চট্টগ্রাম জেলার নামের সাথে সমুদ্রসৈকত শব্দটা যেমন সবচেয়ে ভালো মানায়, তেমনি ভোজন রসিকের মনে চট্টগ্রামের সাথে মেজবান বা মেজবানি শব্দটাও সবার আগেই উঁকি দেয়। ঐতিহ্যবাহী মেজবান অনুষ্ঠানের সবচেয়ে প্রধান যে আকর্ষণ, তা হলো মেজবানি মাংস। তাই এবারে বাবুর্চিদের রেসিপিতে অরিজিনাল মেজবানি মাংস রান্নার পদ্ধতি রইলো আপনাদের জন্য।
আমার আজকের রেসিপি চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী ”কালাভুনা বা গরুর মাংসের কালোভুনা” । চেষ্টা করেছি ঐতিহ্য এবং মূল বৈশিষ্ট বজায় রেখে সহজ ভাবে রান্নাটি দেখাতে। সবসময় ঘরে থাকে এমন কিছু মশলা দিয়েই রান্নাটা করবো যাতে ব্যাচেলর ও নতুন রাঁধুনিরা সহজেই রেসিপিটা অনুসরণ করতে পারেন। ওরে বাবা, এইটা রান্না করতে বহুত ফ্যাচাল। … অতডি মশলা কই পামু?” …বলে হাত গুটিয়ে না থাকেন। তবে হ্যাঁ, স্বাদের কোনো কম্প্রোমাইজ হবে সে আগে থেকেই বলে রাখছি। চলুন তাহলে দেখে নেই বানাতে কি কি লাগবে ….
কাবাব শব্দটা শুনলে সবার আগে মনে আসে বিহারী কাবাবের নাম। এটার আসল নাম বিহারী কাবাব হলেও বাংলাদেশে এটা শিক কাবাব নামেই বেশি পরিচিত। যদিও ইন্ডিয়া পাকিস্তানে শিক কাবাব মাংসের কিমা দিয়ে তৈরী করা হয়, কিন্তু বাংলাদেশে শিক কাবাব বলতে পাতলা পাতলা করে কাটা মাংস শিকে গেঁথে বানানো কাবাব টাকেই বোঝায়, যেটা আসলে বিহারী কাবাব। চলুন দেখে নেই এই বিহারি কাবাব ওরফে বাংলাদেশী শিক কাবাব বানাতে কি কি লাগবে।
বাঙালি'র হেঁশেলে যে কত পদের পিঠার রেসিপি থাকে তা সবাই নিশ্চয় জানেন। আর এর বেশিরভাগ'ই মিষ্টি জাতীয়। তবে বাঙালিয়ানা স্বভাব অনুযায়ী আমরা মিষ্টির থেকে ঝাল-মশলাদার খাবার টাই বেশি পছন্দ করি। তো পিঠাটাই বা বাদ যাবে কেন ? তাই ঘরেই তৈরি করে ফেলুন সুস্বাদু একটি ঝাল পিঠা। খুব অল্প সময়ে তৈরি করতে পারবেন। মুরগির মাংস, গরুর মাংস বা চিংড়ী, এমনকি শুধু মাত্র সবজি দিয়ে তৈরি করতে পারবেন এই পিঠা টি। রোজার অথবা কোরবানি ঈদের পর সবার ফ্রিজ মোটামুটি মাংস দিয়ে ভর্তি থাকে। এসময়ে সেই ফ্রেশ মাংস কিমা করে রাখলে করে সময় করে এভাবে বানিয়ে ফেলতে পারেন মুখরোচক এই পিঠা। অথবা কোরবানির পর রান্না ঝুরা মাংস দিয়েও বানাতে পারেন। চলুন দেখি কিভাবে বানাতে হয়।
