কেক তো নানা রকমের আছে…বাহারি নামে, বাহারি স্বাদে ! তবু সব কেকের মধ্যে প্লেইন ভ্যানিলা কেকের আবেদন যেন সবার কাছেই একটু বেশি। বাচ্চার টিফিন থেকে শুরু করে নাস্তার টেবিল -সব জায়গাতেই সমান ভাবে মানিয়ে যায়। চলুন আজকে বেকারি স্টাইলে প্লেইন কেকের রেসিপিটি জেনে নেয়া যাক।

জন্মদিন, বিবাহ বার্ষিকী বা যেকোনো বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে একটা স্পেশাল কেক তো লাগেই। আর সেই কেকটা যদি আপনার নিজের হাতে বানানো হয় তাহলে তো কথাই নেই। ঘরে আমরা ওভেন বা চুলাতে টুকটাক নানারকম কেক বানালেও জন্মদিনের কেকগুলো বানাতে বেশ ভয় পাই। তবে কি জন্মদিনের কেক কোনো আলাদা কেক? আসলে চকোলেট বা ভ্যানিলা যে কোনো কেকের উপর ক্রিম দিয়ে সাজানো সুন্দর কেকগুলোকেই আমরা ঘরোয়া ভাবে জন্মদিনের কেক বলে থাকি। বেকারি গুলোতে গেলেই যখন তখন এই কেক কিনে নেয়া যায় কিন্তু প্রিয়জনের জন্য নিজহাতে বানানো কেকটা কি একটু বেশি স্পেশাল নয়? তবে সেই স্পেশাল কেক বানাতে আমাদের কেকের পাশাপাশি দরকার হয় কেকের ক্রিম, বিশেষ করে বাটার ক্রিমের। অনেকেই ভালো কেক বানাতে পারলেও ক্রিম বানানোর নিয়মটা জানেন না। আজকে চলুন বেসিক বাটার ক্রিমের রেসিপির সাথে সাথে কেক সাজানোর একটা আইডিয়া নিয়ে নেয়া যাক।

বডি মাস ইনডেক্স (BMI) হলো শরীরের উচ্চতা ও ওজনের আনুপাতিক হার, যা দিয়ে বোঝা যায় যে কোনো ব্যক্তি মাত্রাধিক ওজন (pre-obese) বিশিষ্ট কিনা। সবার বডি স্ট্রাকচার এক না।সেইম হাইটের দুইজন মানুষের ওজন সেইম হলেও একজনকে দেখতে পার্ফেক্ট লাগে,আরেকজনকে শুকনা/মোটা লাগতে পারে। এক্ষেত্রে ধারণা দেয়ার জন্য BMI সাহায্য করবে।

প্রত্যেকের বডি মেটাবলিজম আলাদা। সবার এক্টিভিটিজের ধরনও আলাদা। যেমন ধরুন অনেকে আমার মতো শুয়ে বসে দিন কাটায়, অনেকে সপ্তাহে ১-৩ দিন ওয়ার্ক আউট করে,অনেকে ৫ দিন। আবার যার যার বয়স ওজন উচ্চতা অনুযায়ী খাবারের তালিকা আলাদা হবে। ন্য BMR & TDEE জানা জরুরি

শেষে একটা কথা বলি। সৃষ্টিকর্তা আমাদের শারীরিক গঠন একেকজনের একেক রকম করে দিয়েছেন। কেউ একটু খেলেই মোটা হয়ে যাই, কেউ অনেক খেযেও শুকনো থেকে যান। বাহ্যিক ভাবে বডি শেইপটাই কিন্তু সুস্হতার মাপকাঠি নয়। অনেক সুঠাম স্লিম বডি শেইপের মানুষ হার্ট ব্লক নিয়ে ডাক্তারের স্মরনাপন্ন হন। কাজেই আপনি কি খাচ্ছেন সেটা খেয়াল করুন- আপনাকে কেমন দেখাচ্ছে সেটা কিন্তু বড় কথা নয়। ডায়েটের উদ্দেশ্য হোক সুস্হ থাকা। ডায়েটের উদ্দেশ্য না হোক যে কোন মূল্যে জিরো ফিগার হওয়া।

আপনারা অনেকেই হয়তো জানেন আমার ঘরে ৩ মাস বয়সী একজন ভদ্রলোক আছেন। তার পুষ্টির কথা মাথায় রেখে আমি স্ট্রিক্ট কোনো ডায়েটে যেতে পারছি না। কিন্তু, বেবি হবার পরে ওজন কমাতে চাইলে এটাই সবচেয়ে মোক্ষম সময়, অন্তত প্রথম ৬ মাস পর্যন্ত। কারণ এসময় আপনি যা খাবেন তার অনেকখানি ক্যালোরি কিন্তু চলে যায় বাচ্চাকে ব্রেস্টফিডিং করানোর মাধ্যমে। তাই আপনি কি কি খাবার খাচ্ছেন তা যদি একটু খেয়াল করে হেলদি একটা ডায়েট এ যান তো ধীরে ধীরে ওজন স্বাভাবিক হতে শুরু করবে এবং বাড়তি ওজন অ্যাড হবে না।