আমার খুব প্রিয় খাবার এটা….. প্রায়ই বাসায় রান্না করি। খাসির মাংস ছাড়াও গরু বা ল্যামের মাংস,মাঝেমধ্যে মুরগীর মাংস বা মুরগির গিলা, কলিজা, পাখনা, পা এবং বুকের হাড্ডিওয়ালা অংশ দিয়ে রান্না করি। রুটি হোক, পরটা হোক আর ভাত হোক সবকিছুর সাথেই চমৎকার লাগে। এই রান্নাতে ডাল আর মাংসের কোনো ধরাবাঁধা মাপ নেই। চাইলে ডাল বেশি মাংস কম, মাংস বেশি ডাল কম বা দুটোই সমান সমান রাখতে পারেন।

বাংলাদেশী বিয়ের অনুষ্ঠানের খাবারের মেন্যুতে চিকেন রোস্ট হলো সবচেয়ে বড় আকর্ষণ। ছোট থেকে বড় সবাই বিয়ের বাড়ির এই আইটেমটি খুব আগ্রহ করে খেয়ে থাকে। বাসায় আমরা কমবেশি সবাই রোস্ট রান্না করে থাকি তবে বিয়ে বাড়ির রোস্ট এর যেন একটা আলাদা আবেদন থাকে। তাই এখন আমি আপনাদের সাথে বিয়ে বাড়ির বাবুর্চি স্টাইলে রান্না মজাদার চিকেন রোস্টের রেসিপি শেয়ার করবো। আশা করছি ভালো লাগবে সবার।

রোস্ট-রেজালা-কোরমা যত কিছুই রান্না করা হোক না কেন পোলাও ছাড়া কি কোনো উৎসব জমে? আবার এই পোলাও ঠিকমতো রান্না না হলে অন্যান্য মজার খাবারের সেই মজাটা কিছুতেই আসবে না। অথচ ঐসব খাবারের থেকে পোলাও রান্না সবথেকে সহজ আর সময়টাও কম লাগে। তবু মাঝে মধ্যে পোলাও হয় চাল চাল থেকে যাবে, নাহলে বেশি নরম আবার কখনওবা একদমই ঝরঝরা হয় না। তাই আমি আপনাদের কে পারফেক্ট বিয়ে বাড়ির স্টাইলে পোলাও রান্না’র রেসিপি দিচ্ছি গুরুত্বপূর্ণ অনেক টিপসসহ …..চলুন দেখে নেই কি কি লাগবে।

তেহারি আর বিরিয়ানির মধ্যে কিন্তু একটা সুক্ষ পার্থক্য আছে। রান্নার পদ্ধতিতে পার্থক্য তো আছেই সে সাথে তেহারি বিরিয়ানির তুলনায় অনেক হালকা মশলাদার হয় এবং রংটাও অনেক লাইট থাকে বিরিয়ানির মতো কালারফুল হয় না। আমরা অনেকেই তেহারি রান্নাতে প্রয়োজনের অতিরিক্ত মশলা দিয়ে বিরিয়ানী বানিয়ে ফেলেন …দোকানের তেহারির মতো কালারটাও আসে না। তাছাড়া সবধরণের মশলা তেহারীতে যায় ও না। পুরান ঢাকার অধিকাংশ তেহারি হাউজে যে রেসিপিতে রান্না করা হয় তার মূল বৈশিষ্ট হচ্ছে ”সাদামাটা মশলা” …..আমি চেষ্টা করেছি সেভাবেই রান্না করতে আর ফলাফল অতুলনীয়। দেখে নিন সেই রাজকীয় স্বাদের তেহারির সাদামাটা রেসিপি।

ছুটির দিন স্পেশাল কিছু খেতে ইচ্ছে করছে বা হঠাৎ অতিথি এসেছে ঘরে কয়েক রকম রান্না করার সময় বা উপকরণ কোনটাই হাতে নেই …সেক্ষেত্রে বিরিয়ানি হতে পারে মোক্ষম রেসিপি। কিন্তু ঘরে মাংস আর পোলাউ এর চাল থাকলেও নেই যে বিরিয়ানি মশলা… এখন? কোনো ব্যাপার না….এই ঘরোয়া রেসিপি তে রান্না করে দেখুন আপনার বিরিয়ানি একটু ও খারাপ হবে না…..ট্রাই করে দেখবেন নাকি…???

বিশেষ দিনগুলোতে অথবা বাড়িতে অনুষ্ঠান আয়োজনে বিভিন্ন রেসিপি রান্না করতে চাইলে আগে মশলার কথা ভাবতে হয়...প্রত্যেকটি আলাদা রেসিপির জন্য আলাদা মশলা ব্যবহার কয়রা হয়। তাই আজ নিয়ে এসেছি শাহী গরম মশলা গুঁড়া....বিরিয়ানী , কাবাব, রোস্ট , রেজালা বা যে কোনো ধরণের মাংস রান্না করতে চোখ বন্ধ করে ব্যবহার করা যায়। আমি সবসময় এক কৌটা এভাবে গুঁড়া করে ঘরে রেখে দেই, সময়ে-অসময়ে দারুন কাজে দেয় :)

যে কোনো ধরণের উৎসব বা অনুষ্ঠানে মোঘলাই খাবার একটা আলাদা মাত্রা যোগ করে। ঈদ, বিয়ে বা জামাই আপ্যায়নে মোঘলাই খানার জুড়ি মেলা ভার। আস্ত মুরগীর রোস্ট বা মোরগ মোসাল্লাম তেমনি একটা নাম। আজ আমি আপনাদের সাথে খুবই টেস্টি কিন্তু সহজ উপায়ে তৈরী করা যাবে এমন একটা মুর্গ বা মোরগ মোসাল্লামের রেসিপি শেয়ার করবো। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।

ঈদে মিষ্টিমুখ মানেই সেমাই-ফিরনী-পায়েস। সহজ রান্না তাই মোটামুটি সবাই পারেন। তারপরও যারা নতুন রাঁধুনি আছেন তাদের জন্য আমার এই স্পেশাল ফিরনীর রেসিপি। এভাবে সাধারনত বিয়ে বাড়িতে করে থাকে। যার জন্য ওই ফিরনিতে একটা স্পেশাল ব্যাপার থাকে। চলুন দেখে নেই বাবুর্চি স্টাইলে বিয়ে বাড়ির শাহী ফিরনি।

গায়ে হলুদের তত্ত্বে বা যেকোনো অনুষ্ঠানে একটু ভিন্নস্বাদের মিষ্টান্ন বানানোর কথা যদি ভেবে থাকেন তাহলে এই নারকেলের হালুয়া বা সন্দেশ হতে পারে মোক্ষম অস্ত্র। অল্প উপকরণে ঝটপট বানিয়ে নিন আর তাক লাগিয়ে দিন সব্বাইকে।

রসগোল্লা…, এটা শুধু একটা মিষ্টি নয়। বাঙালীর ঐতিহ্যের সাথে মিলেমিশে আছে এই নাম। এপার বাংলা বলুন আর ওপার বাংলা…মিষ্টি মানেই রসগোল্লা। দিনে দিনে যত বাহারি স্বাদের বা নামের মিষ্টিই আসুক না কেন রসগোল্লার জায়গা কেও কখনো নিতে পারে নি। চলুন আজকে এই রসগোল্লা বানানোর অদ্যোপান্ত জেনে নেয়া যাক।