বিকেলের নাস্তায় চায়ের সাথে হালকা কিছু নাস্তা যেন আমাদের নিত্যদিনের জীবনের সাথে মিশে আছে। গরম গরম চায়ের সাথে চিড়া ভাজা, ডাল ভাজা, ঝুড়ি ভাজা, চানাচুর এগুলো খেতে কিন্তু দারুন লাগে। আজ আপনার সাথে শেয়ার করবো আলু ঝুড়ি ভাজা রেসিপি। ছোটবেলায় স্কুল শেষে প্রায়ই কিনে খেতাম। স্কুলের সামনে দাঁড়ানো মামাদের কাছ থেকে একটুকরো পেপারে ১ অথবা ২ টাকায় কিনে নিতাম আর খুড়মুড় করে খেতে খেতে চলে আসতাম বাড়ি। ছোটবেলার এ দিনগুলো সত্যিই অনেক সুন্দর ছিল। আজ চলুন দেখে নেই মজাদার এ আলু ঝুড়ি ভাজা রেসিপিটি।
আজকাল নানারকম ফাস্টফুডের ভিড়ে এই খাবার গুলো কেমন যেন হারিয়ে যাচ্ছে। তবে বরাবরই এগুলো আমার খুব পছন্দের। তাই এবার একবারে বেশি করে বানিয়ে কৌটা ভর্তি করে রেখে দিয়েছি। যেদিন কিছু বানাতে ইচ্ছে করবে না সেদিন বিকেলে চায়ের টেবিলে পরিবেশন করা যাবে।
ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় বা গ্রামের মেলাতে ছোট ছোট একধরণের সিঙ্গাড়া পাওয়া যায় যেগুলো একসাথে ২/৩ টা করেও মুখে পোরা যায়। অনেকে এটাকে কুঁচো বা গুঁড়ো সিঙ্গাড়াও ডেকে থাকেন। আমার অতি প্রিয় সাহিত্যিক প্রায়াত হুমায়ুন আহমেদ স্যারের লেখা “রোদন ভরা এ বসন্ত” উপন্যাসেও এই সিঙ্গাড়ার বর্ণনা আছে। উপন্যাস টা যতবার পড়েছি.. ততবার এই পিচ্চি সিঙাড়ার জন্য মনটা উথাল পাতাল করেছে। মনে হয়েছে, ইশ যদি এক প্লেট পেতাম এখন। তাই এবারের রেসিপি মার্বেল সিঙ্গাড়া বা মিনি সিঙাড়া।
একটা সময় ছিল যখন মুড়ি, মুড়কি আর নানা স্বাদের মোয়া দিয়ে অতিথি আপ্যায়ন ছিল বাঙালির রীতি। তবে আজকালকার শহুরে যান্ত্রিক জীবনে এই খাবার গুলোর খুব একটা দেখা মেলে না।আমার মনে পড়ে ছোটবেলাতে নতুন গুঁড় তৈরি করা হলে আর নতুন মুড়ি ভাজা হলে এই মুড়ির মোয়াটা অবশ্যই বানানো হতো। বৈশাখী রেসিপিতে চলুন জেনে নেই বাঙালীর ঐতিহ্যবাহী নাস্তা মজাদার মুড়ির মোয়া বানানোর পদ্ধতি।
শীত মানেই কব্জি ডুবিয়ে সবজি খাবার দিন। কিন্তু বাচ্চাদেরকে বোঝাবে কে? কি শীত কি বর্ষা আর কি গরম……সবজির নামেই সব ভেংচি কাটে। কিন্তু আলু মোটামুটি সব বাচ্চারাই খায় বা খেতে পছন্দ করে। আবার মুচমুচে খাবার বা স্নাক্স টাইপ খাবার বেশ আগ্রহ করেই খায়। তাই বাচ্চাকে যখন সবজি খাওয়াতে হুতু তু তু তু বলে দৌড়াতে হয় তখন চাইলে যে কোনো সবজি (বাচ্চাদের পছন্দের/অপছন্দের) দিয়ে এভাবে বানিয়ে খাওয়াতে পারেন। সাথে একটু চিজ বা পনির দিলে স্বাদ আরো বাড়বে। আশা করছি অতিরিক্ত বুদ্ধিমান বাচ্চা না হলে হাম হাম করে খেয়ে নিবে। এছাড়া বিকেলের নাস্তায় স্বাস্থ্যকর কিছু খেতে চাইলেও এই নাগেটসগুলো ওভেনে বেক করে পরিবেশন করা যাবে।
অসংখ্য লেয়ারে সুদৃশ্য লাচ্ছা পরোটা বা ফেনী পরোটা’র রেসিপি নিয়ে এলাম আপনাদের জন্য। আমার ছেলে এটার নাম দিয়েছে “ছেঁড়া পরোটা”,… নামটাও যেমন মজার খেতেও তেমন সুস্বাদু। দেখে হয়তো মনে হতে পারে বানানো বুঝি খুব কঠিন…আসলে কিন্তু খুবই সহজ। লাচ্ছ পরোটা একবার যে খাবে সে বার বার খেতে চাইবে। তাহলে চলুন দেখে নেয়া যাক…!
