বাসায় একটু মুঘলদের খাবার-দাবার মানে পোলাও, বিরিয়ানী, কোর্মা, কালিয়া জাতীয় খাবার বানালে আমরা সাধারণত কোক বা 7up নিয়ে আসি। কিন্তু এই পঁচা ড্রিঙ্কস গুলোর বদলে খুব সহজে ঘরেই কিন্তু আমরা বোরহানি বানাতে পারি। সেটা খেতেও যেমন মজা তেমনি উপকারীও। আর স্বাদের কথা..? ঠিক যেভাবে আমি রেসিপিটি দিয়েছি সেভাবে একবার করেই দেখুন…… বিয়ে বাড়ি বা পুরান ঢাকার রেস্টুরেন্ট এর বোরহানির থেকে কোনো অংশে কম হবে না, গ্যরান্টি দিলাম। আপনার নিজের তৈরী করা বোরহানি খেয়ে আপনি নিজেই ফিদা হয়ে যাবেন।

রমজানে ইফতারে আমরা নানারকম শরবত পরিবেশন করি। ইফতার আয়োজনে আমরা সবসময় চাই সহজ ও স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে। আর শরবতের মধ্যে বাদাম শরবত খুবই সবাস্থ্যকর। বাদাম শরবত বানানো যেমন সহজ তেমন স্বল্প সময়ে তৈরি করা যায় । আপনারা চাইলে ইফতারে বা যেকোনো সময়েই বানাতে পারেন এই বাদামের শরবত। সবচেয়ে মজার বিষয় হলো, আগে থেকে এই বাদামের সিরাপটা তৈরী করে রাখা যাবে । ইফতারের আগে অথবা যখন আপনি শরবতটি পান করতে চান তখই শুধুমাত্র ঠান্ডা পানির সাথে মিলিয়ে নিলেই হইয়ে যাবে। নরমাল ফ্রিজে দেড়মাস পর্যন্ত ভালো থাকবে এটা আর বানাতে লাগে মাত্র দু-তিনটে উপকরণ।

আড্ডার টেবিলে চায়ের কাপে ঝড়…..এই প্রবাদ তো সবারই শোনা। তবে আজকাল চায়ের পাশাপাশি কফিকেও সমান ভাবে গ্রহণ করছেন অনেকেই। বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের আড্ডা’তে এক মগ গরম ধোঁয়া-ওঠা কফি ছাড়া কি চলে? নানারকম কফির মধ্যে ক্যাপাচিনো কফির কদরটা যেন সবথেকে বেশি। আর সোশ্যাল মিডিয়ার এই সময়ে ক্যাপাচিনো নতুনরূপে ডালগোনা নামে যেন আরো বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আসলে ডালগোনা আর ক্যাপাচিনো’র মধ্যে তেমন তফাৎ নেই…..বানানোর পদ্ধতি মোটামুটি একই। পার্থক্য এটাই ক্যাপাচিনো খাওয়া হয় গরম আর ডালগোনা গরম ঠান্ডা দুইভাবেই খাওয়া যায়, এমনকি চাইলে চকোলেট মিশিয়েও খাওয়া যায়। চলুন তাহলে কফি মেশিন ছাড়া কফিশপের মতো এককাপ গরম কফি ঘরেই বানিয়ে নেয়া যাক। রেসিপি দেখে ভয় পাবেননা আমি আপনাদের বোঝার জন্য একটু বিস্তারিত লিখেছি, নাহলে এটা তিন লাইনেই শেষ করা সম্ভব।

আমাদের দেশে নানা ব্রান্ডের আমের যে মজাদার একটা জুস পাওয়া যায় সেটাকে আমরা ফ্রুটি অথবা ফ্রুটিকা অথবা আমের জুস নাম চিনি ...তাই না...? ম্যাংগো ফ্রুটিকা জুস বাড়ির ছোট্ট বাবুদের অনেক প্রিয় তো বটেই, তবে খুব গরমে তৃষা মিটানো থেকে শুরু করে রোজার মাসে ইফতার আয়োজনে আমরা বড়রাও এই জুস খেতে কিন্তু খুবই পছন্দ করি । আর আজকে আমি সেই মজার ম্যাংগো ফ্রুটিকা জুসের রেসিপিটাই আপনাদের সাথে শেয়ার করছি । কথা দিচ্ছি... স্বাদটা হুবুহু ম্যাংগো ফ্রুটিকা গুলোর মতোই হবে। দোকানের ঐসব ম্যাংগো জুস খেতে মজা হলেও স্বাস্থ্যকর কতটা সে বিষয়ে তো একটা প্রশ্ন থেকেই যায়। তাই গরমের সিজনাল ফল আম দিয়ে আপনি নিজেই ঘরে তৈরী করে নিতে পারেন মজাদার পানীয়টি। আশা করছি আমের এই রেসিপি আপনাদের ভালো লাগবে।

শুধু পুরান ঢাকা নয়, পুরো ঢাকা শহর জুড়েই বিভিন্ন ছোট-বড় ফাস্টফুডের দোকানে নানারকম খাবারের সাথে বিক্রি হয় এই সুস্বাদু প্রাণ জুড়ানো পানীয় টি। কিন্তু পুরান ঢাকার লাচ্ছির মধ্যে একটা আলাদা বিশেষত্ব থাকে যা অন্য জায়গার লাচ্ছির স্বাদকে হার মানায়।