কেএফসি'র অনেক জনপ্রিয় একটি খাবার 'পপকর্ন চিকেন'। আইটেমটি খেতে বেশ মজা বলে ছেলে-বুড়ো প্রত্যেকের কাছেই অনেক পছন্দের খাবার। হালকা নাস্তার সময় কেএফসি রেস্টুরেন্টে ঢুকলে ছোটো বড় সকলেই অর্ডার করে থাকেন সবচাইতে মজাদার এই নাস্তাটি। কেমন হয় যদি এই পপকর্ন চিকেন বিকেলের নাস্তায় ঘরেই তৈরি করে নেয়া যায়? আজকে শিখে নিন কেএফসি’র মতো মজাদার মুচমুচে ‘পপকর্ন চিকেন’ তৈরি সবচাইতে সহজ রেসিপিটি।
চিকেন ফ্রাইয়ের মতোই চিকেন নাগেটস বেশ জনপ্রিয় একটি ফাস্ট ফুড। বাচ্চাদের টিফিনে হোক বা বিকেলের নাস্তায় চিকেন নাগেটস বেশ জনপ্রিয় খাবার। রেস্টুরেন্টে খেতে গেলে অনেকেই মজা করে চিকেন নাগেটস খেয়ে থাকেন। ইদানীং রেডিমেড চিকেন নাগেটস পাওয়া যায় বাজারে। কিন্তু বাইরের তৈরি এই চিকেন নাগেটস স্বাস্থ্যকর নয় মোটেও। কারণ এতে ৫০% মুরগীর মাংসও থাকে না। তাই স্বাস্থ্যের ওপর ঝুঁকি না নিয়ে ঝটপট বাসাতেই তৈরি করে নিন মজাদার এই ফাস্টফুডটি। বাসায় তৈরি চিকেন নাগেটসের স্বাদ পাবেন একই এবং সেই সাথে দুশ্চিন্তা করতে হবে না অস্বাস্থ্যকর খাদ্য নিয়ে।
ফ্রাইড চিকেন ছোট বড় সবার কাছেই অনেক জনপ্রিয় একটা খাবার । এখানে থাকছে ফ্রাইড চিকেন বানানোর সকল টিপস এবং ট্রিক্স । অনেকেই বলে বাইরে পুড়ে গিয়েছে, ভেতরে কাঁচা বা তেলে দিতেই কোটিং খুলে গিয়েছে এরকম সমস্যার কথা জানিয়েছেন । তাদের জন্য আজকে আমার এই রেসিপি রইলো ।
এই ঈদে তৈরি করুন একটু ভিন্নধর্মী নাস্তা চিকেন পাই। খুবই সহজ রেসিপি এবং খেতেও ভীষণ মজা। আতিথি আপনার তারিফ করবেই । আশা করি ভালো লাগবে।
এটি একটি জনপ্রিয় ইন্ডিয়ান কাবাব। এটি মূলত চিকেন লেগ বা রান দিয়ে করা হয়। টাংরি মানে ঠ্যাং বা পা এটা জানেন নিশ্চয় সবাই। আর সেই জন্যই এটার নাম এমন। দই আর নানারকম সুগন্ধি মশলার মিশ্রণে তৈরি একটি মজার একটা কাবাব। ছুটির দিনের জন্য একেবারে পারফেক্ট রেসিপি। সাধারণত , রান্না হতে কম সময় লাগার কারণে কাবাব বানানোর ক্ষেত্রে কিন্তু বুকের মাংসটাকেই সবাই প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। কিন্তু মজার ব্যাপারটা হচ্ছে, মুরগীর এই রানের অংশই কিন্তু সবথেকে মজার আর রসালো। এবং এই রসালো হবার কারণেই চমৎকার কাবাব হয় মুরগীর রান দিয়ে। আসুন জেনে নেই চিকেন টাংরি কাবাব এর দারুন সেই রেসিপি টি । হাতের কাছে থাকা সাধারণ উপকরণে তৈরি হয় বলে ঘরে চুলাতেই বানাতে পারবেন। টাকা খরচ করে আর হোটেলে গিয়ে খেতে হবে না।