গায়ে হলুদের তত্ত্বে বা যেকোনো অনুষ্ঠানে একটু ভিন্নস্বাদের মিষ্টান্ন বানানোর কথা যদি ভেবে থাকেন তাহলে এই নারকেলের হালুয়া বা সন্দেশ হতে পারে মোক্ষম অস্ত্র। অল্প উপকরণে ঝটপট বানিয়ে নিন আর তাক লাগিয়ে দিন সব্বাইকে।
বাচ্চার টিফিন বা বিকেলের আড্ডা জমজমাট করতে চিকেন স্প্রিং রোল-এর কোনো বিকল্প নেই । তাছাড়া বাসায় কোনো বিশেষ উপলক্ষ্যে খাবার টেবিলে যদি চায়নীজ মেন্যু রাখার কথা ভাবেন তাহলে মিল স্টাটার হিসেবেও রাখতে পারেন জনপ্রিয় এই এশিয়ান স্নাকসটি। আমি চিকেন দিয়ে করেছি আপনারা চাইলে বিফ কিমা দিয়েও একইভাবে রান্না করতে পারেন বা মাংস বাদে শুধু সবজি দিয়েও করা যাবে।
আমরা হরহামেশাই ফাস্টফুডের দোকান বা বেকারি থেকে প্যাটিসটা কিনে খাই। হালকা ক্রিস্পি এই প্যাটিসের ভেতরের পুরটার কারণেই খেতে বেশি মজা লাগে। আর বেশিরভাগ সময় সেটা হয় চিকেন ও পেঁয়াজ দিয়ে তৈরী। ভেতরের পুরটা তো ইচ্ছেমতো করে নেয়া যায়….সমস্যা হলো বাইরের আবরণটা নিয়ে। দেশের বাইরে যে কোনো সুপার শপে সহজেই এই পেস্ট্রি পাফ কিনতে পারবেন। আজকাল আমাদের দেশেও পাওয়া যায়। তবে দামটা নেহায়েত কম হয় না। ওই দামে ৩ প্যাকেট বানিয়ে ফেলা যায় ঘরেই। বানানো আসলে খুবই সহজ, উপকরণ ও কম শুধু একটু ধৈর্য সহকারে যত্ন করে বানালে আপনার বানানো প্যাটিস ও দেখতে অবিকল একই হবে আর টেস্ট ও লা-জওয়াব। চলুন দেখে নেয়া যাক …!
শীতকাল শব্দটা শুনলেই ভোজন রসিকদের মাথায় পরপর কয়েকটা নাম সারি বেঁধে চলে আসে। যেমন, পিঠাপুলি, খেজুরের রস, খেজুর গুড়, বাহারি সবজি ইত্যাদি ইত্যাদি। আর শীতের সময়ে বাজার ভর্তি হয়ে যায় নানারকম সুস্বাদু টাটকা সবজিতে। গাজর তার মধ্যে একটি। সাধারণত বিভিন্ন রান্নাকে কালারফুল করতেই আমরা গাজর বেশি ব্যবহার করি। তাছাড়া এই সব্জিটা দিয়ে আরো নানারকম মুখরোচক ডেজার্ট বানানো যায়। যেমন গাজরের হালুয়া, গাজরের বরফি, ছানা গাজরের সন্দেশ বা ক্যারোট ডিলাইট, গাজরের কেক/ক্যারোট কেক, বেকড ক্যারোট ডিলাইট আরো কত কি! এই সব কিছুর মধ্যে সবথেকে সহজ আর ঝটপট তৈরী করা যায় গাজরের হালুয়া, আর এখন আমরা সেটাই দেখে নিবো।
রসগোল্লা…, এটা শুধু একটা মিষ্টি নয়। বাঙালীর ঐতিহ্যের সাথে মিলেমিশে আছে এই নাম। এপার বাংলা বলুন আর ওপার বাংলা…মিষ্টি মানেই রসগোল্লা। দিনে দিনে যত বাহারি স্বাদের বা নামের মিষ্টিই আসুক না কেন রসগোল্লার জায়গা কেও কখনো নিতে পারে নি। চলুন আজকে এই রসগোল্লা বানানোর অদ্যোপান্ত জেনে নেয়া যাক।
