ঈদের দিন বা বিশেষ কোনো অনুষ্ঠান আয়োজনে আমরা বাঙালিরা সেমায়টাকে সবার প্রথম ডেসার্ট অথবা মিষ্টি হিসেবে রাখতে চাই। আর সেই সেমাইয়ের রেসিপিটাকেই আমি কিছুটা পরিবর্তন করে বানিয়েছি এই মজার পুডিংটি। ভীষণ মজার এই সেমাইয়ের পুডিং তৈরী করা যায় সহজ ৩ টি উপায়ে। আমি সবগুলো উপায়েই করে দেখেছি , আপনাদের জন্য আমি তিনটি নিয়মই শেয়ার করছি যার কাছে যেটা ভালো লাগে সে সেভাবে করে নিবেন :)
ঢাকার বেশিরভাগ ছোট ছোট ফাস্ট ফুডের দোকান বা ক্যান্টিন গুলোতে বেশিকরে পেঁয়াজ আর চিকেনের পুর ভরা একরকম রোল পাওয়া যায়। সেই রোলের কাভারের বাইরের অংশ কুড়মুড়ে হলেও ভেতরটা একদম নরম থাকে ... সাধারণ স্প্রিং রোল থেকে একদম আলাদা স্বাদ। আজ অনেকদিন পর সেই স্বাদ ফিরে পেলাম , আর বানানো তো একদমই সহজ। আমি মূল পদ্ধতি ঠিক রেখে বাকিটা নিজের মতো করে করেছি। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে :)
বাংলাদেশের জনপ্রিয় খাবার গুলোর মধ্যে হালিম একটা কমন নাম। বিশেষ করে রমজানে ইফতারিতে এর কদর আরো বেড়ে যায়। হালিম ছাড়া ইফতার যেন এখন আমরা ভাবতেই পারি না। তাছাড়াও বিকেলের নাস্তায় পরোটা অথবা পুরি দিয়েও অনেকে হালিম খেতে পছন্দ করেন। আমি আজ আপনাদের জন্য গরুর মাংস দিয়ে প্রকৃত বাংলাদেশী হালিম এর রেসিপি নিয়ে এসেছি। তবে আপনি একই ভাবে চিকেন,মাটন বা ভেজিটেরিয়ান আছেন তারা সোয়া নাগেটস দিয়েও রান্না করতে পারেন। Believe me, if you try this yummy dish once, you can't forget its outstanding taste. 😋
কেক খেতে পছন্দ করে না এমন খুব কম মানুষই আছে। আর বিশেষ দিনগুলোতে যেমন জন্মদিন, বিবাহ বার্ষিকীতে কেক ছাড়া তো আমাদের চলেই না। তবে আজ একটু ভিন্ন ধরনের কেক রেসিপি জানবো। সুজির কেক বাসবুসা বা সেমোলিনা কেক মধ্যপ্রাচ্যের ভীষণ জনপ্রিয় একটি ডেজার্ট। এই কেকটির প্রধান বৈশিষ্ট্য এটি আটার বদলে সুজির দিয়ে তৈরি। খুবই কম সময়ে আর খুব সহজেই তৈরী করা যায় এই অসাধারণ ডেসার্ট। চলুন দেখে নেই সেই দারুন রেসিপিটি :)
আইসক্রিম কেক.....অনেক দিনের ইচ্ছে ছিল এটা বানানোর। আমি এখানে ভ্যানিলা ও চকোলেট আইসক্রিম ব্যবহার করেছি আর আইসক্রিম গুলো ঘরে তৈরী করে নিয়েছি। খুবই সাধারণ কিছু উপাদান দিয়ে তৈরী এই আইসক্রিম, আলহামদুলিল্লাহ দোকানের আইসক্রিম এর থেকে কোনো অংশে কম হয় নি। চলুন দেখে নেই সহজ সেই রেসিপি টি। :)
