কেক তো নানা রকমের আছে…বাহারি নামে, বাহারি স্বাদে ! তবু সব কেকের মধ্যে প্লেইন ভ্যানিলা কেকের আবেদন যেন সবার কাছেই একটু বেশি। বাচ্চার টিফিন থেকে শুরু করে নাস্তার টেবিল -সব জায়গাতেই সমান ভাবে মানিয়ে যায়। চলুন আজকে বেকারি স্টাইলে প্লেইন কেকের রেসিপিটি জেনে নেয়া যাক।

আমরা অনেক সময় বেশি করে পরোটা বানিয়ে ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রাখি। কিন্তু বাসায় বানানো পরোটা আর দোকান থেকে কেনা প্যাকেট করা ফ্রোজেন পরোটার মধ্যে কিন্তু আকাশ-পাতাল ফারাক থাকে। ওই পরোটা গুলো বেশ নরম, মিষ্টি মিষ্টি হয় আর ভাজতে আলাদা কোনো তেলের দরকার হয় না। তাই এবারে নিয়ে এলাম ১০০% দোকানের কেনা ফ্রোজেন পরোটার রেসিপি। এই রেসিপিতে একবার বানিয়ে দোকানের কেনা ফ্রোজেন পরোটার সাথে মিলিয়ে দেখবেন, নিজেই আলাদা করতে পারবেন না। কিন্তু তার জন্য অবশ্যই উপকরণগুলো সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হবে। চলুন দেখে নেই কি কি লাগবে।

ক্যারামেল পুডিং বা ডিমের কাস্টার্ড পুডিং… আমরা কমবেশি সবাই বানাতে পারি। তবু সবসময় কি পারফেক্ট পুডিং হয় সেটা? একটা পারফেক্ট ক্যারামেল এগ পুডিং মানেই হলো…তুলতুলে জিগলি টেক্সচার যেটা মুখে দিলেই মিলিয়ে যাবে। ক্যারামেলের কালারটাও হবে সুন্দর লাইট, কোনো তিতকুটে ভাব থাকবে না এবং সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ পুডিং এর চারপাশে কোনো রকম ছিদ্র থাকবে না। not a single one! সাথে চারপাশ সুন্দর একটা লাইট ক্রীম কালার এর থাকবে, সেই রকম একটা পুডিং এর টিপস সহ রেসিপি নিয়ে আমার আজকের আয়োজন। চলুন দেখে নেয়া যাক।

বাংলাদেশী স্ট্রীট ফুডের তালিকায় আমার কাছে মনে হয় প্রথম স্থানটি গর্বের সাথে দখল করে আছে সিঙ্গাড়া/সিঙাড়া। শহর এলাকায় চটপটি ফুচকার জনপ্রিয়তা অনেক বেশি হলেও দেশের সব জায়গায় কিন্তু সহজে মিলে না। তবে সিঙাড়া এমন একটি খাবার যা শহর থেকে শুরু করে গ্রামগঞ্জেও সমানভাবে জনপ্রিয় এবং সহজলভ্য। একেক জায়গার সিঙাড়ার একেকরকম বিশেষত্ব থাকে..তারমধ্যে আলুর সিঙাড়া ও কলিজার সিঙাড়া সবচেয়ে বেশি পরিচিত। তাই আজ আমি আপনাদের কলিজার সিঙাড়া’র রেসিপি দিবো, আপনারা চাইলে কলিজা বাদ দিয়ে একইভাবে আলুর সিঙ্গাড়া বানিয়ে নিতে পারেন।

বাচ্চার টিফিন বা বিকেলের আড্ডা জমজমাট করতে চিকেন স্প্রিং রোল-এর কোনো বিকল্প নেই । তাছাড়া বাসায় কোনো বিশেষ উপলক্ষ্যে খাবার টেবিলে যদি চায়নীজ মেন্যু রাখার কথা ভাবেন তাহলে মিল স্টাটার হিসেবেও রাখতে পারেন জনপ্রিয় এই এশিয়ান স্নাকসটি। আমি চিকেন দিয়ে করেছি আপনারা চাইলে বিফ কিমা দিয়েও একইভাবে রান্না করতে পারেন বা মাংস বাদে শুধু সবজি দিয়েও করা যাবে।

