এই ঈদে তৈরি করুন একটু ভিন্নধর্মী নাস্তা চিকেন পাই। খুবই সহজ রেসিপি এবং খেতেও ভীষণ মজা। আতিথি আপনার তারিফ করবেই । আশা করি ভালো লাগবে।
ছুটির দিনগুলোতে পরিবারের সবার যেমন আবদার থাকে স্পেশাল কিছু খাওয়ার তেমনি গিন্নিমায়ের ও ইচ্ছে করে রান্না করার। কিন্তু আমরা যারা চাকরিজীবী আছি তাদের’ও তো এটা ছুটির দিন। তাই স্পেশাল খাবারের চক্করে সারাদিন রান্নাঘরে কাটাতেও মন চায় না। তাদের জন্য এই মোরগ পোলাও টাই মনে হয় এক ঢিলে দুই পাখি মারার মতো….স্পেশাল খাবার হলো….খাটনিও কম তাই আজ আপনাদের জন্য থাকছে ঝটপট তৈরি করা যায় এমন একটি মোরগ পোলাও এর রেসিপি । ঘরে পোলাও এর চাল আর মুরগি থাকলেই যথেষ্ট। বাকি উপকরন সবসময় সবার ঘরেই থাকে। চলুন দেখে নেই……।
আমি যখন ঘরে কোনো কাবাব আইটেম তৈরি করি তার সাথে অবশ্যই ওনিয়ন সালাদ আর ইয়োগার্ট চাটনী দিয়ে পরিবেশন করি। বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট গুলোতেও কিন্তু কাবাবের সাথে এভাবেই সালাদ ও চাটনী সার্ভ করা হয়। এই চাটনী খেতে যেমন মজার তেমনি হজমের জন্যও বেশ উপকারী। কাবাবের সাথে ঝাল ঝাল আবার হালকা টক-মিষ্টি ইয়োগার্ট চাটনী খুবই দারুন ভাবে মানায়। একদম সহজ ও সাধারণভাবে বানানো যায় এই মজার ইয়োগার্ট চাটনী।
এটি একটি জনপ্রিয় ইন্ডিয়ান কাবাব। এটি মূলত চিকেন লেগ বা রান দিয়ে করা হয়। টাংরি মানে ঠ্যাং বা পা এটা জানেন নিশ্চয় সবাই। আর সেই জন্যই এটার নাম এমন। দই আর নানারকম সুগন্ধি মশলার মিশ্রণে তৈরি একটি মজার একটা কাবাব। ছুটির দিনের জন্য একেবারে পারফেক্ট রেসিপি। সাধারণত , রান্না হতে কম সময় লাগার কারণে কাবাব বানানোর ক্ষেত্রে কিন্তু বুকের মাংসটাকেই সবাই প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। কিন্তু মজার ব্যাপারটা হচ্ছে, মুরগীর এই রানের অংশই কিন্তু সবথেকে মজার আর রসালো। এবং এই রসালো হবার কারণেই চমৎকার কাবাব হয় মুরগীর রান দিয়ে। আসুন জেনে নেই চিকেন টাংরি কাবাব এর দারুন সেই রেসিপি টি । হাতের কাছে থাকা সাধারণ উপকরণে তৈরি হয় বলে ঘরে চুলাতেই বানাতে পারবেন। টাকা খরচ করে আর হোটেলে গিয়ে খেতে হবে না।
কাবাব শব্দটির ভিতর একটা রাজকীয় ব্যাপার স্যাপার থাকে তাই না…? এটা খেতে যেমন মজার তেমন ঘরে বানানোটা একটু ঝামেলার মনে হয় আমাদের। সেই ভয়ে আমরা কাবাব বানাতেই চাই না। আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি চিকেন টিক্কা কাবাব এর রেসিপি। টিক্কা কাবাব তো অনেক রকম হয় তবেঁ আমি আজ মালাই টিক্কা কাবাবের রেসিপি নিয়ে আসছি । সহজ রেসিপি বাসায় একবার ট্রাই করে দেখবেন। দারুন সুস্বাদু মসলাদার এই কাবাব মুখে দিলেই ইয়াম ইয়াম ..... :D