চটপটি...চটপটি...চটপটি...যার নামটাই চটপটি তাকে চটপট করে খেয়ে ফেলতে হবে !!! তাই তো…? ফুসকা অথবা চটপটি খেতে পছন্দ করি না এমন মানুষ খুজে পাওয়া কষ্টকর। তবে আমরা বাইরের থেকে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বানানো চটপটি অথবা ফুসকা কিনে খেতে ভয় পাই...কিন্তু কোনো চটপটি ওয়ালার দোকানের পাশ দিয়ে হেটে যাওয়ার সময় তার চটপটির ঘ্রানকে অগ্রাহ করার কোনো পথও তো খোলা নেই...কি !!!!.সত্যি বলছি তো।।???
এবারের রেসিপি আমাদের ট্রাডিশনাল ঢাকাই ভেলপুরি। ইন্ডিয়াতে এই নামে আরো একটি স্ট্রিট ফুড আছে যেটা আসলে চানাচুরের তৈরী একটা বিশেষ চাট। আর আমাদের ভেলপুরি দেখতে অনেকটা ফুচকার মতো হলেও খেতে একদম আলাদা। একবার খেলে কেউ ভুলতে পারবেন না। আমি প্রথম খেয়েছিলাম জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে। আজ সেই স্বাদ মুখে লেগে আছে।
বিকালের নাস্তায় চায়ের সাথে ধোঁয়া ওঠা গরমা গরম সিঙ্গারা কার না পছন্দের! খুব সাধারণ কিছু উপকরণ দিয়ে সহজেই তৈরি করা যায় দারুণ মজার এই স্নাকস টি। অনেকে বাড়িতে এটা করেও থাকেন। এত যত্ন করে বানানোর পরেও কেন যেন কিছুতেই দোকানের সিঙ্গারার মত হয় না। ভাজার সময় মুচমুচা দেখালেও নামানোর পরেই কেন যেন নরম হয়ে যায়। আর দোকানের সিঙ্গারার মত গা টা মসৃণ হয় না।
আস্সালামুআলাইকুম। সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি আমার আজকের এপিসোডে। আপনাদের জন্য খুবই হেলদি এবং টেস্টি একটা রাস্তা তৈরি করে দেখাবো যেটা আপনারা সকাল বিকেলের নাস্তা অথবা বাচ্চার টিফিনের জন্য বানাতে পারেন। আপনারা সবাই জানেন ডিম আমাদের জন্য খুবই স্বাস্থকর এবং উপকারী একটা খাবার। বিশেষ করে সকালের নাস্তায় যদি ডিম খাওয়া যায় তাহলে অনেক্ষন যাবৎ পেট ভরা থাকে আর ক্ষুধাও কম লাগে এবং এটা আপনার অল্পতেই পেটটাকে ভরিয়ে দেয়।