আমরা হরহামেশাই ফাস্টফুডের দোকান বা বেকারি থেকে প্যাটিসটা কিনে খাই। হালকা ক্রিস্পি এই প্যাটিসের ভেতরের পুরটার কারণেই খেতে বেশি মজা লাগে। আর বেশিরভাগ সময় সেটা হয় চিকেন ও পেঁয়াজ দিয়ে তৈরী। ভেতরের পুরটা তো ইচ্ছেমতো করে নেয়া যায়….সমস্যা হলো বাইরের আবরণটা নিয়ে। দেশের বাইরে যে কোনো সুপার শপে সহজেই এই পেস্ট্রি পাফ কিনতে পারবেন। আজকাল আমাদের দেশেও পাওয়া যায়। তবে দামটা নেহায়েত কম হয় না। ওই দামে ৩ প্যাকেট বানিয়ে ফেলা যায় ঘরেই। বানানো আসলে খুবই সহজ, উপকরণ ও কম শুধু একটু ধৈর্য সহকারে যত্ন করে বানালে আপনার বানানো প্যাটিস ও দেখতে অবিকল একই হবে আর টেস্ট ও লা-জওয়াব। চলুন দেখে নেয়া যাক …!

দেশের জনপ্রিয় স্ট্রীটফুডের মধ্যে চটপটি অন্যতম। বাইরে গিয়ে বন্ধু বা পরিবারের সাথে মামার দোকানের চটপটি খাবার আলাদা মজা আছে। তবে মাঝেমধ্যে ঘরেও আপনি চাইলে আরো বেশি স্বাদে ও স্বাস্থ্যকর উপায়ে এই চটপটি নিজেই বানিয়ে নিতে পারেন। বিশেষ করে ঈদে বা ফ্যামিলি গেট টুগেদারে নাস্তার টেবিলে আপনার বানানো চটপটি হতে পারে মূল আকর্ষণ। চলুন তাহলে দেখে নেয়া যাক রেসিপিটা …।

সমুচা আমাদের কম বেশি সবারই পছন্দ। কিন্তু বানাতে গেলেই ঝামেলায় পড়তে হয় সমুচার বাইরের আবরণটি তৈরী করতে। ঘরে বানানো সমুসা যেন কিছুতেই মোড়ের দোকানের কেনা সমুসার মতো মুচমুতেও হয়না আর আবরণটাও পাতলা থাকে না। তাহলে সমাধান টা কি? সমাধান হলো আসল পদ্ধতিতে আগে সমুসা শিট বা সমুসা পাত্তি বানিয়ে নেয়া ঠিক যেভাবে হোটেল বা মোড়ের সমুসার দোকানের মামারা বানিয়ে থাকেন। চলুন তাহলে দেখে নেয়া যাক কিভাবে খুব সহজে ঘরে বসেই এ সমুচা শিটটি বানানো যায়।

বেকিং পর্বে এবারের রেসিপি বিফ পিজ্জা। তবে এটা আমাদের বাংলাদেশী ছোট ছোট বেকারি বা ফাস্টফুড শপে যেরকম পিজ্জা বিক্রি হয় সেই পিজ্জার রেসিপি যা অরিজিনাল ইটালিয়ান পিজ্জার থেকে অনেকটাই আলাদা এবং বেশি টেস্টি।

এই মজাদার ও সহজ হোমমেড মেয়োনিজ তৈরি করতে আপনার খুব সাধারণ কিছু উপাদানের প্রয়োজন হবে! যেটা আপনি নানারকম স্যান্ডউইচ , চিকেন সালাদ, ডিমের সালাদ, বার্গার ইত্যাদি তৈরিতে ব্যবহার করতে পারেন। আর বাড়িতে তৈরী এই মেয়োনিজ এতটাই সুস্বাদু যে আপনি দোকান থেকে আর কিনতে চাইবেন না।