আমরা হরহামেশাই ফাস্টফুডের দোকান বা বেকারি থেকে প্যাটিসটা কিনে খাই। হালকা ক্রিস্পি এই প্যাটিসের ভেতরের পুরটার কারণেই খেতে বেশি মজা লাগে। আর বেশিরভাগ সময় সেটা হয় চিকেন ও পেঁয়াজ দিয়ে তৈরী। ভেতরের পুরটা তো ইচ্ছেমতো করে নেয়া যায়….সমস্যা হলো বাইরের আবরণটা নিয়ে। দেশের বাইরে যে কোনো সুপার শপে সহজেই এই পেস্ট্রি পাফ কিনতে পারবেন। আজকাল আমাদের দেশেও পাওয়া যায়। তবে দামটা নেহায়েত কম হয় না। ওই দামে ৩ প্যাকেট বানিয়ে ফেলা যায় ঘরেই। বানানো আসলে খুবই সহজ, উপকরণ ও কম শুধু একটু ধৈর্য সহকারে যত্ন করে বানালে আপনার বানানো প্যাটিস ও দেখতে অবিকল একই হবে আর টেস্ট ও লা-জওয়াব। চলুন দেখে নেয়া যাক …!
শীতকাল শব্দটা শুনলেই ভোজন রসিকদের মাথায় পরপর কয়েকটা নাম সারি বেঁধে চলে আসে। যেমন, পিঠাপুলি, খেজুরের রস, খেজুর গুড়, বাহারি সবজি ইত্যাদি ইত্যাদি। আর শীতের সময়ে বাজার ভর্তি হয়ে যায় নানারকম সুস্বাদু টাটকা সবজিতে। গাজর তার মধ্যে একটি। সাধারণত বিভিন্ন রান্নাকে কালারফুল করতেই আমরা গাজর বেশি ব্যবহার করি। তাছাড়া এই সব্জিটা দিয়ে আরো নানারকম মুখরোচক ডেজার্ট বানানো যায়। যেমন গাজরের হালুয়া, গাজরের বরফি, ছানা গাজরের সন্দেশ বা ক্যারোট ডিলাইট, গাজরের কেক/ক্যারোট কেক, বেকড ক্যারোট ডিলাইট আরো কত কি! এই সব কিছুর মধ্যে সবথেকে সহজ আর ঝটপট তৈরী করা যায় গাজরের হালুয়া, আর এখন আমরা সেটাই দেখে নিবো।
দেশের জনপ্রিয় স্ট্রীটফুডের মধ্যে চটপটি অন্যতম। বাইরে গিয়ে বন্ধু বা পরিবারের সাথে মামার দোকানের চটপটি খাবার আলাদা মজা আছে। তবে মাঝেমধ্যে ঘরেও আপনি চাইলে আরো বেশি স্বাদে ও স্বাস্থ্যকর উপায়ে এই চটপটি নিজেই বানিয়ে নিতে পারেন। বিশেষ করে ঈদে বা ফ্যামিলি গেট টুগেদারে নাস্তার টেবিলে আপনার বানানো চটপটি হতে পারে মূল আকর্ষণ। চলুন তাহলে দেখে নেয়া যাক রেসিপিটা …।
আজকালকার শহুরে জীবনে ব্যাস্ত সকালে নাস্তা হিসেবে পাউরুটি যেন একটু একটু করে রুটি,পরোটার জায়গা নিয়ে নিচ্ছে। একবার তৈরী করে ২/৩ দিন ধরে খাওয়া যায় বলে সকাল সকাল নাস্তা বানানোর ঝামেলাও কমে যায়। তাছাড়া , ঘরে পাউরুটি থাকলে তা দিয়ে নানারকম মুখরোচক নাস্তা ও ডেজার্ট ও তৈরি করে ফেলা যায়। তাহলে চলুন আজ জেনে নেই ঘরে থাকা সামান্য কিছু উপকরণ দিয়ে বেকারির মতো চমৎকার পাউরুটি’র রেসিপি। আপনাদের সুবিধার জন্য পরিমাপটা আমি গ্রাম ও কাপ দুইভাবেই দিলাম।
