অনেকরকম পোলাও তো আমরা হরহামেশা রান্না করে থাকি। তবে শীতকালের স্পেশাল পোলাও হলো সবজি পোলাও । শীতে বাজার ভর্তি থাকে বাহারি সব সবজি দিয়ে তখন চাইলে খুব সহজেই এই পোলাও টা বানিয়ে নিতে পারেন। আর মজার ব্যাপার হলো কোনো সাইড ডিশ ছাড়া এমনিতেই পোলাওটা অনেক মজার হয় খেতে, চাইলে বাচ্চার টিফিনেও দিতে পারবেন।
আমার খুব প্রিয় খাবার এটা….. প্রায়ই বাসায় রান্না করি। খাসির মাংস ছাড়াও গরু বা ল্যামের মাংস,মাঝেমধ্যে মুরগীর মাংস বা মুরগির গিলা, কলিজা, পাখনা, পা এবং বুকের হাড্ডিওয়ালা অংশ দিয়ে রান্না করি। রুটি হোক, পরটা হোক আর ভাত হোক সবকিছুর সাথেই চমৎকার লাগে। এই রান্নাতে ডাল আর মাংসের কোনো ধরাবাঁধা মাপ নেই। চাইলে ডাল বেশি মাংস কম, মাংস বেশি ডাল কম বা দুটোই সমান সমান রাখতে পারেন।
ছুটির দিন স্পেশাল কিছু খেতে ইচ্ছে করছে বা হঠাৎ অতিথি এসেছে ঘরে কয়েক রকম রান্না করার সময় বা উপকরণ কোনটাই হাতে নেই …সেক্ষেত্রে বিরিয়ানি হতে পারে মোক্ষম রেসিপি। কিন্তু ঘরে মাংস আর পোলাউ এর চাল থাকলেও নেই যে বিরিয়ানি মশলা… এখন? কোনো ব্যাপার না….এই ঘরোয়া রেসিপি তে রান্না করে দেখুন আপনার বিরিয়ানি একটু ও খারাপ হবে না…..ট্রাই করে দেখবেন নাকি…???
যে কোনো ধরণের উৎসব বা অনুষ্ঠানে মোঘলাই খাবার একটা আলাদা মাত্রা যোগ করে। ঈদ, বিয়ে বা জামাই আপ্যায়নে মোঘলাই খানার জুড়ি মেলা ভার। আস্ত মুরগীর রোস্ট বা মোরগ মোসাল্লাম তেমনি একটা নাম। আজ আমি আপনাদের সাথে খুবই টেস্টি কিন্তু সহজ উপায়ে তৈরী করা যাবে এমন একটা মুর্গ বা মোরগ মোসাল্লামের রেসিপি শেয়ার করবো। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।
আমি বিফ কিমা দিয়ে করেছি আপনারা চাইলে মাটন, চিকেন বা টুনা ফিস দিয়েও করতে পারেন।
বৈশাখে ভর্তা পরিবেশন না করলে যেন বৈশাখ পরিপূর্ণ মনে হয় না । নানান পদের ভর্তা ও গরম ধোয়া ওঠা ভাত দিয়ে দুপুরে খাবারের আয়োজনটা যেন জমপেশ হয়ে যায় । অথবা ইদ আয়োজনে প্রচুর মাংসের আয়োজন শেষ করে যেন একটু সাদামাটা খাবার খেতে মন চায়। সেই সাদামাটা খাবারটা কিন্তু হতে পারে এই কুচো চিংড়ি ভর্তা। চিংড়ি মাছটা বেশ সবাই খেতে পছন্দ করে। সবাই কম বেশি এই ভর্তাটি খেতে পছন্দ করি আর আমার তো বেশ প্রিয় এই ভর্তাটি। তাহলে চলুন কথা না বাড়িয়ে দেখে নেই এই মজার ভর্তা রেসিপিটি।
বাসায় সাধারনত মাটন কারী বা ভুনা টাই বেশি খাওয়া হয়ে থাকে সবার। কিন্তু কোনো অনুষ্ঠানে আমরা চাই অতিথি’র সামনে একটু স্পেশাল কোনো ডিশ পরিবেশন করতে। সেক্ষেত্রে মাটন রেজালা থাকতে পারে আপনার পছন্দের তালিকায়। খুব সহজ রেসিপিতে গুটিকতক উপকরণে আপনি নিজে ঘরেই তৈরী করতে পারেন বিয়ে বাড়ির স্বাদে ”মাটন রেজালা” ….অনেকটা কোরমার মতো স্বাদ আবার ঝাল ঝাল ও থাকে। আশা করছি ভালো লাগবে সবার।
চট্টগ্রাম জেলার নামের সাথে সমুদ্রসৈকত শব্দটা যেমন সবচেয়ে ভালো মানায়, তেমনি ভোজন রসিকের মনে চট্টগ্রামের সাথে মেজবান বা মেজবানি শব্দটাও সবার আগেই উঁকি দেয়। ঐতিহ্যবাহী মেজবান অনুষ্ঠানের সবচেয়ে প্রধান যে আকর্ষণ, তা হলো মেজবানি মাংস। তাই এবারে বাবুর্চিদের রেসিপিতে অরিজিনাল মেজবানি মাংস রান্নার পদ্ধতি রইলো আপনাদের জন্য।
ভুনা খিচুড়ি আমরা কম বেশি সবাই পছন্দ করি। আর সেই খিচুড়ির সাথে যদি আচার আর মাংস যোগ হয় তাহলে স্বাদটা আরো বেড়ে যায়। ঝুমঝুম বৃষ্টি’র দিন উদযাপন করতে বা ছোটখাট গেট টুগেদারের পার্টিতে দারুন জমে যাবে এই আচারি চিকেন ভুনা খিচুড়ি। আপনারা চাইলে চিকেনের পরিবর্তে বেঁচে যাওয়া বিফ বা মাটন ভুনা ও ব্যবহার করতে পারেন।
আমার আজকের রেসিপি চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী ”কালাভুনা বা গরুর মাংসের কালোভুনা” । চেষ্টা করেছি ঐতিহ্য এবং মূল বৈশিষ্ট বজায় রেখে সহজ ভাবে রান্নাটি দেখাতে। সবসময় ঘরে থাকে এমন কিছু মশলা দিয়েই রান্নাটা করবো যাতে ব্যাচেলর ও নতুন রাঁধুনিরা সহজেই রেসিপিটা অনুসরণ করতে পারেন। ওরে বাবা, এইটা রান্না করতে বহুত ফ্যাচাল। … অতডি মশলা কই পামু?” …বলে হাত গুটিয়ে না থাকেন। তবে হ্যাঁ, স্বাদের কোনো কম্প্রোমাইজ হবে সে আগে থেকেই বলে রাখছি। চলুন তাহলে দেখে নেই বানাতে কি কি লাগবে ….