আমরা সবাই কমবেশি মোগলাই পরোটা খেতে পছন্দ করি আর সেজন্য ছুটি হোটেল-রেস্তোরার পানে। কিন্তু সেগুলো কতটা স্বাস্থ্যকর কখনো ভেবে দেখেছেন কি? রাস্তার পাশের এসব হোটেলের খাবার যারা খেতে চান না, তারা বাড়িতে চাইলেই বানিয়ে নিতে পারেন মজাদার মোগলাই পরোটা।

মাছে ভাতে বাঙালীর নতুন করে মাছের সাথে পরিচয় করিয়ে দেবার কিছু নেই। মাছ ভাজা থেকে শুরু করে ঝোল , চচ্চড়ি, ভুনা , কালিয়া , কোর্মা দেদারসে খাওয়া হয়। তবে আজ একটু ভিন্নরকম মাছের আইটেম নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। আর সেটা হলো ফিস ফ্রাই বা ফিশ পাকোড়া। তবে একটু অন্যভাবে বানানো। ভারতের পাঞ্জাবের আমৃতসরে খুবই পপুলার এই খাবারটি। সাধারণত স্নাক্স হিসেবে খাওয়া হয় তবে চাইলে পোলাওয়ের সাথে সাইড ডিশ হিসেবেও দেয়া যেতে পারে…! শর্ত শুধু একটাই যেকোনো ধরণের সাদা মাংশল মাছ নিতে হবে যেটাতে কোনো ছোট কাঁটা নেই। আর চামড়া টাও ফেলে দিতে হবে। ভেটকি, শোল, পাঙ্গাস, কর্ড, সিলাক্স, পোয়া, কিং ফিশ যে কোনো ধরণের মাছ দিয়েই হবে।

অতিথি আপ্যায়নে বা পোলাওয়ের সাথে পরিবেশনের জন্য আমাদের দেশের সবচেয়ে কমন এবং জনপ্রিয় কাবাব হলো বিফ টিকিয়া বা বিফ শামি কাবাব। কোরবানি ঈদের পরে মোটামুটি সবার ফ্রিজেই মাংস থাকে। এই সময় বেশি করে শামি কাবাব বানিয়ে ডিপ করে রেখে দিলে বিকেলের নাস্তা সহ বাচ্চার টিফিন বা মেহমানদারিতে দারুণভাবে কাজে লাগবে ।

কাবাব শব্দটা শুনলে সবার আগে মনে আসে বিহারী কাবাবের নাম। এটার আসল নাম বিহারী কাবাব হলেও বাংলাদেশে এটা শিক কাবাব নামেই বেশি পরিচিত। যদিও ইন্ডিয়া পাকিস্তানে শিক কাবাব মাংসের কিমা দিয়ে তৈরী করা হয়, কিন্তু বাংলাদেশে শিক কাবাব বলতে পাতলা পাতলা করে কাটা মাংস শিকে গেঁথে বানানো কাবাব টাকেই বোঝায়, যেটা আসলে বিহারী কাবাব। চলুন দেখে নেই এই বিহারি কাবাব ওরফে বাংলাদেশী শিক কাবাব বানাতে কি কি লাগবে।

ইফতারে গতানুগতিক ছোলা ভুনা খেতে খেতে যখন একটু অন্যরকম ছোলার রেসিপি খেতে মন চাইবে তখন কিন্তু এই রেসিপিটি বানিয়ে দেখতে পারেন। খুবই সিম্পল কিন্তু দারুন মজার এই ছোলার চাট। ঢাকার রাস্তার পাশে অথবা স্কুল কলেজের গেটের বাইরে একজন ফুসকা ওয়ালা মামার সাথে একজন ছোলার চাট ওয়ালা মামাকেও কিন্তু দেখা যায়। এই রেসিপি আমি সেই মামাদের ছোলা মাখা থেকে আগ্রহী হয়ে বানিয়েছিলাম। বানিয়ে খাওয়ার পর আপনাদের সাথে শেয়ার না করে পারলাম না। রেসিপিটি অবশ্যই বানিয়ে দেখবেন আর আমাকে জানাতে ভুলবেন যে কেমন লেগেছে...☺️