আমি ঠিক যে পরিমাপে বানিয়েছি সেই মাপটাই দিচ্ছি…। আপনারা পরিমাপ ঠিক রেখে উপকরণের পরিমান কমবেশি করে নিতে পারবেন। ঈদ মানেই খুশির বন্যা। খুশির পরিমানটা বাড়াতে নানারকম মুখরোচক খাবার বিশেষ করে মিষ্টিজাতীয় খাবার আমরা একটু বেশি করে থাকি এই দিনে। কেমন হয় যদি ঈদ বা অন্য যে কোনো অনুষ্ঠানে খাবার টেবিলে আপনার নিজের হাতের বানানো চমচম পরিবেশন করা যায়? ভাবছেন ঝামেলার ব্যাপার, যদি না হয়। হ্যাঁ, অবশ্যই ঝামেলার ব্যাপার। তবে নিজের হাতের বানানো জিনিসের মর্মই আলাদা। তাই আপনাদের এই ঝামেলাকে একটু সহজ করে দিতে আমার আজকের চেষ্টা। আশা করছি একটু হলেও কাজে আসবে। আর একটি কথা আমি বলতে চাই, যে রসগোল্লা বানাতে পারে সে চমচম ও পারবে। দুটোর মধ্যে প্রস্তুত প্রণালী’তে খুব বেশি তফাৎ নেই, যদিও স্বাদে আলাদা।
দেশের জনপ্রিয় স্ট্রীটফুডের মধ্যে চটপটি অন্যতম। বাইরে গিয়ে বন্ধু বা পরিবারের সাথে মামার দোকানের চটপটি খাবার আলাদা মজা আছে। তবে মাঝেমধ্যে ঘরেও আপনি চাইলে আরো বেশি স্বাদে ও স্বাস্থ্যকর উপায়ে এই চটপটি নিজেই বানিয়ে নিতে পারেন। বিশেষ করে ঈদে বা ফ্যামিলি গেট টুগেদারে নাস্তার টেবিলে আপনার বানানো চটপটি হতে পারে মূল আকর্ষণ। চলুন তাহলে দেখে নেয়া যাক রেসিপিটা …।
আজকালকার শহুরে জীবনে ব্যাস্ত সকালে নাস্তা হিসেবে পাউরুটি যেন একটু একটু করে রুটি,পরোটার জায়গা নিয়ে নিচ্ছে। একবার তৈরী করে ২/৩ দিন ধরে খাওয়া যায় বলে সকাল সকাল নাস্তা বানানোর ঝামেলাও কমে যায়। তাছাড়া , ঘরে পাউরুটি থাকলে তা দিয়ে নানারকম মুখরোচক নাস্তা ও ডেজার্ট ও তৈরি করে ফেলা যায়। তাহলে চলুন আজ জেনে নেই ঘরে থাকা সামান্য কিছু উপকরণ দিয়ে বেকারির মতো চমৎকার পাউরুটি’র রেসিপি। আপনাদের সুবিধার জন্য পরিমাপটা আমি গ্রাম ও কাপ দুইভাবেই দিলাম।
সমুচা আমাদের কম বেশি সবারই পছন্দ। কিন্তু বানাতে গেলেই ঝামেলায় পড়তে হয় সমুচার বাইরের আবরণটি তৈরী করতে। ঘরে বানানো সমুসা যেন কিছুতেই মোড়ের দোকানের কেনা সমুসার মতো মুচমুতেও হয়না আর আবরণটাও পাতলা থাকে না। তাহলে সমাধান টা কি? সমাধান হলো আসল পদ্ধতিতে আগে সমুসা শিট বা সমুসা পাত্তি বানিয়ে নেয়া ঠিক যেভাবে হোটেল বা মোড়ের সমুসার দোকানের মামারা বানিয়ে থাকেন। চলুন তাহলে দেখে নেয়া যাক কিভাবে খুব সহজে ঘরে বসেই এ সমুচা শিটটি বানানো যায়।
বেকিং পর্বে এবারের রেসিপি বিফ পিজ্জা। তবে এটা আমাদের বাংলাদেশী ছোট ছোট বেকারি বা ফাস্টফুড শপে যেরকম পিজ্জা বিক্রি হয় সেই পিজ্জার রেসিপি যা অরিজিনাল ইটালিয়ান পিজ্জার থেকে অনেকটাই আলাদা এবং বেশি টেস্টি।