রসুনের আচার – Garlic Pickle
আচার কমবেশি সবাই পছন্দ করে কিন্তু সেটাই যদি হয় একটু সাস্থ্যকর … তাহলে কেমন হবে ? আপনারা সবাই জানেন রসুন আমাদের সাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারী। সেই রসুন দিয়েই আপনাদের জন্য আজ থাকছে অনেক মজার একটা আচার। আমার ঘরে মোটামুটি সবসময় এই আচার টা থাকে … কখনো শুধু রসুনের , কখনো সাথে আম /তেঁতুল/ চালতা / জলপাই বা আপেল দিয়ে। তবে আমি আজ রসুনের আচারের ক্লাসিক রেসিপিটা দিচ্ছি , চাইলে আপনার পছন্দমত যেকোনো টকফল টুকরো করে কেটে দিয়েও বানাতে পারেন জিভে জল আনা এই রসুনের আচার।
উপকরণ
- ২ কাপ রসুন কোয়া
- ১/৪ কাপ তেঁতুল গোলা (টক ভাব আনার জন্য )
- দেড় চা চামচ পাঁচফোড়ন (আধাভাঙ্গা)
- ২ চা চামচ আদা বাটা
- ২ টেবিল চামচ টালা শুকনা মরিচ গুড়া
- ১/৪ কাপ পেঁয়াজ বেরেস্তা (চাইলে বাদ দিতে পারেন , কিন্তু দিলে আচারে অসাধারণ একটা টেস্ট চলে আসে )
- ২-৩ টেবিল চামচ গোটা সরিষা
- ২-৩ টেবিল চামচ বা স্বাদ মত চিনি
- ২ টেবিল চামচ গুড়
- ১ টি তেজপাতা
- লবন স্বাদমত
- ১/৪ কাপ সয়াবিন তেল
- ১/২ কাপ সরিষার তেল
- ২ টেবিল চামচ সিরকা
প্রস্তুত প্রণালী
- সরিষা পেস্ট করার আগে কিছুক্ষন পানিতে ভিজিয়ে রেখে ভালোমতো ধুয়ে নিন। তারপর লবন ও কাঁচামরিচ দিয়ে বেটে নিন। লবন ও কাঁচা মরিচ দিয়ে বাটলে বাটার পর সরিষা তেতো হয়ে যায় না। আমি ব্লেন্ডারে সরিষা , কাঁচামরিচ, লবন ও কিছু কাঁচা আম কুচি দিয়ে একসাথে অল্প পানি দিয়ে পেস্ট করে নিয়েছি। আম বাটা দিলে দেখবেন আপনার আচারের স্বাদই পাল্টে গিয়েছে।
- এই আচারটা কিন্তু বেশি মিষ্টি হলে ভালো লাগে না। বরং একটা ঝাঁঝালো টক-ঝাল স্বাদ হবে এবং সাথে খুব হালকা মিষ্টি মিষ্টি ভাব। তাই সরিষা বাটার ক্ষেত্রে চেষ্টা করবেন দুইরকম সরিষাই ব্যবহার করতে। সাদা সরিষা ঝাঁজ কম এটা নিতে হবে কাসুন্দির সুন্দর কালারের জন্য আর লাল সরিষা ঝাঁজ এর জন্য। আপনারা চাইলে দুইটা সমান সমান করে নিয়ে বেশি করে কাঁচা মরিচ (অবশ্যই স্বাদমতো) দিয়ে মিহি করে বেটে নিবেন।
- প্যানে তেল গরম হলে পাঁচফোড়ন ও তেজপাতা দিন। চিড়বিড় করে উঠলে রসুন গুলো দিয়ে মিনিট দুয়েক নাড়ুন। তারপর একে একে বাকি উপকরন দিন আর হাল্কা করে নাড়ুন। সব দেয়া হলে ২ মিনিট কষিয়ে ঢেকে দমে দিয়ে দিন। কমপক্ষে ১/২ ঘণ্টা দমে রাখুন। এ সময় তাপ কমানো থাকবে।
- আধা ঘন্টা পর ঢাকনা খুলে দেখুন রসুন ঠিকমত নরম হয়েছে কিনা। ওগুলো সেদ্ধ হবে , নরম হবে কিন্তু একেবারে গলিয়ে ফেলবেন না। তারপর চামচ দিয়ে হালকা করে নেড়ে আরো ১০ মিনিট পর নামিয়ে রাখুন।
- অন্তত ২ দিন এভাবে কড়াইতে রাখুন। কারণ রসুনের ভিতরে সব কিছু ঢুকতে এটা জরুরি। প্রতিদিনকার রান্না শেষে ১০ মিনিট করে একটু দমে রাখবেন। তাহলে স্বাদ আরও বাড়বে। তারপর শুকনা কাঁচের বয়ামে ভরে রেখে দিন। মাঝে মাঝে রোদে দিলে এবং ঠান্ডা জায়গায় রাখলে অনেক দিন ভাল থাকবে। আর আচার তোলার সময় শুকনা চামচ ব্যবহার করবেন। কোনোভাবে আচারের ভেতর পানি ঢুকলে আচারে ফাঙ্গাস পড়ে যায়।
- আপনারা চাইলে এই একই রেসিপিতে রসুনের সাথে যেকোনো টকফল দিয়েও আচার বানাতে পারেন। আমি একবার টক-ঝাল মিষ্টি আম রসুনের আচার করেছিলাম।
Leave a Review