সমুচা আমাদের কম বেশি সবারই পছন্দ। কিন্তু বানাতে গেলেই ঝামেলায় পড়তে হয় সমুচার বাইরের আবরণটি তৈরী করতে। ঘরে বানানো সমুসা যেন কিছুতেই মোড়ের দোকানের কেনা সমুসার মতো মুচমুতেও হয়না আর আবরণটাও পাতলা থাকে না। তাহলে সমাধান টা কি? সমাধান হলো আসল পদ্ধতিতে আগে সমুসা শিট বা সমুসা পাত্তি বানিয়ে নেয়া ঠিক যেভাবে হোটেল বা মোড়ের সমুসার দোকানের মামারা বানিয়ে থাকেন। চলুন তাহলে দেখে নেয়া যাক কিভাবে খুব সহজে ঘরে বসেই এ সমুচা শিটটি বানানো যায়।
বেকিং পর্বে এবারের রেসিপি বিফ পিজ্জা। তবে এটা আমাদের বাংলাদেশী ছোট ছোট বেকারি বা ফাস্টফুড শপে যেরকম পিজ্জা বিক্রি হয় সেই পিজ্জার রেসিপি যা অরিজিনাল ইটালিয়ান পিজ্জার থেকে অনেকটাই আলাদা এবং বেশি টেস্টি।
এই মজাদার ও সহজ হোমমেড মেয়োনিজ তৈরি করতে আপনার খুব সাধারণ কিছু উপাদানের প্রয়োজন হবে! যেটা আপনি নানারকম স্যান্ডউইচ , চিকেন সালাদ, ডিমের সালাদ, বার্গার ইত্যাদি তৈরিতে ব্যবহার করতে পারেন। আর বাড়িতে তৈরী এই মেয়োনিজ এতটাই সুস্বাদু যে আপনি দোকান থেকে আর কিনতে চাইবেন না।
বাসায় সাধারনত মাটন কারী বা ভুনা টাই বেশি খাওয়া হয়ে থাকে সবার। কিন্তু কোনো অনুষ্ঠানে আমরা চাই অতিথি’র সামনে একটু স্পেশাল কোনো ডিশ পরিবেশন করতে। সেক্ষেত্রে মাটন রেজালা থাকতে পারে আপনার পছন্দের তালিকায়। খুব সহজ রেসিপিতে গুটিকতক উপকরণে আপনি নিজে ঘরেই তৈরী করতে পারেন বিয়ে বাড়ির স্বাদে ”মাটন রেজালা” ….অনেকটা কোরমার মতো স্বাদ আবার ঝাল ঝাল ও থাকে। আশা করছি ভালো লাগবে সবার।
চট্টগ্রাম জেলার নামের সাথে সমুদ্রসৈকত শব্দটা যেমন সবচেয়ে ভালো মানায়, তেমনি ভোজন রসিকের মনে চট্টগ্রামের সাথে মেজবান বা মেজবানি শব্দটাও সবার আগেই উঁকি দেয়। ঐতিহ্যবাহী মেজবান অনুষ্ঠানের সবচেয়ে প্রধান যে আকর্ষণ, তা হলো মেজবানি মাংস। তাই এবারে বাবুর্চিদের রেসিপিতে অরিজিনাল মেজবানি মাংস রান্নার পদ্ধতি রইলো আপনাদের জন্য।
কাবাবের সাথে নানরুটি ঠিক যেন মানিক জোড়। তাছাড়া হোটেল স্টাইলে সবজি বা মাংসের অন্যান্য পদের সাথেও দারুণভাবে মানিয়ে যায়। কাবাবের হোটেল গুলোতে নান রুটি সাধারনত তৈরি করা হয় তন্দুর চুলা বা ওভেনে। বাসায় তো আর তন্দুর বানানো সম্ভব না। আর সবার বাসায় ওভেন ও থাকে না, তাহলে উপায়? তাই এবারের রেসিপি থেকে শিখে নিতে পারবেন গ্যাসের চুলাতেই কিভাবে নান রুটি বানানো যায়। একবার একটু চেষ্টা করেই দেখুন না মজাদার নান রুটি বাসায় হয় কিনা।