আমরা সবাই কমবেশি মোগলাই পরোটা বা কিমা খেতে পছন্দ করি আর সেজন্য ছুটি হোটেল-রেস্তোরার পানে। কিন্তু সেগুলো কতটা স্বাস্থ্যকর কখনো ভেবে দেখেছেন কি? রাস্তার পাশের এসব হোটেলের খাবার যারা খেতে চান না, তারা বাড়িতে চাইলেই বানিয়ে নিতে পারেন মজাদার কিমা পরোটা বা মোগলাই কিমা পরোটা। আর এই পরোটাটি বানাতে বেশ সহজ ও খেতেও মজার।
জাপানী কারটুন ক্যারেক্টার ডোরেমন এর কথা নিশ্চয়ই আপনাদের জানা আছে? প্রতিটা বাচ্চারই ফেভারিট কারটুন "ডোরেমন"। আর আমি নিশ্চিত যে বাচ্চারা ডোরার কেক সম্পর্কে জানে এবং খেতে খুবই আগ্রহী। ডোরায়াকি/ দোরায়াকি এক প্রকার জাপানি মিষ্টান্ন। এটি দুইটি প্যানকেক এর সমন্বয়ে গঠিত । খেতে খুবই সুস্বাদু এবং বাচ্চাদের খুবই প্রিয় এর প্যানকেকটি কীভাবে সহজেই ঘরে বসেই তৈরি করতে পারবেন,আজ আমি সে রেসিপিটি শেয়ার করবো আপনাদের সাথে...
বিকেলের নাস্তায় চায়ের সাথে হালকা কিছু নাস্তা যেন আমাদের নিত্যদিনের জীবনের সাথে মিশে আছে। গরম গরম চায়ের সাথে চিড়া ভাজা, ডাল ভাজা, ঝুড়ি ভাজা, চানাচুর এগুলো খেতে কিন্তু দারুন লাগে। আজ আপনার সাথে শেয়ার করবো আলু ঝুড়ি ভাজা রেসিপি। ছোটবেলায় স্কুল শেষে প্রায়ই কিনে খেতাম। স্কুলের সামনে দাঁড়ানো মামাদের কাছ থেকে একটুকরো পেপারে ১ অথবা ২ টাকায় কিনে নিতাম আর খুড়মুড় করে খেতে খেতে চলে আসতাম বাড়ি। ছোটবেলার এ দিনগুলো সত্যিই অনেক সুন্দর ছিল। আজ চলুন দেখে নেই মজাদার এ আলু ঝুড়ি ভাজা রেসিপিটি।
আমার কাছে এটা অনেকটা কর্নফ্লাওয়ার হালুয়া বা বোম্বে করাচি হালুয়ার মতো লাগে। আমি জার্মানিতে থাকি, এখানকার টার্কিশ শপগুলো নানা রঙের ও ঢঙের টার্কিশ ডিলাইট পাওয়া যায়। তবে সেগুলো এত বেশি মিষ্টি যে এক টুকরো ও পুরোটা খেতে পারিনা আমি। তবে এটা মোটামুটি কম মিষ্টি হয়েছে। আসলে রেসিপিটি এমন যে চাইলেও একেবারে কম মিষ্টি দেয়া সম্ভব হয় না। চলুন আমরা দেখে নেই কিভাবে বানাতে হবে এটা তার পুরো প্রস্তুত প্রণালী।
ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় বা গ্রামের মেলাতে ছোট ছোট একধরণের সিঙ্গাড়া পাওয়া যায় যেগুলো একসাথে ২/৩ টা করেও মুখে পোরা যায়। অনেকে এটাকে কুঁচো বা গুঁড়ো সিঙ্গাড়াও ডেকে থাকেন। আমার অতি প্রিয় সাহিত্যিক প্রায়াত হুমায়ুন আহমেদ স্যারের লেখা “রোদন ভরা এ বসন্ত” উপন্যাসেও এই সিঙ্গাড়ার বর্ণনা আছে। উপন্যাস টা যতবার পড়েছি.. ততবার এই পিচ্চি সিঙাড়ার জন্য মনটা উথাল পাতাল করেছে। মনে হয়েছে, ইশ যদি এক প্লেট পেতাম এখন। তাই এবারের রেসিপি মার্বেল সিঙ্গাড়া বা মিনি সিঙাড়া।