দারুণ মজার সবজি পোলাও
অনেকরকম পোলাও তো আমরা হরহামেশা রান্না করে থাকি। তবে শীতকালের স্পেশাল পোলাও হলো সবজি পোলাও । শীতে বাজার ভর্তি থাকে বাহারি সব সবজি দিয়ে তখন চাইলে খুব সহজেই এই পোলাও টা বানিয়ে নিতে পারেন। আর মজার ব্যাপার হলো কোনো সাইড ডিশ ছাড়া এমনিতেই পোলাওটা অনেক মজার হয় খেতে, চাইলে বাচ্চার টিফিনেও দিতে পারবেন।
উপকরণ
- ১.৫ কাপ বাসমতি বা কালিজিরা বা গোবিন্দভোগ ভাত
- ৩ কাপ পানি
- ২ কাপ পছন্দমতো শীতের সবজি কুচি
(আমি ফুলকপি,ব্রকোলি, গাজর, বরবটি,মটরশুঁটি নিয়েছি। আপনারা নিজের পছন্দমত সবজি নিতে পারেন। আর সবজিগুলো ছোট টুকরো করে কেটে নিতে হবে।)
- ১/৩ কাপ ঘি ্বা মাখন
- ১/৩ কাপ পেঁয়াজ কুচি
- ১ টেবিল চামচ আদা বাটা
- ১ চা চামচ রসুন বাটা
- ২ টেবিল চামচ কাজু বাদাম বাটা
- ১/৪ কাপ টক দই
- ১/৪ চামচ গরম মশলা গুঁড়া
- স্বাদমতো লবন
- ৭/৮ টি কিশমিশ
- ১ টেবিল চামচ চিনি
- ৫ থেকে ৬ টা কাঁচামরিচ
- ১ টা তেজপাতা
ফোরণের জন্যঃ
- সামান্য জিরা
- ২ টা করে এলাচ
- দারুচিনি
- লবঙ্গ
প্রস্তুত প্রণালী
- প্রথমেই মাঝারি আঁচে হাড়িতে বাটার গরম করে নিন। তারপর এতে জিরা-এলাচ-দারুচিনি-লং-তেজপাতা দিয়ে একটু ফোড়ন তুলে নিয়ে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে দিন। পেঁয়াজকুচি সাদা সাদা করে ভেজে নিতে হবে সোনালী করতে হবে না। এতে পোলাও এর রং ঠিক থাকবে।
- পেঁয়াজ হালকা ভাজা হলেই এতে আদা-রসুন ও বাদামবাটা দিয়ে ১ মিনিট একটু কষিয়ে নিন। তারপর একে একে কাঁচামরিচ কুচি, টকদই, গরমমশলা গুঁড়া ও লবন দিয়ে আবার একটু কষিয়ে নিন।
- এবারে যেসব সবজি সেদ্ধ হতে একটু বেশি সময় লাগে সেগুলো আগে দিয়ে দিন যেমন গাজর, ফুলকপি, ব্রকোলি। তারপর মশলার সাথে একটু নেড়ে মিশিয়ে নিন। তারপর ধুয়ে রাখা চালগুলো দিয়ে ৩ থেকে ৪ মিনিট সব একসাথে ভুনে নিন।
- তারপর এতে গরম পানি ও গুঁড়োদুধ দিয়ে নেড়ে মিশিয়ে দিন। চুলার আঁচ বাড়িয়ে এই পানিতে একটা বলোক তুলে নিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ১ চা চামচ লবন দিয়ে নেড়ে মিশিয়ে দিন। তারপর এই বাড়তি আঁচেই রান্না করুন মিনিট ৫ ধরে যতক্ষণ না পানি আর চাল সমান সমান হয়ে আসে।
- পানি টেনে আসলেই সাথে সাথে চুলার আঁচ কমিয়ে লো করে দিন। তারপর এতে মটরশুঁটি, কিশমিশ, চিনি, লেবুর রস ও কাঁচামরিচ দিয়ে আলতো করে মিশিয়ে ঢাকনা লাগিয়ে ১৫ মিনিট রান্না করুন।
১৫ মিনিট পর ঢাকনা খুলে আলতোভাবে নেড়ে মিশিয়ে নিন। তারপর আবারো ঢেকে ১০ মিনিট দমে রেখে নামিয়ে নিন।
টিপস:
- পোলাও ঝরঝরে করতে চাইলে চালগুলো ৪ থেকে ৫ বার কচলে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে যতক্ষণ না পানি পরিষ্কার হচ্ছে। এতে করে পানির সাথে চালের স্টার্চ ধুয়ে যাবে আর রান্নার সময় আঠালো হয়ে গায়ে গায়ে চাল গুলো লেগে থাকবে না, একদম ঝরঝরে হবে। আর ধোয়া হয়ে গেলে ভালো করে পানি ঝরিয়ে একটু ছড়িয়ে রেখে দিবেন।
- চাল দেয়ার পর পানিতে যখন বলোক আসে তখন ওই পানিটা একবার চেখে দেখবেন। ওই সময়ে পানিতে একটু চড়া লবন থাকতে হবে তাহলেই রান্নার পর পোলাওয়ের লবন ঠিকঠাক হবে। তাই যদি চেখে দেখেন লবন ঠিক লাগছে তাহলে আরো একটু লবন দিয়ে নিতে হবে।
Leave a Review