তেহারি আর বিরিয়ানির মধ্যে কিন্তু একটা সুক্ষ পার্থক্য আছে। রান্নার পদ্ধতিতে পার্থক্য তো আছেই সে সাথে তেহারি বিরিয়ানির তুলনায় অনেক হালকা মশলাদার হয় এবং রংটাও অনেক লাইট থাকে বিরিয়ানির মতো কালারফুল হয় না। আমরা অনেকেই তেহারি রান্নাতে প্রয়োজনের অতিরিক্ত মশলা দিয়ে বিরিয়ানী বানিয়ে ফেলেন …দোকানের তেহারির মতো কালারটাও আসে না। তাছাড়া সবধরণের মশলা তেহারীতে যায় ও না। পুরান ঢাকার অধিকাংশ তেহারি হাউজে যে রেসিপিতে রান্না করা হয় তার মূল বৈশিষ্ট হচ্ছে ”সাদামাটা মশলা” …..আমি চেষ্টা করেছি সেভাবেই রান্না করতে আর ফলাফল অতুলনীয়। দেখে নিন সেই রাজকীয় স্বাদের তেহারির সাদামাটা রেসিপি।
ছুটির দিন স্পেশাল কিছু খেতে ইচ্ছে করছে বা হঠাৎ অতিথি এসেছে ঘরে কয়েক রকম রান্না করার সময় বা উপকরণ কোনটাই হাতে নেই …সেক্ষেত্রে বিরিয়ানি হতে পারে মোক্ষম রেসিপি। কিন্তু ঘরে মাংস আর পোলাউ এর চাল থাকলেও নেই যে বিরিয়ানি মশলা… এখন? কোনো ব্যাপার না….এই ঘরোয়া রেসিপি তে রান্না করে দেখুন আপনার বিরিয়ানি একটু ও খারাপ হবে না…..ট্রাই করে দেখবেন নাকি…???
যে কোনো ধরণের উৎসব বা অনুষ্ঠানে মোঘলাই খাবার একটা আলাদা মাত্রা যোগ করে। ঈদ, বিয়ে বা জামাই আপ্যায়নে মোঘলাই খানার জুড়ি মেলা ভার। আস্ত মুরগীর রোস্ট বা মোরগ মোসাল্লাম তেমনি একটা নাম। আজ আমি আপনাদের সাথে খুবই টেস্টি কিন্তু সহজ উপায়ে তৈরী করা যাবে এমন একটা মুর্গ বা মোরগ মোসাল্লামের রেসিপি শেয়ার করবো। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।
আমি বিফ কিমা দিয়ে করেছি আপনারা চাইলে মাটন, চিকেন বা টুনা ফিস দিয়েও করতে পারেন।
বাংলাদেশী স্ট্রীট ফুডের তালিকায় আমার কাছে মনে হয় প্রথম স্থানটি গর্বের সাথে দখল করে আছে সিঙ্গাড়া/সিঙাড়া। শহর এলাকায় চটপটি ফুচকার জনপ্রিয়তা অনেক বেশি হলেও দেশের সব জায়গায় কিন্তু সহজে মিলে না। তবে সিঙাড়া এমন একটি খাবার যা শহর থেকে শুরু করে গ্রামগঞ্জেও সমানভাবে জনপ্রিয় এবং সহজলভ্য। একেক জায়গার সিঙাড়ার একেকরকম বিশেষত্ব থাকে..তারমধ্যে আলুর সিঙাড়া ও কলিজার সিঙাড়া সবচেয়ে বেশি পরিচিত। তাই আজ আমি আপনাদের কলিজার সিঙাড়া’র রেসিপি দিবো, আপনারা চাইলে কলিজা বাদ দিয়ে একইভাবে আলুর সিঙ্গাড়া বানিয়ে নিতে পারেন।
যেকোনো ধরণের ছোট/বড় মাছ দিয়ে এই ভর্তাটা করা যাবে। যেমন, টাকি, পাঙ্গাস, রুই, কাতলা, ইলিশ, তেলাপিয়া ইত্যাদি।
মাছের রাজা ইলিশের সব রান্নাই অনেক মজাদার। এবারে আপনাদের জন্য মাওয়া ঘাটের মতো করে ঝাল ঝাল ইলিশের লেজের ভর্তা নিয়ে এলাম । আশা করি ভালো লাগবে।
বৈশাখে ভর্তা পরিবেশন না করলে যেন বৈশাখ পরিপূর্ণ মনে হয় না । নানান পদের ভর্তা ও গরম ধোয়া ওঠা ভাত দিয়ে দুপুরে খাবারের আয়োজনটা যেন জমপেশ হয়ে যায় । অথবা ইদ আয়োজনে প্রচুর মাংসের আয়োজন শেষ করে যেন একটু সাদামাটা খাবার খেতে মন চায়। সেই সাদামাটা খাবারটা কিন্তু হতে পারে এই কুচো চিংড়ি ভর্তা। চিংড়ি মাছটা বেশ সবাই খেতে পছন্দ করে। সবাই কম বেশি এই ভর্তাটি খেতে পছন্দ করি আর আমার তো বেশ প্রিয় এই ভর্তাটি। তাহলে চলুন কথা না বাড়িয়ে দেখে নেই এই মজার ভর্তা রেসিপিটি।
কোরবানি ঈদের পরে মাংস খেতে খেতে বিরক্ত হয়ে গেলে মুখের স্বাদ বদলাতে বানাতে পারেন মজাদার কিছু ভর্তা। তাই এবারে সবজি ও মাছের যুগলবন্ধীতে আপনাদের জন্য থাকছে মজাদার রুই বরবটির ভর্তা।
ঈদে মিষ্টিমুখ মানেই সেমাই-ফিরনী-পায়েস। সহজ রান্না তাই মোটামুটি সবাই পারেন। তারপরও যারা নতুন রাঁধুনি আছেন তাদের জন্য আমার এই স্পেশাল ফিরনীর রেসিপি। এভাবে সাধারনত বিয়ে বাড়িতে করে থাকে। যার জন্য ওই ফিরনিতে একটা স্পেশাল ব্যাপার থাকে। চলুন দেখে নেই বাবুর্চি স্টাইলে বিয়ে বাড়ির শাহী ফিরনি।