বাঙালি'র হেঁশেলে যে কত পদের পিঠার রেসিপি থাকে তা সবাই নিশ্চয় জানেন। আর এর বেশিরভাগ'ই মিষ্টি জাতীয়। তবে বাঙালিয়ানা স্বভাব অনুযায়ী আমরা মিষ্টির থেকে ঝাল-মশলাদার খাবার টাই বেশি পছন্দ করি। তো পিঠাটাই বা বাদ যাবে কেন ? তাই ঘরেই তৈরি করে ফেলুন সুস্বাদু একটি ঝাল পিঠা। খুব অল্প সময়ে তৈরি করতে পারবেন। মুরগির মাংস, গরুর মাংস বা চিংড়ী, এমনকি শুধু মাত্র সবজি দিয়ে তৈরি করতে পারবেন এই পিঠা টি। রোজার অথবা কোরবানি ঈদের পর সবার ফ্রিজ মোটামুটি মাংস দিয়ে ভর্তি থাকে। এসময়ে সেই ফ্রেশ মাংস কিমা করে রাখলে করে সময় করে এভাবে বানিয়ে ফেলতে পারেন মুখরোচক এই পিঠা। অথবা কোরবানির পর রান্না ঝুরা মাংস দিয়েও বানাতে পারেন। চলুন দেখি কিভাবে বানাতে হয়।

ইফতারিতে আমাদের বাঙালিদের কাছে আলুর চপ একটা অপরিহার্য আইটেম। প্রতিদিনের ইফতারিতে তো বানানো হয়েই থাকে ,অনেক সময় একটু ভিন্ন ধাঁচের ইফতারি বানালেও দেখা যায় তার মধ্যেও ইনি থাকেন। বিশেষ করে আমার বাসায় এরকমই ঘটনা ঘটে থাকে। সাধারণ আলুর চপ এর পাশাপাশি আমি মাঝে মাঝে এতে একটু ভিন্নতা আনি। এই যেমন কখনো একটু বেশি স্পাইসি, কখনো ধনেপাতা বা পুদিনাপাতার টাচ , কখনো মাংস , কখনো পেঁয়াজ এর পুর ভরে , কখনো সেদ্ধ ডিম চটকে , কখনো সেদ্ধ ডিম কুচিয়ে দিয়ে। সব গুলোই খুবই মজার হয় এবং স্বাদেও ভিন্নতা আনে। তবে সবথেকে সহজ আর পরিবারের সদস্যদের চাহিদা যেটাতে বেশি সেই রেসিপিটাই আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। দেখুন ভালো লাগে কিনা... :)

আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো ব্যাংককের জনপ্রিয় একটি স্ট্রিট ফুড পটেটো টর্নেডো এর রেসিপি। একে স্পাইরাল পটেটো চিপস বা চিপস ও স্টিক্স ও বলে। স্প্রিং এর মতো দেখতে সুন্দর এই স্নাক্স টি এখন শুধু ব্যাংকক নয় , আরো অন্যানো দেশেও অনেক জনপ্রিয়। খাবারটির আসল বিশেষত্ব হলো এর স্পাইরাল কাটিং যা রেসিপির পাশাপাশি একটি ভিডিওতে দেখিয়ে দিয়েছি। মূলত আলুটাকে কাটা হয় পটেটো স্পাইরাল কাটার দিয়ে যার জন্য এটা দেখতে পেঁচানো স্প্রিং এর মতো লাগে। তবে ভিডিওতে আমি কোনো রকম কাটার ছাড়া কিভাবে ঘরেই এই ভাবে আলু কাটা যাবে সেটা দেখানোর চেষ্টা করেছি। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে... ;)

চায়নার বা জাপানের অনেক জনপ্রিয় একটি খাবার ''এবি ফ্রাই''। আইটেমটি খেতে বেশ মজা বলে ছেলে-বুড়ো প্রত্যেকের কাছেই অনেক পছন্দের খাবার। হালকা নাস্তার সময় চাইনিজ রেস্টুরেন্টে ঢুকলে আমি সবসময় অর্ডার করি মজাদার এই নাস্তাটি। কেমন হয় যদি বিকেলের নাস্তায় ঘরেই তৈরি করে নেয়া যায়? আজকে শিখে নিন চাইনিজ রেস্টুরেন্টে'র মতো মজাদার মুচমুচে ‘এবি ফ্রাই’ তৈরি'র সবচাইতে সহজ রেসিপিটি।

অনথন অনেক ভাবে বানানো যায়..আরো অনেক উপাদান দিয়ে। তবে আমি সব সময় চেষ্টা করি সহজ উপায়ে রান্না করতে। বাসায় যদি কখনো চিকেন রান্না হয় তো আমি মাঝে মাঝে কিছুটা বোনলেস চিকেন আলাদা করে রেখে দেই পরে হালকা কিছু স্নাকস বানানোর জন্য... এই রেসিপি টি ও ঠিক সেভাবেই করা সম্পূর্ণ ভাবে নিজের মত করে সাধারণ কিছু উপকরণ দিয়ে...আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে ও কাজে আসবে। অনেকেই অনথনের ভাজ কিভাবে করে সেটা জানতে চেয়েছিলেন...তাদের সুবিধার জন্য ভিডিও দিয়ে দিলাম।