কাচ্চি বিরিয়ানী খেতে পছন্দ করে না এমন মানুষ খুব কমই আছে। অনেকেই ভাবে এটা রান্না করা খুবই কঠিন। একটু কঠিন বটে তবে অসম্ভব নয়। কাচ্চি বিরিয়ানী আর সাধারণ বিরিয়ানির মধ্যে কিন্তু একটা পার্থক্য আছে। সাধারণত বিরিয়ানী রান্না করতে আমরা পোলাও আর মাংসটাকে আলাদা ভাবে রান্না করে তারপর একসাথে দমে রাখি। আর তেহারির বেলায় মাংস আগেথেকে রান্নাকরে তারপর পোলাও এর সাথে আবারো রান্না করা হয়। কিন্তু কাচ্চির বেলায় কাঁচা মাংসের সাথেই পোলাওটাকে দমে রেখে রান্না করা হয়।

চটপটি...চটপটি...চটপটি...যার নামটাই চটপটি তাকে চটপট করে খেয়ে ফেলতে হবে !!! তাই তো…? ফুসকা অথবা চটপটি খেতে পছন্দ করি না এমন মানুষ খুজে পাওয়া কষ্টকর। তবে আমরা বাইরের থেকে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বানানো চটপটি অথবা ফুসকা কিনে খেতে ভয় পাই...কিন্তু কোনো চটপটি ওয়ালার দোকানের পাশ দিয়ে হেটে যাওয়ার সময় তার চটপটির ঘ্রানকে অগ্রাহ করার কোনো পথও তো খোলা নেই...কি !!!!.সত্যি বলছি তো।।???

রমজানে ইফতারে আমরা নানারকম শরবত পরিবেশন করি। ইফতার আয়োজনে আমরা সবসময় চাই সহজ ও স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে। আর শরবতের মধ্যে বাদাম শরবত খুবই সবাস্থ্যকর। বাদাম শরবত বানানো যেমন সহজ তেমন স্বল্প সময়ে তৈরি করা যায় । আপনারা চাইলে ইফতারে বা যেকোনো সময়েই বানাতে পারেন এই বাদামের শরবত। সবচেয়ে মজার বিষয় হলো, আগে থেকে এই বাদামের সিরাপটা তৈরী করে রাখা যাবে । ইফতারের আগে অথবা যখন আপনি শরবতটি পান করতে চান তখই শুধুমাত্র ঠান্ডা পানির সাথে মিলিয়ে নিলেই হইয়ে যাবে। নরমাল ফ্রিজে দেড়মাস পর্যন্ত ভালো থাকবে এটা আর বানাতে লাগে মাত্র দু-তিনটে উপকরণ।

আমাদের দেশে নানা ব্রান্ডের আমের যে মজাদার একটা জুস পাওয়া যায় সেটাকে আমরা ফ্রুটি অথবা ফ্রুটিকা অথবা আমের জুস নাম চিনি ...তাই না...? ম্যাংগো ফ্রুটিকা জুস বাড়ির ছোট্ট বাবুদের অনেক প্রিয় তো বটেই, তবে খুব গরমে তৃষা মিটানো থেকে শুরু করে রোজার মাসে ইফতার আয়োজনে আমরা বড়রাও এই জুস খেতে কিন্তু খুবই পছন্দ করি । আর আজকে আমি সেই মজার ম্যাংগো ফ্রুটিকা জুসের রেসিপিটাই আপনাদের সাথে শেয়ার করছি । কথা দিচ্ছি... স্বাদটা হুবুহু ম্যাংগো ফ্রুটিকা গুলোর মতোই হবে। দোকানের ঐসব ম্যাংগো জুস খেতে মজা হলেও স্বাস্থ্যকর কতটা সে বিষয়ে তো একটা প্রশ্ন থেকেই যায়। তাই গরমের সিজনাল ফল আম দিয়ে আপনি নিজেই ঘরে তৈরী করে নিতে পারেন মজাদার পানীয়টি। আশা করছি আমের এই রেসিপি আপনাদের ভালো লাগবে।

আহা!!!...ইলিশ খাবো আর সর্ষে দিয়ে রান্না করবো না এমন কি হয়…? বাঙালির ইলিশ খাওয়ার আসল মজা যে সর্ষে ইলিশে । বাঙালির ইলিশ বন্দনায় এই পদের নাম প্রথমেই চলে আসে। আর সেজন্যই আজ " ইলিশ পার্বন" আয়োজনে আমার পরিবেশনায় "সর্ষে ইলিশ"।

শুধু পুরান ঢাকা নয়, পুরো ঢাকা শহর জুড়েই বিভিন্ন ছোট-বড় ফাস্টফুডের দোকানে নানারকম খাবারের সাথে বিক্রি হয় এই সুস্বাদু প্রাণ জুড়ানো পানীয় টি। কিন্তু পুরান ঢাকার লাচ্ছির মধ্যে একটা আলাদা বিশেষত্ব থাকে যা অন্য জায়গার লাচ্ছির স্বাদকে হার মানায়।

বিরিয়ানি খেতে পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। তবে ভালো বিরিয়ানী রান্না করতে পারেন এমন মানুষ পাবেন হাতে গোণা কয়েকজন। শুধু রান্নার পদ্ধতির জন্য নয় পারফেক্ট স্বাদের বিরিয়ানী বানাতে পারফেক্ট বিরিয়ানী মশলারও দরকার হয়। বিরিয়ানী তো নানারকম হয়ে থাকে, রান্নার পদ্ধতির সাথে সাথে উপকরণেরও রকমফের থাকে তাতে।

বিকালের নাস্তায় চায়ের সাথে ধোঁয়া ওঠা গরমা গরম সিঙ্গারা কার না পছন্দের! খুব সাধারণ কিছু উপকরণ দিয়ে সহজেই তৈরি করা যায় দারুণ মজার এই স্নাকস টি। অনেকে বাড়িতে এটা করেও থাকেন। এত যত্ন করে বানানোর পরেও কেন যেন কিছুতেই দোকানের সিঙ্গারার মত হয় না। ভাজার সময় মুচমুচা দেখালেও নামানোর পরেই কেন যেন নরম হয়ে যায়। আর দোকানের সিঙ্গারার মত গা টা মসৃণ হয় না।

আমাদের দেশি মিষ্টিগুলোর নাম নিতে গেলে রসগোল্লা আর চমচমের পর সাদা মিষ্টির নামটা এমনিতেই চলে আসে। এই মিষ্টিটা দেখতে রসগোল্লার মতো হলেও খেতে গেলে বোঝা যায় স্বাদের পার্থক্য কতখানি। রসগোল্লা আর সাদা মিষ্টির তৈরির পক্রিয়া কাছাকাছি হলেও একটুখানি টেকনিকের কারণে দুটোর টেস্ট ও টেক্সার আলাদা হয়। আমার চ্যানেলে সাদা মিষ্টি বানানোর আরেকটি রেসিপি আছে , আপনারা চাইলে ওটাও দেখে নিতে পারেন আর সেভাবেও বানাতে পারেন।