্যে প্লেইন ভ্যানিলা কেকের আবেদন যেন সবার কাছেই একটু বেশি। বাচ্চার টিফিন থেকে শুরু করে নাস্তার টেবিল -সব জায়গাতেই সমান ভাবে মানিয়ে যায়। চলুন আজকে বেকারি স্টাইলে প্লেইন কেকের রেসিপিটি জেনে নেয়া যাক।

কাজের ফাঁকে এককাপ চায়ের সাথে, অলস বিকেলের নাস্তায় বা হঠাৎ আসা অতিথির সামনে ঝটপট মেহমানদারী করতে সল্ট কুকিজ বা নোনতা বিস্কুটের কোনো তুলনাই হয় না। আর সেটা যদি হয় আপনার নিজের হাতে বানানো তাহলে তো কথাই নেই। তাই খুব সহজে চটজলদি কিভাবে বেকারির স্বাদে নোনতা বিস্কুট বানানো যায় চলুন সেটা দেখে নেই।

ড্ৰাই কেক পছন্দ করেন না এমন মানুষ কমই আছেন। অন্ততপক্ষে টোস্ট বিস্কুটের সাথে মোকাবেলায় এই কুড়মুড়ে স্বাদের মিষ্টি কেক বিস্কুট এগিয়েই থাকে। বেকারি থেকে বেশ দাম দিয়েই কেজি দরে আমরা এই বিস্কুট কিনে খাই। কিন্তু চাইলে খুব সহজেই ঘরে এর অর্ধেক দামে আপনি নিজেই বানিয়ে নিতে পারেন। আসলে আপনি যদি প্লেইন কেক ঘরে বানাতে পারেন তাহলে ড্ৰাই কেক বানানো আপনার জন্য হবে ছু-মন্তর। কারণ কেক টোস্ট করে বা ডাবল বেক করে মুচমুচে করে নিলেই হয়ে যাবে ড্ৰাই কেক। চলুন জেনে নেই পুরো প্রস্তুত প্রণালী।

আমরা অনেক সময় বেশি করে পরোটা বানিয়ে ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রাখি। কিন্তু বাসায় বানানো পরোটা আর দোকান থেকে কেনা প্যাকেট করা ফ্রোজেন পরোটার মধ্যে কিন্তু আকাশ-পাতাল ফারাক থাকে। ওই পরোটা গুলো বেশ নরম, মিষ্টি মিষ্টি হয় আর ভাজতে আলাদা কোনো তেলের দরকার হয় না। তাই এবারে নিয়ে এলাম ১০০% দোকানের কেনা ফ্রোজেন পরোটার রেসিপি। এই রেসিপিতে একবার বানিয়ে দোকানের কেনা ফ্রোজেন পরোটার সাথে মিলিয়ে দেখবেন, নিজেই আলাদা করতে পারবেন না। কিন্তু তার জন্য অবশ্যই উপকরণগুলো সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হবে। চলুন দেখে নেই কি কি লাগবে।

আমাদের দেশীয় মিষ্টি বানানোর কথা শুনলে আমরা কমবেশি সবাই কিছুটা ঘাবড়ে যায়। কারণ মিষ্টি বানানোর পদ্ধতিগুলো সহজ হলেও মোটামুটি প্রাকটিস ও অভিজ্ঞতা না থাকলে পারফেক্ট মিষ্টি বানানো অতটাও সহজ নয়। বিশেষ করে ছানার মিষ্টি গুলো। কারণ চান পারফেক্ট না হলে মিষ্টি কিছুতেই ভালো হয় না। তাই এবারে আপনাদের জন্য ছানা ছাড়া একটা সহজ মিষ্টির রেসিপি নিয়ে এলাম। ময়দা দিয়ে একদম মিষ্টির দোকানের মতো পারফেক্ট বালুসাই/বালুশাহী যার বাইরেটা হালকা ক্রিস্পি ও ভেতরটা তুলতুলে নরম রসালো হবে। তবে হ্যাঁ, পরিমাপটা অবশ্যই ঠিক ঠিক নিতে হবে।

