বৈশাখে ভর্তা পরিবেশন না করলে যেন বৈশাখ পরিপূর্ণ মনে হয় না । নানান পদের ভর্তা ও গরম ধোয়া ওঠা ভাত দিয়ে দুপুরে খাবারের আয়োজনটা যেন জমপেশ হয়ে যায় । অথবা ইদ আয়োজনে প্রচুর মাংসের আয়োজন শেষ করে যেন একটু সাদামাটা খাবার খেতে মন চায়। সেই সাদামাটা খাবারটা কিন্তু হতে পারে এই কুচো চিংড়ি ভর্তা। চিংড়ি মাছটা বেশ সবাই খেতে পছন্দ করে। সবাই কম বেশি এই ভর্তাটি খেতে পছন্দ করি আর আমার তো বেশ প্রিয় এই ভর্তাটি। তাহলে চলুন কথা না বাড়িয়ে দেখে নেই এই মজার ভর্তা রেসিপিটি।
ঈদ বা বিভিন্ন দাওয়াত মানেই টেবিল ভর্তি বাহারি মাংসের আইটেম। তাই এসময়ে দুএকটা সবজি আইটেম হলে মন্দ হয় না। সব থেকে ভালো হয় যদি সেটা পোলাউ এর সাথেও সার্ভ করা যায়। তাহলে মেহনদারিতেও দারুন জমে যাবে। তাই এবারের রেসিপি দই বেগুন বা বেগুন বাহার যা শুধু পোলাও নয়, ভাত , রুটি, পরোটা, লুচি সবকিছুতেই বাজিমাত করে দিবে।
বাঙালি'র হেঁশেলে যে কত পদের পিঠার রেসিপি থাকে তা সবাই নিশ্চয় জানেন। আর এর বেশিরভাগ'ই মিষ্টি জাতীয়। তবে বাঙালিয়ানা স্বভাব অনুযায়ী আমরা মিষ্টির থেকে ঝাল-মশলাদার খাবার টাই বেশি পছন্দ করি। তো পিঠাটাই বা বাদ যাবে কেন ? তাই ঘরেই তৈরি করে ফেলুন সুস্বাদু একটি ঝাল পিঠা। খুব অল্প সময়ে তৈরি করতে পারবেন। মুরগির মাংস, গরুর মাংস বা চিংড়ী, এমনকি শুধু মাত্র সবজি দিয়ে তৈরি করতে পারবেন এই পিঠা টি। রোজার অথবা কোরবানি ঈদের পর সবার ফ্রিজ মোটামুটি মাংস দিয়ে ভর্তি থাকে। এসময়ে সেই ফ্রেশ মাংস কিমা করে রাখলে করে সময় করে এভাবে বানিয়ে ফেলতে পারেন মুখরোচক এই পিঠা। অথবা কোরবানির পর রান্না ঝুরা মাংস দিয়েও বানাতে পারেন। চলুন দেখি কিভাবে বানাতে হয়।
আমার খুবই পছন্দের একটা পিঠা এটা। আমরা এই পিঠাকে বলি ভাজা পিঠা। আপনারা কি নামে চিনেন?? অনেকেই পাকান পিঠা ,তেলেভাজা পিঠা, পুয়া পিঠা, মালপোয়া পিঠা , তেলের পিঠা ইত্যাদি নাম ডাকেন। নাম যাই হোক বেশিরভাগ মানুষের পছন্দের তালিকায় এই পিঠা টা থাকে। বানানো অন্যান্য সব পিঠার থেকে সহজ। কিন্তু সমস্যা হলো মাঝে মাঝে কেন যেন কিছুতেই এই পিঠা ফুলে না আর গপাগপ তেল শুষে নেয়.....মোটামুটি তেলের শ্রাদ্ধ হয়ে যায়। তারপরও মনখারাপ তো থাকেই। এই রেসিপি মতো করে বানিয়ে দেখুন ইনশাআল্লাহ আপনার পিঠা ফুলবে এবং নরম হবে। :)
ইলিশ এমন একটা মাছ যা শুধু নুন মরিচ দিয়ে সেদ্ধ করে খেলেও যেন অমৃত। তবে আমাদের বাঙালিদের তো রসনাবিলাসের অভাব নেই। কত ভাবেই না আমরা এই মাছের রাজার অপূর্ব স্বাদটা উপভোগ করি। আজ আপনাদের জন্য থাকলো বৈশাখ স্পেশাল ইলিশ দিয়ে পুরোনো দিনের এক মজার খাবারের রেসিপি।
ইলিশ মাছ, নাম শুনেই জিবে জল আসে। ইলিশ আমাদের জাতীয় মাছ , এই মাছের স্বাদ অতুলনীয়। ইলিশ খেতে মজার তার উপর এর উপকারিতাও অনেক। পদ্মার ইলিশের সুনাম তো সারা বিশ্বে। হুটহাট রান্না করার জন্য ইলিশের বিকল্প হয় না। বৈশাখের দিনটা ইলিশের পদ না থাকলে কি চলে ? চলুন ইলিশ মাছের এই দারুণ লোভনীয় '' ইলিশ দোপেঁয়াজা'' রেসিপিটি দেখে নিই। এত সহজ রান্না আর হয় না!
আমরা সাধারণত বৈশাখে পান্তার সাথে ইলিশ ভাজাটাই বেশি খেয়ে থাকি। কিন্তু এর সঙ্গে কিছু একটা ভর্তা না থাকলে আবার চলে না। আজকে আমি আপনাদের পান্তার সাথে পরিবেশন করার জন্য একটা সহজ রেসিপি দিচ্ছি, আর সেটা হলো ''মাখা ইলিশের পাতলা ঝোল '' .....এক হাত ঝোল আর একটুকরো মাছ হলে কাঁচা পেঁয়াজ দিয়ে নিমেষেই এক খানটি ভাত গায়েব করে দেয়া সম্ভব। ছোটবেলায় আম্মু এটা বানাতো , সকালের বাসি ভাতের সাথে খেতে সেই মজা। আজ সকালে আম্মুকে ফোন করে রেসিপি জেনে আমিও বানিয়ে নিলাম। আশা করি এই বৈশাখে আপনাদের কাজে আসবে :)
পহেলা বৈশাখের দিন কয়েকটি ভর্তার আয়োজন না করলে বাঙালির আয়োজনটা যেন ঠিক পরিপূর্ণ হয় না। ইলিশ মাছের আয়োজনের সাথে ভর্তার আয়োজনটাও কিন্তু বেশ মানাসই। তাই আজ রয়েছে ইলিশ মাছের সাথে বেগুন ভাজা দিয়ে একটা মজার ভর্তার রেসিপি। একটু স্পেশাল কিন্তু বাঙালি ঢঙয়ের মজার এই ভর্তার রেসিপিটি চলুন দেখে নিই…