চট্টগ্রাম জেলার নামের সাথে সমুদ্রসৈকত শব্দটা যেমন সবচেয়ে ভালো মানায়, তেমনি ভোজন রসিকের মনে চট্টগ্রামের সাথে মেজবান বা মেজবানি শব্দটাও সবার আগেই উঁকি দেয়। ঐতিহ্যবাহী মেজবান অনুষ্ঠানের সবচেয়ে প্রধান যে আকর্ষণ, তা হলো মেজবানি মাংস। তাই এবারে বাবুর্চিদের রেসিপিতে অরিজিনাল মেজবানি মাংস রান্নার পদ্ধতি রইলো আপনাদের জন্য।

খুব সহজে ঘরের সাধারন উপকরণ দিয়ে বানানো মোঘলাই ডেসার্ট শাহী টুকরার রেসিপি এবারে আপনাদের জন্য। ডেজার্টটির আসল স্বাদ পেতে চেষ্টা করবেন অবশ্যই ঘি এবং ঘন দুধ ব্যবহার করতে। মালাই বানানোর জন্য সময় বাঁচাতে চাইলে দোকানের কেনা হেভিক্রিম ও এভাপোরেটেড মিল্ক ব্যবহার করতে পারেন। আর মিষ্টি করার জন্য চিনির বদলে দিতে পারেন কনডেন্সড মিল্ক। তবে সবসময় যেহেতু এগুলো হাতের কাছে পাওয়া যায় না তাই ঘরে থাকা সাধারণ উপকরণেই আমি শাহী টুকরার রেসিপি দিচ্ছি।

আমার আজকের রেসিপি চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী ”কালাভুনা বা গরুর মাংসের কালোভুনা” । চেষ্টা করেছি ঐতিহ্য এবং মূল বৈশিষ্ট বজায় রেখে সহজ ভাবে রান্নাটি দেখাতে। সবসময় ঘরে থাকে এমন কিছু মশলা দিয়েই রান্নাটা করবো যাতে ব্যাচেলর ও নতুন রাঁধুনিরা সহজেই রেসিপিটা অনুসরণ করতে পারেন। ওরে বাবা, এইটা রান্না করতে বহুত ফ্যাচাল। … অতডি মশলা কই পামু?” …বলে হাত গুটিয়ে না থাকেন। তবে হ্যাঁ, স্বাদের কোনো কম্প্রোমাইজ হবে সে আগে থেকেই বলে রাখছি। চলুন তাহলে দেখে নেই বানাতে কি কি লাগবে ….

ছুটির দিনে স্পেশাল খাবার বলতে পোলাও , মাংস বা বিরিয়ানী টাইপের খাবারই বেশি খাওয়া হয় সবার। মাছ থাকলেও ভুনা বা ফ্রাই করা হয়। এবার শুধু মাছ দিয়েই করে দেখুন মজাদার এই ডিশটি যা আপনাকে স্পেশাল খাবার এর আমেজ ও দিবে সাথে ভরপুর প্রোটিন। সহজে তৈরী করা যায় বলে যারা মাছ পছন্দ করেন তাদের আশা করি রেসিপি টি অনেক ভালো লাগবে …!

ঈদ বা বিভিন্ন দাওয়াত মানেই টেবিল ভর্তি বাহারি মাংসের আইটেম। তাই এসময়ে দুএকটা সবজি আইটেম হলে মন্দ হয় না। সব থেকে ভালো হয় যদি সেটা পোলাউ এর সাথেও সার্ভ করা যায়। তাহলে মেহনদারিতেও দারুন জমে যাবে। তাই এবারের রেসিপি দই বেগুন বা বেগুন বাহার যা শুধু পোলাও নয়, ভাত , রুটি, পরোটা, লুচি সবকিছুতেই বাজিমাত করে দিবে।

বাসায় অতিথি এলে বা ছোটখাট দাওয়াতে পোলাও বা বিরিয়ানির সাথে আমরা মাঝে মধ্যে দুয়েক প্রকার কাবাব ও রাখি। এসময়ে খুব সহজে আর ঝামেলাহীন ভাবে বানানো যায় এরকম কাবাব হলে রাঁধুনির কষ্ট অনেকটাই লাঘব হয়। চাপলী কাবাব হচ্ছে তেমনি একটা কাবাব। অল্প উপকরণে ঝটপট বানানো মজার এই কাবাবের রেসিপি আসুন আজ জেনে নেই।

কাবাব শব্দটা শুনলে সবার আগে মনে আসে বিহারী কাবাবের নাম। এটার আসল নাম বিহারী কাবাব হলেও বাংলাদেশে এটা শিক কাবাব নামেই বেশি পরিচিত। যদিও ইন্ডিয়া পাকিস্তানে শিক কাবাব মাংসের কিমা দিয়ে তৈরী করা হয়, কিন্তু বাংলাদেশে শিক কাবাব বলতে পাতলা পাতলা করে কাটা মাংস শিকে গেঁথে বানানো কাবাব টাকেই বোঝায়, যেটা আসলে বিহারী কাবাব। চলুন দেখে নেই এই বিহারি কাবাব ওরফে বাংলাদেশী শিক কাবাব বানাতে কি কি লাগবে।

পোলাওয়ের সাথে সার্ভ করার জন্য আমার সবথেকে পছন্দের কাবাব হচ্ছে শামি বা টিকিয়া কাবাব। এগুলো খেতে যে কি মজা হয় সেটা তো আপনারা সবাই জানেন। তবে আজ মাংসের বদলে মাছ দিয়ে এই শামি কাবাব বানিয়ে দেখাবো। খুব কম সময়ে ঝামেলাহীন ভাবে বানানো যায়। আর সবথেকে বড় সুবিধা হলো, একদিন সময় করে বেশি করে বানিয়ে রাখলে ৩/৪ মাস ডিপ ফ্রিজে রেখে প্রয়োজনমত ব্যবহার করা যায়। বাচ্চার টিফিন থেকে শুরু করে ঝটপট মেহমানদারিতেও ভীষণ কাজে দেয়।

রোজা চলে এলো ...আর এখন ঘরে ঘরে রাঁধুনিদের চিন্তার বিষয় ইফতারে কি বানাবো। আমরা ইফতারে কম বেশি সবাই একটু ভাজাভুজি খেতে ভালোবাসি। সমুসা হতে পারে ইফতারে মজার ও অন্যরকম একটি আইটেম। আজকাল সমুসা বানানো অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে। সমুসা'র পেস্ট্রি সিট দোকানেই পাওয়া যায়। তবে আমি যখন ঘরে নিজেদের জন্য অল্প করে বানাই বা গেস্ট দের জন্য করি তখন নিজেই পেস্ট্রি সিট বানিয়ে করি। কিন্তু যখন অনেক বড় কোনো পার্টি'র জন্য বেশি করে বানাতে হয় তখন দোকান থেকেই কিনে নেই। তাই আপনারা যারা ঘরে অল্প পরিমানে বানাতে চান তাদের জন্য পেস্ট্রি সিটের রেসিপি ভিডিও লিংক দিয়ে দিলাম। খুব ই সহজ...শুধু একটু সাবধানে ধীরে ধীরে পাতলা করে রুটি বেলতে হয়। আপনি নিজেই অবাক হয়ে যাবেন আপনার বানানো সমুসা দেখে এবং খেয়ে।