মুরগির মাংস পৃথিবীজুড়েই জনপ্রিয়। এ মাংস দিয়ে যে কত রকমের সুস্বাদু খাবার তৈরী করা যায় সেটা হাতে গুনে শেষ করা যাবে না। আমাদের দেশে ও আজকাল মুরগির ঝোল-কোর্মা-রোস্টের জায়গায় মুরগির মাংস দিয়ে তৈরি অন্যান্য খাবার জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। এ ধরনের পদ শুধু রেস্তোরাঁ নয়, ঘরেও করা যেতে পারে। তাই আজকে আমি আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি ভীষণ মজার চিকেন কোফতা কারীর রেসিপি। খুব সহজ ও সাধারনভাবে রান্না যাবে এই কোফতার রেসিপিটি তবে এর স্বাদ হবে একদম শাহী খাবারগুলোর মত। ইনশাআল্লাহ আপনাদের ভালো লাগবে ও কাজে আসবে।

আধুনিক ও সনাতন পদ্ধতি দুইভাবেই বানিয়েছি। অনেক সুন্দর জমেছে দুটোই আর সেইইই মজা : মাটির পাত্রের দই দুইটা বানিয়েছি সনাতন পদ্ধতিতে। আর সিরামিকের সাদা বাটির দইটা আধুনিক পদ্ধতিতে। আমার কাছে জানতে চাইলে আমি বলবো একটু লম্বা প্রসেস হলেও সনাতন পদ্ধিতেই টেস্টি বেশি হয়। কথায় আছে না ''Old is Gold ''

আজকাল নানারকম ফাস্টফুডের ভিড়ে এই খাবার গুলো কেমন যেন হারিয়ে যাচ্ছে। তবে বরাবরই এগুলো আমার খুব পছন্দের। তাই এবার একবারে বেশি করে বানিয়ে কৌটা ভর্তি করে রেখে দিয়েছি। যেদিন কিছু বানাতে ইচ্ছে করবে না সেদিন বিকেলে চায়ের টেবিলে পরিবেশন করা যাবে।

গ্রামের দিকে এখনো মনে হয় কেউ কোথাও বেড়াতে গেলে হাতে মিষ্টির প্যাকেট নিয়ে যায়। আমার এক কাজিনের নানা আসতো সবসময় পেড়া সন্দেশ নিয়ে। কি যে মজার ছিল সেই সন্দেশ গুলো। আজ আমিও বানিয়েছি সেই মজার সন্দেশ। পেড়া সন্দেশ অনেক ভাবে বানানো যায়, তবে আমি যে পদ্ধতিতে বানিয়েছি আপনাদের জন্য রেসিপি টাই থাকছে।

আমার কাছে মনে হয়, যত রকম হালুয়া আছে পৃথিবীতে সবথেকে সুস্বাদু হলো বুটের ডাল বা ছোলার ডালের হালুয়া। আমার খুবই প্রিয় এই হালুয়া’টা…, আর বানানোও অনেক সহজ। তবে রেসিপির উপকরণের অনুপাতটা খুবই জরুরি। যতখানি ডাল… ঠিক ততখানি চিনি আর ঘি হবে তার অর্ধেক। এই মাপে বানালে আপনার হালুয়া মজা হবেই হবে। চলুন দেখি বানাতে আর কি কি লাগবে।

নাম শুনে হয়ত মনে হতে পারে এর নাম জালি কাবাব কেন? এটা আসলে পুরান ঢাকার স্পেশাল কাবাব যার বাইরের আবরণটা জাল বা নেটের মত হয়ে থাকে। এখন কথা হচ্ছে এই জালি ভাব টা আসবে কিভাবে? আমরা সাধারনত কাবাব বানতে ডিমে চুবিয়ে তারপর ব্রেডক্রাম এ গড়িয়ে নেই….এটার ক্ষেত্রে করতে হবে উল্টো.. বাকিটা দেখে নিন রেসিপি তে…