ঈদের দিন বা বিশেষ কোনো অনুষ্ঠান আয়োজনে আমরা বাঙালিরা সেমায়টাকে সবার প্রথম ডেসার্ট অথবা মিষ্টি হিসেবে রাখতে চাই। আর সেই সেমাইয়ের রেসিপিটাকেই আমি কিছুটা পরিবর্তন করে বানিয়েছি এই মজার পুডিংটি। ভীষণ মজার এই সেমাইয়ের পুডিং তৈরী করা যায় সহজ ৩ টি উপায়ে। আমি সবগুলো উপায়েই করে দেখেছি , আপনাদের জন্য আমি তিনটি নিয়মই শেয়ার করছি যার কাছে যেটা ভালো লাগে সে সেভাবে করে নিবেন :)
ছুটির দিন বলেন আর অতিথি আপ্যায়নে বা যে কোনো অনুষ্ঠানে মোটামুটি আমরা সবাই চিকেনের একটা না একটা পদ করেই থাকি। আর বেশির ভাগ সময় ই সেটা হয় রোস্ট। অনেক যত্ন নিয়ে রান্নার পরেও কেন যেন রোস্টে বিয়ে বাড়ির রোস্টের মত সেই আমেজ টা থাকে না। আর তাছাড়া দেশের বাইরে আমরা তো দেশী মুরগি ও পাই না ..তাই রোস্ট আর রোস্ট হয় না। তবে আবার এই রেসিপিতে একবার করেই দেখুন ফার্মের মুরগীতেও আপনি আপনার কাঙ্খিত সেই স্বাদ-গন্ধ-বর্ণ খুঁজে পাবেন। আমি আমাদের তিনজনের জন্য অল্প করে করেছিলাম সেভাবেই রেসিপিটি লিখেছি তবে আপনারা মাংস বেশি হলে অনান্য উপাদান ও সেভাবে বাড়িয়ে নিবেন। চলুন দেরী না করে একবার দেখে নেই।
বাংলাদেশের জনপ্রিয় খাবার গুলোর মধ্যে হালিম একটা কমন নাম। বিশেষ করে রমজানে ইফতারিতে এর কদর আরো বেড়ে যায়। হালিম ছাড়া ইফতার যেন এখন আমরা ভাবতেই পারি না। তাছাড়াও বিকেলের নাস্তায় পরোটা অথবা পুরি দিয়েও অনেকে হালিম খেতে পছন্দ করেন। আমি আজ আপনাদের জন্য গরুর মাংস দিয়ে প্রকৃত বাংলাদেশী হালিম এর রেসিপি নিয়ে এসেছি। তবে আপনি একই ভাবে চিকেন,মাটন বা ভেজিটেরিয়ান আছেন তারা সোয়া নাগেটস দিয়েও রান্না করতে পারেন। Believe me, if you try this yummy dish once, you can't forget its outstanding taste. 😋
মুরগির মাংস পৃথিবীজুড়েই জনপ্রিয়। এ মাংস দিয়ে যে কত রকমের সুস্বাদু খাবার তৈরী করা যায় সেটা হাতে গুনে শেষ করা যাবে না। আমাদের দেশে ও আজকাল মুরগির ঝোল-কোর্মা-রোস্টের জায়গায় মুরগির মাংস দিয়ে তৈরি অন্যান্য খাবার জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। এ ধরনের পদ শুধু রেস্তোরাঁ নয়, ঘরেও করা যেতে পারে। তাই আজকে আমি আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি ভীষণ মজার চিকেন কোফতা কারীর রেসিপি। খুব সহজ ও সাধারনভাবে রান্না যাবে এই কোফতার রেসিপিটি তবে এর স্বাদ হবে একদম শাহী খাবারগুলোর মত। ইনশাআল্লাহ আপনাদের ভালো লাগবে ও কাজে আসবে।
আধুনিক ও সনাতন পদ্ধতি দুইভাবেই বানিয়েছি। অনেক সুন্দর জমেছে দুটোই আর সেইইই মজা : মাটির পাত্রের দই দুইটা বানিয়েছি সনাতন পদ্ধতিতে। আর সিরামিকের সাদা বাটির দইটা আধুনিক পদ্ধতিতে। আমার কাছে জানতে চাইলে আমি বলবো একটু লম্বা প্রসেস হলেও সনাতন পদ্ধিতেই টেস্টি বেশি হয়। কথায় আছে না ''Old is Gold ''