খুব সহজ আর চটজলদি তৈরী করা যায় এমন মিষ্টান্নের তালিকায় ফ্রুট কাস্টার্ড খুবই জনপ্রিয়। বাচ্চা থেকে বড় সবাই খুব পছন্দ করে খায়। যেকোনো অনুষ্ঠানে মিষ্টি মুখ করতে বানিয়ে নিতে পারেন এই মজাদার ডেজার্টটি। বিশেষ করে গরমের সময় খেতে তো খুব ভালো লাগবে ….চলুন তাহলে বানিয়ে নেয়া যাক।

ক্যারামেল পুডিং বা ডিমের কাস্টার্ড পুডিং… আমরা কমবেশি সবাই বানাতে পারি। তবু সবসময় কি পারফেক্ট পুডিং হয় সেটা? একটা পারফেক্ট ক্যারামেল এগ পুডিং মানেই হলো…তুলতুলে জিগলি টেক্সচার যেটা মুখে দিলেই মিলিয়ে যাবে। ক্যারামেলের কালারটাও হবে সুন্দর লাইট, কোনো তিতকুটে ভাব থাকবে না এবং সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ পুডিং এর চারপাশে কোনো রকম ছিদ্র থাকবে না। not a single one! সাথে চারপাশ সুন্দর একটা লাইট ক্রীম কালার এর থাকবে, সেই রকম একটা পুডিং এর টিপস সহ রেসিপি নিয়ে আমার আজকের আয়োজন। চলুন দেখে নেয়া যাক।

বাংলাদেশী স্ট্রীট ফুডের তালিকায় আমার কাছে মনে হয় প্রথম স্থানটি গর্বের সাথে দখল করে আছে সিঙ্গাড়া/সিঙাড়া। শহর এলাকায় চটপটি ফুচকার জনপ্রিয়তা অনেক বেশি হলেও দেশের সব জায়গায় কিন্তু সহজে মিলে না। তবে সিঙাড়া এমন একটি খাবার যা শহর থেকে শুরু করে গ্রামগঞ্জেও সমানভাবে জনপ্রিয় এবং সহজলভ্য। একেক জায়গার সিঙাড়ার একেকরকম বিশেষত্ব থাকে..তারমধ্যে আলুর সিঙাড়া ও কলিজার সিঙাড়া সবচেয়ে বেশি পরিচিত। তাই আজ আমি আপনাদের কলিজার সিঙাড়া’র রেসিপি দিবো, আপনারা চাইলে কলিজা বাদ দিয়ে একইভাবে আলুর সিঙ্গাড়া বানিয়ে নিতে পারেন।

ঈদে মিষ্টিমুখ মানেই সেমাই-ফিরনী-পায়েস। সহজ রান্না তাই মোটামুটি সবাই পারেন। তারপরও যারা নতুন রাঁধুনি আছেন তাদের জন্য আমার এই স্পেশাল ফিরনীর রেসিপি। এভাবে সাধারনত বিয়ে বাড়িতে করে থাকে। যার জন্য ওই ফিরনিতে একটা স্পেশাল ব্যাপার থাকে। চলুন দেখে নেই বাবুর্চি স্টাইলে বিয়ে বাড়ির শাহী ফিরনি।

গায়ে হলুদের তত্ত্বে বা যেকোনো অনুষ্ঠানে একটু ভিন্নস্বাদের মিষ্টান্ন বানানোর কথা যদি ভেবে থাকেন তাহলে এই নারকেলের হালুয়া বা সন্দেশ হতে পারে মোক্ষম অস্ত্র। অল্প উপকরণে ঝটপট বানিয়ে নিন আর তাক লাগিয়ে দিন সব্বাইকে।