অরেঞ্জ আইসক্রিম রেসিপি
কি মজা…শীতের বুড়ি তার গাট্টি-বোচকা নিয়ে কেটে পড়ছে….গতকাল থেকে শুরু হয়েছে সুন্দর রোদ ঝলমলে দিনের আর এই ঝলমলে রোদের দিনে আইসক্রিম খেতে খুবই ভালো লাগে । বাচ্চারা তো বটেই তার সাথে আমার মত বুড়ো মায়েরাও আইসক্রিম খেতে ভালোবাসে।তাই সামার কে স্বাগত জানাতে এ বছরের আমার বানানো প্রথম আইসক্রিম….. অরেঞ্জের স্বাদে একটু রঙ্গিলা ঢং এ 🙂
উপকরণ
- ৩ কাপ দুধ ফুলক্রিম (জ্বালিয়ে ঘন করে ২ কাপ )
- ১+১/৪ কাপ হেভী ক্রিম
- ১ টেবিল চামচ+ ১ চা চামচ কর্নস্টার্চ
- ২/৩ কাপ কনডেন্সড মিল্ক
- অরেঞ্জ এসেন্স
- ১/৮ চা চামচ লবণ
- ৪ টি কমলার খোলস
- ২/৩ টেবিল চামচ কমলার রস
- সামান্য অরেঞ্জ ফুড কালার
প্রস্তুত প্রণালী
- একটা ছোট বাটিতে কর্নস্টার্চ ২ টেবিল চামচ দুধে গুলিয়ে নিন। এই মিশ্রণটা বাকি দুধে ঢেলে দিয়ে মিশিয়ে একটা সসপ্যানে করে মাঝারি আঁচে ফোটান। ঠিক ৪ মিনিট ..সঠিক কনসিসটেন্সির জন্য এটা জরুরি। তারপর নামিয়ে ঠান্ডা করে নিন। অনেকটা কাস্টার্ড এর মতো হবে।
- এখন হেভি ক্রিম একটা মিক্সিং বোলে বিট করে ফোম করে নিন। বেশি বিট করবেন না তাহলে হেভি ক্রিম এর বাটার আর পানি আলাদা হয়ে যাবে। জাস্ট ফোম হলেই হবে। আর হ্যাঁ , বিট করার ব্লেড , হেভি ক্রিম ও যে বাটিতে বিট করবেন সেগুলো ২০ মিনিট আগে ফ্রিজে রেখে ভালোমতো ঠান্ডা করে নিবেন। তাহলে সুন্দর ফোম করতে পারবেন।
- এবার এতে কনডেন্সড মিল্ক , লবন, দুধের মিশ্রণ , ফুড কালার , কমলার রস ও এসেন্স দিয়ে আবারো হালকা করে নেড়ে নেড়ে অর্থাৎ ফোল্ড করে মিশিয়ে নিন।
- এবার আইসক্রিমের মিশ্রণ একটা প্লাস্টিকের বাটিতে ঢেলে ভালো করে মুখবন্ধ করে ২ ঘন্টার মতো ডিপফ্রিজে রেখে দিন। এই সময়ে আধাআধি জমবে। এর মধ্যে আপনি কমলা নিয়ে ছবিতে যেমনটা দেখতে পাচ্ছেন ওভাবে মুখের অংশটা কেটে ফেলে ভেতরের কোষগুলো সাবধানে বের করে নিন। সাবধানে করবেন যাতে খোলস ভেঙে না যায়। তারপর এটাও ফ্রিজে চালান করে দিন জমার জন্য।
- ২ ঘন্টা পর ফ্রিজ থেকে বের করে আবারো ভালো করে বিট করে স্মুদ করে নিন। এতে আইসক্রিমে জমা বরফকনা গুলো ভেঙে যাবে ও আইসক্রিমে কচকচে ভাব তা থাকবে না। তারপর ঢেকে আবার ফ্রিজে ঢুকিয়ে দিন। সবথেকে ভালো ফলাফল পেতে এই প্রসেস আরো ৩-৫ বার প্রতি ১ ঘন্টা পর পর করবেন। এতে আপনার আইসক্রিম একদম সুপার সফট এন্ড স্মুদি হবে ঠিক দোকানের মতো।
- শেষবার বিট করার পর ফ্রিজ থেকে কেটে রাখা কমলার খোলস বের করে তাতে এই আইসক্রিম ঢুকিয়ে ভালোকরে ঢেকে আবার ফ্রিজে ঢুকিয়ে পুরোপুরি জমতে দিন। হয়ে গেলে বের করে পরিবেশন করুন। চাইলে মাঝখান থেকে কেটেও নিতে পারেন বা খোলসের ভেতরে চামচ ঢুকিয়ে খেতে পারেন 🙂
Leave a Review