আমার কাছে মনে হয়, যত রকম হালুয়া আছে পৃথিবীতে সবথেকে সুস্বাদু হলো বুটের ডাল বা ছোলার ডালের হালুয়া। আমার খুবই প্রিয় এই হালুয়া’টা…, আর বানানোও অনেক সহজ। তবে রেসিপির উপকরণের অনুপাতটা খুবই জরুরি। যতখানি ডাল… ঠিক ততখানি চিনি আর ঘি হবে তার অর্ধেক। এই মাপে বানালে আপনার হালুয়া মজা হবেই হবে। চলুন দেখি বানাতে আর কি কি লাগবে।

ভর্তার কথা উঠলে সবার আগে বাঙালির মনে পড়ে আলুভর্তার নাম। এই খাবারটি বলতে গেলে সবার ঘরেই অহরহ হয়ে থাকে। ভর্তা সাধারণত একেকজন একেক ভাবে খেতে ভালোবাসেন এবং ভর্তা বানানোর পদ্ধতিও আলাদা আলাদা হয়ে থাকে। কিন্তু আলুভর্তা মোটামুটি সবাই একইভাবে বানান। তবু আজকে ৭ টি ভিন্ন স্বাদে ৭ রকম পদ্ধতিতে এই আলুভর্তার রেসিপি নিয়ে এলাম আপনাদের জন্য।

নাম শুনে হয়ত মনে হতে পারে এর নাম জালি কাবাব কেন? এটা আসলে পুরান ঢাকার স্পেশাল কাবাব যার বাইরের আবরণটা জাল বা নেটের মত হয়ে থাকে। এখন কথা হচ্ছে এই জালি ভাব টা আসবে কিভাবে? আমরা সাধারনত কাবাব বানতে ডিমে চুবিয়ে তারপর ব্রেডক্রাম এ গড়িয়ে নেই….এটার ক্ষেত্রে করতে হবে উল্টো.. বাকিটা দেখে নিন রেসিপি তে…

একটা সময় ছিল যখন মুড়ি, মুড়কি আর নানা স্বাদের মোয়া দিয়ে অতিথি আপ্যায়ন ছিল বাঙালির রীতি। তবে আজকালকার শহুরে যান্ত্রিক জীবনে এই খাবার গুলোর খুব একটা দেখা মেলে না।আমার মনে পড়ে ছোটবেলাতে নতুন গুঁড় তৈরি করা হলে আর নতুন মুড়ি ভাজা হলে এই মুড়ির মোয়াটা অবশ্যই বানানো হতো। বৈশাখী রেসিপিতে চলুন জেনে নেই বাঙালীর ঐতিহ্যবাহী নাস্তা মজাদার মুড়ির মোয়া বানানোর পদ্ধতি।

বাসায় ছোট-বড় দাওয়াতে বা নতুন কোনো অতিথি কে নিমন্ত্রণ করে খাওয়াতে চাইলে আমরা ভেবে পাই না কি কি আইটেম রান্না করা যায়। মাছ মাংসের বাইরে সাধারণত সেদ্ধ ডিমের কোরমা আমরা সবাই করে থাকি…আজ একটু ভিন্ন ভাবে মানে ডিমটাকে সেদ্ধ না করে পুডিং এর মত ভাপিয়ে নিয়ে তারপর কোরমা বানানোর রেসিপি শেয়ার করছি। গতানুগতিক মাছ মাংসের বাইরে যত্ন করে রান্না করা এই ভাপা ডিমের কোরমা ইনশাআল্লাহ আপনার অতিথির মন জয় করতে সাহায্য করবে। আমি দেখেছি দাওয়াতে সেদ্ধ ডিম রান্না করলে বাচ্চারা ছাড়া তেমন কেউ নেয় না। আর এভাবে রান্না করে দেখেছি সবাই অনেক আগ্রহ নিয়ে খায় সাথে খুব প্রশংসা ও করে…

