চটপটি মসলা তৈরির সহজ রেসিপি
যার নামটাই "চটপটি" তাকে চটপট করে খেয়ে ফেলতে হবে !!! তাই তো…? ফুসকা অথবা চটপটি খেতে পছন্দ করি না এমন মানুষ খুজে পাওয়া কষ্টকর। তবে আমরা বাইরের থেকে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বানানো চটপটি অথবা ফুসকা কিনে খেতে ভয় পাই…কিন্তু কোনো চটপটি ওয়ালার দোকানের পাশ দিয়ে হেটে যাওয়ার সময় তার চটপটির ঘ্রানকে অগ্রাহ করার কোনো পথও তো খোলা নেই…কি !!!!.সত্যি বলছি তো।।??? তাই আজ নিয়ে আসলাম একদম চটপটি ওয়ালা মামার মত করে বানানো আমার চটপটির মশলা। এটা দিয়ে বানানো হলে আমাদের চটপটির স্বাদ ও ঘ্রান একদম আমাদের বাংলাদেশের চটপটি ওয়ালা মামার চটপটির মতই হবে। বাজারে বিভিন্ন ব্রান্ডের চটপটির মশলাও পাওয়া যায় চাইলে সেটাও ব্যবহার করতে পারেন। তবে ঘরে বানানো যেকোনো কিছু হবে সবথেকে বেশি স্বাস্থ্যকর ।রাস্তার পাশে মামাদের দোকানের সুস্বাদু চটপটির স্বাদ ঘরে পেতে আমার এই স্পেশাল চটপটির রেসিপিটি দেখে নিন। তাছাড়া যেকোনো চটপটে খাবারে স্বাদ বাড়াতে দোকানের কেনা চাট মশলার পরিবর্তে এই ঘরে বানানো চটপটি মশলা ব্যবহার করতে পারেন।
উপকরণ
- ২ টেবিলচামচ পাঁচফোড়ন (পাঁচফোড়নে যা যা থাকে – সমপরিমানে জিরা, মৌরী, কালোজিরা, সরিষা ও মেথি। কোনো কোনো পাঁচফোড়নে রাঁধুনি ও দেয়া থাকে, সেক্ষেত্রে আলাদা করে রাঁধুনি নিতে হবে না।)
- ২ চা চামচ গোটা ধনিয়া
- ২ টেবিল চামচ জিরা
- ১/৪ চা চামচ লবঙ্গ
- ১/২ চা চামচ গোলমরিচ
- ১/৪ চা চামচ রাঁধুনি
- ৮-১০ টি শুকনা মরিচ
- ২ টেবিল চামচ বিট লবন
প্রস্তুত প্রণালী
- সবকিছু একসাথে বা আলাদা আলাদা করে শুকনো তাওয়াতে হালকা করে ভেজে নিতে হবে।
- বিটলবণ বাদে সব উপকরণগুলো গুঁড়ো করে নিন। তারপর বিটলবণ দিয়ে একসাথে ভালো করে মিশিয়ে নিন। হয়ে গেলো দারুন সুগন্ধি চটপটি মশলা।
- একবারে বেশি করে বানালে এয়ারটাইট বক্সে রেখে ৬ মাস পর্যন্ত ব্যাবহার করা যাবে। তবে তিন মাসের মধ্যে যেকোনো মশলা শেষ করা ভালো…এতে করে মশলার সুগন্ধ বেশি ভালো পাওয়া যায়।
Leave a Review