ভুনা খিচুড়ি আমরা কম বেশি সবাই পছন্দ করি। আর সেই খিচুড়ির সাথে যদি আচার আর মাংস যোগ হয় তাহলে স্বাদটা আরো বেড়ে যায়। ঝুমঝুম বৃষ্টি’র দিন উদযাপন করতে বা ছোটখাট গেট টুগেদারের পার্টিতে দারুন জমে যাবে এই আচারি চিকেন ভুনা খিচুড়ি। আপনারা চাইলে চিকেনের পরিবর্তে বেঁচে যাওয়া বিফ বা মাটন ভুনা ও ব্যবহার করতে পারেন।

আমার আজকের রেসিপি চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী ”কালাভুনা বা গরুর মাংসের কালোভুনা” । চেষ্টা করেছি ঐতিহ্য এবং মূল বৈশিষ্ট বজায় রেখে সহজ ভাবে রান্নাটি দেখাতে। সবসময় ঘরে থাকে এমন কিছু মশলা দিয়েই রান্নাটা করবো যাতে ব্যাচেলর ও নতুন রাঁধুনিরা সহজেই রেসিপিটা অনুসরণ করতে পারেন। ওরে বাবা, এইটা রান্না করতে বহুত ফ্যাচাল। … অতডি মশলা কই পামু?” …বলে হাত গুটিয়ে না থাকেন। তবে হ্যাঁ, স্বাদের কোনো কম্প্রোমাইজ হবে সে আগে থেকেই বলে রাখছি। চলুন তাহলে দেখে নেই বানাতে কি কি লাগবে ….

ছুটির দিনে স্পেশাল খাবার বলতে পোলাও , মাংস বা বিরিয়ানী টাইপের খাবারই বেশি খাওয়া হয় সবার। মাছ থাকলেও ভুনা বা ফ্রাই করা হয়। এবার শুধু মাছ দিয়েই করে দেখুন মজাদার এই ডিশটি যা আপনাকে স্পেশাল খাবার এর আমেজ ও দিবে সাথে ভরপুর প্রোটিন। সহজে তৈরী করা যায় বলে যারা মাছ পছন্দ করেন তাদের আশা করি রেসিপি টি অনেক ভালো লাগবে …!

আজকাল বিয়ে বাড়িতে পোলাও এর সাথে একটা বিশেষ সবজি সার্ভ করে যেটা দেখতে অনেকটা চায়নীজ মিক্সড ভেজিটেবলের মতো হলেও খেতে গেলে বোঝা যায় এর মধ্যে একটা শাহী আমেজ আছে। চলুন তাহলে দেখে নেই বিয়ে বাড়ির সেই শাহী সবজির রেসিপি।

ঈদ বা বিভিন্ন দাওয়াত মানেই টেবিল ভর্তি বাহারি মাংসের আইটেম। তাই এসময়ে দুএকটা সবজি আইটেম হলে মন্দ হয় না। সব থেকে ভালো হয় যদি সেটা পোলাউ এর সাথেও সার্ভ করা যায়। তাহলে মেহনদারিতেও দারুন জমে যাবে। তাই এবারের রেসিপি দই বেগুন বা বেগুন বাহার যা শুধু পোলাও নয়, ভাত , রুটি, পরোটা, লুচি সবকিছুতেই বাজিমাত করে দিবে।

পোলাওয়ের সাথে সার্ভ করার জন্য আমার সবথেকে পছন্দের কাবাব হচ্ছে শামি বা টিকিয়া কাবাব। এগুলো খেতে যে কি মজা হয় সেটা তো আপনারা সবাই জানেন। তবে আজ মাংসের বদলে মাছ দিয়ে এই শামি কাবাব বানিয়ে দেখাবো। খুব কম সময়ে ঝামেলাহীন ভাবে বানানো যায়। আর সবথেকে বড় সুবিধা হলো, একদিন সময় করে বেশি করে বানিয়ে রাখলে ৩/৪ মাস ডিপ ফ্রিজে রেখে প্রয়োজনমত ব্যবহার করা যায়। বাচ্চার টিফিন থেকে শুরু করে ঝটপট মেহমানদারিতেও ভীষণ কাজে দেয়।

ইলিশ এমন একটা মাছ যা শুধু নুন মরিচ দিয়ে সেদ্ধ করে খেলেও যেন অমৃত। তবে আমাদের বাঙালিদের তো রসনাবিলাসের অভাব নেই। কত ভাবেই না আমরা এই মাছের রাজার অপূর্ব স্বাদটা উপভোগ করি। আজ আপনাদের জন্য থাকলো বৈশাখ স্পেশাল ইলিশ দিয়ে পুরোনো দিনের এক মজার খাবারের রেসিপি।

ইলিশ মাছ, নাম শুনেই জিবে জল আসে। ইলিশ আমাদের জাতীয় মাছ , এই মাছের স্বাদ অতুলনীয়। ইলিশ খেতে মজার তার উপর এর উপকারিতাও অনেক। পদ্মার ইলিশের সুনাম তো সারা বিশ্বে। হুটহাট রান্না করার জন্য ইলিশের বিকল্প হয় না। বৈশাখের দিনটা ইলিশের পদ না থাকলে কি চলে ? চলুন ইলিশ মাছের এই দারুণ লোভনীয় '' ইলিশ দোপেঁয়াজা'' রেসিপিটি দেখে নিই। এত সহজ রান্না আর হয় না!

আমরা সাধারণত বৈশাখে পান্তার সাথে ইলিশ ভাজাটাই বেশি খেয়ে থাকি। কিন্তু এর সঙ্গে কিছু একটা ভর্তা না থাকলে আবার চলে না। আজকে আমি আপনাদের পান্তার সাথে পরিবেশন করার জন্য একটা সহজ রেসিপি দিচ্ছি, আর সেটা হলো ''মাখা ইলিশের পাতলা ঝোল '' .....এক হাত ঝোল আর একটুকরো মাছ হলে কাঁচা পেঁয়াজ দিয়ে নিমেষেই এক খানটি ভাত গায়েব করে দেয়া সম্ভব। ছোটবেলায় আম্মু এটা বানাতো , সকালের বাসি ভাতের সাথে খেতে সেই মজা। আজ সকালে আম্মুকে ফোন করে রেসিপি জেনে আমিও বানিয়ে নিলাম। আশা করি এই বৈশাখে আপনাদের কাজে আসবে :)

পহেলা বৈশাখের দিন কয়েকটি ভর্তার আয়োজন না করলে বাঙালির আয়োজনটা যেন ঠিক পরিপূর্ণ হয় না। ইলিশ মাছের আয়োজনের সাথে ভর্তার আয়োজনটাও কিন্তু বেশ মানাসই। তাই আজ রয়েছে ইলিশ মাছের সাথে বেগুন ভাজা দিয়ে একটা মজার ভর্তার রেসিপি। একটু স্পেশাল কিন্তু বাঙালি ঢঙয়ের মজার এই ভর্তার রেসিপিটি চলুন দেখে নিই…