শীত মানেই কব্জি ডুবিয়ে সবজি খাবার দিন। কিন্তু বাচ্চাদেরকে বোঝাবে কে? কি শীত কি বর্ষা আর কি গরম……সবজির নামেই সব ভেংচি কাটে। কিন্তু আলু মোটামুটি সব বাচ্চারাই খায় বা খেতে পছন্দ করে। আবার মুচমুচে খাবার বা স্নাক্স টাইপ খাবার বেশ আগ্রহ করেই খায়। তাই বাচ্চাকে যখন সবজি খাওয়াতে হুতু তু তু তু বলে দৌড়াতে হয় তখন চাইলে যে কোনো সবজি (বাচ্চাদের পছন্দের/অপছন্দের) দিয়ে এভাবে বানিয়ে খাওয়াতে পারেন। সাথে একটু চিজ বা পনির দিলে স্বাদ আরো বাড়বে। আশা করছি অতিরিক্ত বুদ্ধিমান বাচ্চা না হলে হাম হাম করে খেয়ে নিবে। এছাড়া বিকেলের নাস্তায় স্বাস্থ্যকর কিছু খেতে চাইলেও এই নাগেটসগুলো ওভেনে বেক করে পরিবেশন করা যাবে।

উত্তর কলকাতার শ্যামবাজার এর পাঁচ মাথার মোড়ের গোলবাড়ির বিখ্যাত কষা মাংসের কথা কমবেশি সবার জানা। তেলে ভাসা, মশলায় মাখা নরম-তুলতুলে গাঢ় খয়েরি রংএর মাংস সাথে গরম মশলার মনমাতানো সৌরভ -সবমিলিয়ে দারুন ব্যাপার। গোলবাড়ির সেই আদি আর অকৃত্রিম কষা মাংসের রেসিপি কিছুটা রহস্যময়। তবে আমার কাছে এটা অনেকটাই আমাদের দেশি কালাভুনার মতো মনে হয়। তাই এবারের রেসিপি ঘরোয়া পদ্ধতিতে কোলকাতা স্টাইলে “মটন কষা/গোলবাড়ির কষা মাংস”। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।

কাচ্চি বিরিয়ানী খেতে পছন্দ করে না এমন মানুষ খুব কমই আছে। অনেকেই ভাবে এটা রান্না করা খুবই কঠিন। একটু কঠিন বটে তবে অসম্ভব নয়। কাচ্চি বিরিয়ানী আর সাধারণ বিরিয়ানির মধ্যে কিন্তু একটা পার্থক্য আছে। সাধারণত বিরিয়ানী রান্না করতে আমরা পোলাও আর মাংসটাকে আলাদা ভাবে রান্না করে তারপর একসাথে দমে রাখি। আর তেহারির বেলায় মাংস আগেথেকে রান্নাকরে তারপর পোলাও এর সাথে আবারো রান্না করা হয়। কিন্তু কাচ্চির বেলায় কাঁচা মাংসের সাথেই পোলাওটাকে দমে রেখে রান্না করা হয়।

অসংখ্য লেয়ারে সুদৃশ্য লাচ্ছা পরোটা বা ফেনী পরোটা’র রেসিপি নিয়ে এলাম আপনাদের জন্য। আমার ছেলে এটার নাম দিয়েছে “ছেঁড়া পরোটা”,… নামটাও যেমন মজার খেতেও তেমন সুস্বাদু। দেখে হয়তো মনে হতে পারে বানানো বুঝি খুব কঠিন…আসলে কিন্তু খুবই সহজ। লাচ্ছ পরোটা একবার যে খাবে সে বার বার খেতে চাইবে। তাহলে চলুন দেখে নেয়া যাক…!

আহা!!!...ইলিশ খাবো আর সর্ষে দিয়ে রান্না করবো না এমন কি হয়…? বাঙালির ইলিশ খাওয়ার আসল মজা যে সর্ষে ইলিশে । বাঙালির ইলিশ বন্দনায় এই পদের নাম প্রথমেই চলে আসে। আর সেজন্যই আজ " ইলিশ পার্বন" আয়োজনে আমার পরিবেশনায় "সর্ষে ইলিশ"।