চুলায় তৈরী নান রুটি রেসিপি
কাবাবের সাথে নানরুটি ঠিক যেন মানিক জোড়। তাছাড়া হোটেল স্টাইলে সবজি বা মাংসের অন্যান্য পদের সাথেও দারুণভাবে মানিয়ে যায়। কাবাবের হোটেল গুলোতে নান রুটি সাধারনত তৈরি করা হয় তন্দুর চুলা বা ওভেনে। বাসায় তো আর তন্দুর বানানো সম্ভব না। আর সবার বাসায় ওভেন ও থাকে না, তাহলে উপায়? তাই এবারের রেসিপি থেকে শিখে নিতে পারবেন গ্যাসের চুলাতেই কিভাবে নান রুটি বানানো যায়।একবার একটু চেষ্টা করেই দেখুন না মজাদার নান রুটি বাসায় হয় কিনা।
উপকরণ
- ২ কাপ ময়দা
- ১ টেবিলচামচ চিনি
- ১/২ চা চামচ লবন
- ২ চা চামচ ঈস্ট
- ১/৪ কাপ টকদই
- ১/২ কাপ পানি কুসুম গরম
- ২ টেবিল চামচ তেল বা ঘি বা মাখন
প্রস্তুত প্রণালী
- একটি বাটিতে কুসুম গরম পানিতে চিনি ও ঈস্ট গুলিয়ে ২/৩ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরই মাঝে ঈস্ট ফুলে ফেনার মত উঠবে। আরেকটা বড় বাটির মধ্যে ময়দা ও লবণ একসাথে মিলিয়ে নিন। এবার মিশ্রনটির মাঝে একটি গর্ত করে ঈস্ট মেশানো পানি ও টকদই দিয়ে আস্তে আস্তে হাতের তালু দিয়ে মাখিয়ে মোটামুটি নরম একটা খামির বানিয়ে নিন। ভেজা নিংড়ানো কাপড় দিয়ে ঢেকে আধা ঘন্টা থেকে ১ঘন্টা সরিয়ে রাখুন। ১ ঘন্টা পর ডো ফুলে ডাবল হয়ে যাবে। এখন ডো থেকে বাতাস বের করতে আরও ২ মিনিট মেখে নিতে হবে। তারপর খামিরটিকে সমান ৮ ভাগে ভাগ করে নিন।
- মাঝারি আঁচে চুলায় তাওয়া গরম করতে দিন। এবার প্রতিটি খামিরের বল নিয়ে অল্প ময়দা লাগিয়ে ওভাল শেপে পরোটার মতো মোটা করে বেলে নিন। আপনি এছাড়াও ত্রিভুজ বা গোল করে বেলতে পারেন। রুটিটার একপাশে হালকা করে পানি লাগিয়ে নিন। গরম তাওয়াতে পানি লাগানো পিঠ দিয়ে বসিয়ে দিন, এভাবে দিলে নান তাওয়ার সাথে চিপকে লেগে থাকবে, খুলে পড়ে যাবে না।
- তাওয়া তে বসানোর পর ঢেকে মিনিট খানেক অপেক্ষা করুন , যখন নানের উপরে কিছুটা ফুলে ফুলে উঠবে, তখন চুলার আঁচ একটু কমিয়ে তাওয়া টা উল্টিয়ে নানের আরেক দিক চুলার আগুনের ওপর ১৫-২০ সেকেন্ড ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে সেঁকে নিন। নানের উপরিভাগে ফুলে ওটা জায়গা গুলোতে হালকা বাদামি স্পট দেখা দিলে নামিয়ে নিন। খুন্তি দিয়ে নানের চারপাশে একটু খোঁচা দিলেই তাওয়া থেকে উঠে আসবে। এভাবে একে একে বাকি গুলোও করে নিন।
টিপস:
- বাটার নান খেতে চাইলে সেঁকে নেয়ার পর গরম থাকতেই উপর দিয়ে বাটার ব্রাশ করে নিবেন, হয়ে যাবে বাটার নান। আর যদি গার্লিক নান খেতে চান, তাহলে বেলে নেয়ার সময় মিহি কুচি করা রসুন ও অল্প ধনেপাতা নানের একপিঠে লাগিয়ে বেলে নিবেন। আর সেঁকার সময় রসুন লাগানো দিক টা উপরদিকে রেখে সেঁকবেন। ব্যাস হয়ে যাবে গার্লিক নান। চাইলে এটার গায়েও বাটার ব্রাশ করে নিতে পারে, তাহলে হয়ে যাবে গার্লিক-বাটার নান। কি মজা না?
Leave a Review