একটা সময় ছিল যখন মুড়ি, মুড়কি আর নানা স্বাদের মোয়া দিয়ে অতিথি আপ্যায়ন ছিল বাঙালির রীতি। তবে আজকালকার শহুরে যান্ত্রিক জীবনে এই খাবার গুলোর খুব একটা দেখা মেলে না।আমার মনে পড়ে ছোটবেলাতে নতুন গুঁড় তৈরি করা হলে আর নতুন মুড়ি ভাজা হলে এই মুড়ির মোয়াটা অবশ্যই বানানো হতো। বৈশাখী রেসিপিতে চলুন জেনে নেই বাঙালীর ঐতিহ্যবাহী নাস্তা মজাদার মুড়ির মোয়া বানানোর পদ্ধতি।

বাসায় ছোট-বড় দাওয়াতে বা নতুন কোনো অতিথি কে নিমন্ত্রণ করে খাওয়াতে চাইলে আমরা ভেবে পাই না কি কি আইটেম রান্না করা যায়। মাছ মাংসের বাইরে সাধারণত সেদ্ধ ডিমের কোরমা আমরা সবাই করে থাকি…আজ একটু ভিন্ন ভাবে মানে ডিমটাকে সেদ্ধ না করে পুডিং এর মত ভাপিয়ে নিয়ে তারপর কোরমা বানানোর রেসিপি শেয়ার করছি। গতানুগতিক মাছ মাংসের বাইরে যত্ন করে রান্না করা এই ভাপা ডিমের কোরমা ইনশাআল্লাহ আপনার অতিথির মন জয় করতে সাহায্য করবে। আমি দেখেছি দাওয়াতে সেদ্ধ ডিম রান্না করলে বাচ্চারা ছাড়া তেমন কেউ নেয় না। আর এভাবে রান্না করে দেখেছি সবাই অনেক আগ্রহ নিয়ে খায় সাথে খুব প্রশংসা ও করে…

উত্তর কলকাতার শ্যামবাজার এর পাঁচ মাথার মোড়ের গোলবাড়ির বিখ্যাত কষা মাংসের কথা কমবেশি সবার জানা। তেলে ভাসা, মশলায় মাখা নরম-তুলতুলে গাঢ় খয়েরি রংএর মাংস সাথে গরম মশলার মনমাতানো সৌরভ -সবমিলিয়ে দারুন ব্যাপার। গোলবাড়ির সেই আদি আর অকৃত্রিম কষা মাংসের রেসিপি কিছুটা রহস্যময়। তবে আমার কাছে এটা অনেকটাই আমাদের দেশি কালাভুনার মতো মনে হয়। তাই এবারের রেসিপি ঘরোয়া পদ্ধতিতে কোলকাতা স্টাইলে “মটন কষা/গোলবাড়ির কষা মাংস”। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।

একদা মাছে ভাতে বাঙ্গালির অতিথি আপ্যায়নের জন্য বড় মাছের কালিয়া ছিল অপরিহার্য উপাদান। বিশেষ করে কোন বাড়ির জামাইয়ের পাতের কালিয়া কত বড় ছিল তা নিয়ে ছোটখাটো প্রতিযোগীতা চলতো গ্রামাঞ্চলে। আজকাল এইসব মশলাদার খাবারের চল যেন অনেকটাই কমে গিয়েছে, তবু পালে-পার্বণে দেশীয় এসব খাবার খাওয়া যেতেই পারে। কি বলেন?….. তাই আজকে আপনাদের জন্য পুরোনো কিন্তু খুবই মজাদার একটা মাছের রেসিপি শেয়ার করছি। আর সেটা হলো “মাছের কালিয়া”। পাকা রুই বা কাতলা হলে বেশি ভালো হয় তবে আপনি অন্যান্য বড় মাছ দিয়েও এটা করতে পারবেন।