আপনার কন্যা সন্তানের নিরাপত্তা ও সুস্থ বিকাশ

কন্যা সন্তানের নিরাপত্তা ও সুস্থ বিকাশ
কন্যা সন্তানের নিরাপত্তা ও সুস্থ বিকাশ

নিম্নলিখিত দিকনির্দেশনাগুলো আপনার কন্যা সন্তানের নিরাপত্তা ও সুস্থ বিকাশে সহায়ক হতে পারে—

১। দুই বছরের বেশি বয়সী সন্তানের সামনে পোশাক পরিবর্তনের বিষয়টি যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন।
২। কন্যা সন্তানকে কখনও একা কারও বাড়িতে যেতে দেবেন না।
৩। কন্যা সন্তানের কাউকে কোলে বসার প্রয়োজন নেই, সে যত ঘনিষ্ঠই হোক না কেন।
৪। যদি কোনো প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি মজা করে বলে, “তুমি আমার বউ হবে?”— এমন কথায় কখনও হাসি-তামাশা করে প্রশ্রয় দেবেন না।
৫। সন্তান যখন বন্ধুদের সাথে বাইরে খেলতে যায়, খেয়াল রাখুন তারা কেমন ধরনের খেলা খেলছে।
৬। সন্তানের যদি কারও সাথে যেতে অনিচ্ছা বা অস্বস্তি থাকে, তাকে কখনও জোর করবেন না।
৭। আপনার সন্তান যেন অন্তত দুইটি ফোন নম্বর মুখস্থ রাখে, সেই বিষয়ে তাকে অনুপ্রাণিত করুন। আপনিও সেই নম্বরগুলো মনে রাখুন।
৮। পরিবারের সবাইকে একসাথে খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন, এবং সেই সময়ে মোবাইল ও টিভি বন্ধ রাখুন যেন পরিবারে সুন্দর সময় কাটানো যায়।
৯। সন্তানের সামনে কখনও অশালীন বা অনুপযুক্ত চলচ্চিত্র না দেখিয়ে, সবসময় ইতিবাচক ও শিক্ষণীয় ছবি দেখতে উৎসাহিত করুন।
১০। আপনার কন্যাকে এমন কোনো বাড়িতে খেলতে যেতে দেবেন না, যেখানে শুধু পুরুষ সদস্যরা আছেন।
১১। সন্তানের যেন কোনো ধরনের নেশার প্রতি আগ্রহ তৈরি না হয়, সে দিকে সতর্ক নজর রাখুন।
১২। নিজেও সন্তানের সামনে কোনো ধরনের নেশা, এমনকি ধূমপান থেকেও বিরত থাকুন।
১৩। মাঝে মাঝে সন্তানের মোবাইলের ব্রাউজিং হিস্ট্রি দেখে নিন এবং খেয়াল রাখুন সে কী কী বিষয় গুগলে অনুসন্ধান করছে।
১৪। লক্ষ করুন, আপনার সন্তান কোনো প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের প্রতি অতিরিক্ত ভক্তি বা নির্ভরশীলতা প্রকাশ করছে কি না।
১৫। সন্তানকে জাংক ফুড বা ফাস্টফুডে অভ্যস্ত না করে, স্কুলের টিফিনে ঘরে তৈরি স্বাস্থ্যকর খাবার দিন।
১৬। সন্তানের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করুন যেন সে আপনার সাথে খোলামেলা কথা বলতে পারে।
১৭। পারিবারিক কোনো অনুষ্ঠানে গেলে সন্তানকে সঙ্গে নিন— এতে তার সামাজিক দক্ষতা ও মানসিক বিকাশে সহায়ক হবে।
১৮। বাসায় প্রয়োজনীয় আত্মরক্ষামূলক সরঞ্জাম (যেমন: লাঠি) রাখুন এবং সন্তানকে খোলা জায়গায় সহজ কিছু আত্মরক্ষার অনুশীলন করতে উৎসাহিত করুন, যা প্রয়োজনের সময় কাজে লাগতে পারে।

আপনার সচেতনতা আপনার সন্তানের জন্য নিরাপদ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে পারে।